আমরা কজন বন্দ্বু গিয়েছিলাম বাংলাদেশের সিমান্তবর্তী নেএকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি যা এক অপুর্ব জায়গা । আমি নিশ্চিত, আপনি আমার সাথে একমত হবেন যে বিরিশিরি বিনোদনের জন্য এক চমৎকার জায়গা । সেখানে দেখার মত আছে খরস্রোতা সোমেশ্বর নদীর সচ্ছ পানি, পাহাড়, ১৯১২ প্রতি্ষ্ঠিত সাধু যোশেফের ধর্ম পল্লী রানী খং, চিনামাটির পাহাড়, বিজয়পুর সীমান্তফাড়ীঁ, কৃষক বিদ্রোহী কুমুদিনি হাজং এর বাড়ি, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী, টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ, রাণীমাতা রাশমণি স্মৃতি সৌধ, কমলা রাণী দিঘী ।
সোমেশ্বর নদী
আমাদের বিরিশিরি ভ্রমন কাহিনি এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা কারলাম, তবে আমি আপনাদের কে সর্তক করে দিচ্ছি যে আসলে আমরা বিরিশিরি বলে জানলেও সব দর্শনীয় স্হান গুলো কুল্লাগড়া ইউনিয়ন এলাকার মধ্যে অবস্থিত আর বিরিশিরি ইউনিয়ন পার হয়ে কুল্লাগড়া যেতে হয় । এখানে মনে রাখার মত বিষয় হল জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার পর্যন্ত বাসে করে যেতে পারবেন তবে যদি মাইক্রো বা প্রইভেটকার হয় তাহলে জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার থেকে ডান দিকের কাচা রাস্তা হয়ে দুর্গাপুর উপজেলা সদর প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ পথ ।
আর বাস দিয়ে গেলে জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার এর পর একটি ভাংগা ব্রিজ নৌকা করে পার হয়ে মটর বাইক বা রিক্সা করে দুর্গাপুর যেতে পারেন ।
আমরা নয় বন্দ্বু হিমু, মামুন, রাসেল, জসিম, মিন্টু, বিপু, সজল, সোহেল এবং আমি রোজার ঈদের ৩য় দিন ঢাকা থেকে ৬০০০ টাকায় একদিনের জন্য মাইক্রো ভাড়া করি ।
ময়মনসিংহ শহরের আগেই গাড়িতে গ্যাস ভরে নিতে হবে
সোমেশ্বরী নদীর দুর্গাপুর প্রান্ত
আমরা সকাল ছয়টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করি এবং নয়টায় ময়মনসিংহের ভালুকা গিয়ে গাড়ি থামিয়ে সকালের নাস্তা করি, এখানে প্রায় এক ঘন্টা দেরি তাই আপনাদেরকে আমার পরামর্শ খাবার দাবার গাড়িতেই সারবেন ।
নেত্রকোনার জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার পার হয়ে আমরা এক মহাবিপদে পরি সামনে এক অসমাপ্ত ব্রিজ গাড়ি আর যাবেনা । পরলাম এক জামেলায় তখন আবার প্রচন্ড বৃষ্টি, কিছু ইনফরমেশন কালেক্ট করলাম _নৌকা করে নদী পার হয়ে ঐ পার থেকে মটর সাইকেল অথবা রিকসা করে প্রায় নয় কিঃ মিঃ দূর্গাপুর বাজার, তখন বেলা প্রায় ১২ ।
অন্য একটি উপায় পাওয়া গেল দূর্গাপুর বাজার যেতে একটি বিকল্প কাচা রাস্তা আছে, গাড়ি ঘুরাতে হবে কিন্ত রাস্তা সরু তার উপর চাকা ফেসে গেছে তাতে গাড়ি ঘুরাতে আমাদের এক ঘন্টা সময় লাগল । সবাই বৃষ্টিতে বিজে সাথে কিছু স্থানীয় লোক গাড়ি ঠেলে দিলেন । আমি দুঃখিত যে গাড়ি ঠেলার কোনো ছবি তুলতে পারিনি । অবশেষে আমরা দূর্গাপুর বাজার এসে পৌছালাম বেলা ২ টায়
দূর্গাপুর পৌছার পর
দুপুরের খাবার সেরে অনেক দর কষাকষি করে ৭০০ টাকায় রানি খং গির্জা পর্যন্ত ট্রলার ভাড়া কারলাম । তবে প্রকৃত ভাড়া তিন ঘন্টার জন্য ৪০০ টাকার বেশী হবেনা ।
হিমুর এই ছবির দাম লাখ টাকা,
সোমেশ্বরী নদী
সোমেশ্বরী নদী
সোমেশ্বরী নদী
তবে আপনারদের কে আমার পরামর্শ যদি শীত মৌসমে যান তবে রিকসা বা পায়ে হেটে যেতে পারেন রানি খং তবে বর্ষা কাল হলে ট্রলার ভাড়া করে যাবেন । আমি যেহেতু বর্ষা মৌসমে গেছি তাই আমি এই মৌসমকেই ভাল বলব একারনে যে নৌকা দি্য়ে গেলে ভারত এবং মধ্য অবস্থিত সোমেশ্বরী নদীর রুপ অবলোকন করতে পারবেন ।
রাণী খং গির্জা
রাণী খং গির্জার সামনে
এখানে বলে রাখা ভাল দূর্গাপুর বাজার থেকে রাণী খং প্রায় সাত কিঃ মিঃ আর রাণী খং গীর্জা একটি উচু পাহাড়ের উপার অবস্থিত ।
পায়ে হেটে উপরের দিকে উঠছি
রাণী খং থেকে ৭ মিনিট হাটলেই বিডিআর এর বিজয়পুর সীমান্তফাড়ীঁ এটিও একটি উচূ টিলার মধ্যে অবস্থিত নদীর ওপার বাংলাদেশের কিছু সিমানা এবং ভারতীয় বড় বড় পাহাড় যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই ।
বিজয়পুর সীমান্ত ফাড়ীঁ থেকে ওপারে বাংলাদেশের একটি বিডিআর ক্যাম্প ।
এই দিকে
এবার বিজয়পুর সীমান্ত ফাড়ীঁ থেকে আমরা চারটি রিকসা ভাড়া করি চিনা মাটির পাহাড় ।
রিকসা ভাড়া যাওয়া এবং আসা ১৫০ টাকা করে তবে একটির ভাড়া ২০০ বলুনত কেন ? হাতে সময় থাকলে হেটেই যেতে পারেন সময় নিবে ৩৫ কি ৪০ মিনিট । ঐ পথেই পাবেন হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ ।
হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ
ভিত্তি প্রস্তর
হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ সামনে ।
রিক্সা থামিয়ে আমরা ফটোসেশন এর কাজ সেরেনিলাম মাত্র তিন মিনিটে ।
কারন আমাদের হাতে একদম সময় নেই ।
চিনামাটির পাহাড়ের দিকে যাচ্ছি
আমাদের হাতে সময় না থাকার কারনে শুধু প্রথম পাহাড়ে যেতে পারলাম, তবে আপনারা সময় নিয়ে যাবেন তাহলে আমাদের মত কোনো আফসোস থাকবেনা ।
চিনামাটির পাহাড় এর সামনে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।