আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরিশিরি



গ্রামীণ ফোনের কিছু বিজ্ঞাপনের কল্যানে সবার কাছে বিরিশিরি এখন একটি পরিচিত নাম বটে। আমার রং-বাজ (চারুকলার ছাত্র) বন্ধু অভির প্ররোচনায় দিনক্ষণ ঠিক হলো কিন্তু রং-বাজ বাদ। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু হতে হতে সূর্য ডুব দিল। বলে রাখা ভালো, বিরিশিরি ঘুরে দেখতে চাইতে বর্ষাকালে না যাওয়াই ভালো। স্পটগুলোতে রিক্সাযোগে ঘুরতে হয় বলে এমন সতর্কতা।

রাস্তাগুলো ভাঙ্গা থাকার কারনে বর্ষাকালে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। তবে পাহাড় ও সোমেশ্বরীর মিলিত জৌলুস যে বর্ষাকালে সম্পূর্ণ ভিন্ন তা মানতেই হয়। শীতে প্রকৃতি বিরিশিরিকে জড়িয়ে দেয় কুয়াশার আলোয়ানে। তিন দিকে পাহাড়, পাদদেশে সোমেশ্বরী। শীতে যে নদী হেঁটেই পার হওয়া সম্ভব, বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে যৌবতী, শ্রোতস্বীনির সে রূপ অনেকটাই অচেনা।

প্রকৃতির কাছে যেয়ে ভুগতে পারেন নস্টালজিয়ায়। দেখতে পারেন গারো,হাজংসহ বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠির জীবনধারা। সার্বিক ধারণা দিতে রয়েছে বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি। রঙ্গিন চীনামাটি পাহাড়ের রূপ আপনাকে আবেশি করে রাখবে দীর্ঘ সময়। চলে যেতে পারেন বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে।

ঘুরে দেখুন মিশনারী স্পট ও গীর্জা। আমরা ছিলাম এক গারোর বাড়িতে। ২ রুমের গোটা বাড়ী ভাড়া ৪০০ টাকা। সাথে খোলা উঠোন ফ্রি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।