আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের পিতা

জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। আর খালেদা রক্ষা করছেন। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের পিতা আর খালেদা জিয়া মাতা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কর্নেল তাহের দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের প্রশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেন তিনি যুদ্ধাপরাধীদের পিতা। আজ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে খালেদা জিয়া নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করলেন, তিনি যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের মাতা। জেনারেল জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে চেষ্টা করেছিলেন। খালেদা জিয়াও তার শাসনামলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেষ্টা করেছিলেন। একজন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায়, একজন তাহেরকে হত্যা করা যায়, কিন্তু সমগ্র জাতিকে হত্যা করা যায় না।

খালেদা জিয়া রাজাকারদের রক্ষা করতে পারবেন না। খালেদা জিয়া পাগলের মতো রাজাকারদের রক্ষার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হচ্ছে এবং কার্যকর হবে। জাতির কলঙ্ক মোচন হবে। আহমেদ শফী সম্পর্কে ইনু বলেন, যখন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি তখন আহমেদ শফী নারী তত্ত্ব, তেঁতুল তত্ত্বের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ ছড়াচ্ছেন।

দেশ কঠিন সময় পার করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কর্নেল তাহের সম্পর্কে তিনি বলেন, ৩৭ বছর পর গত ২০ মে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, কর্নেল তাহের দেশপ্রেমিক আর জিয়াউর রহমান ঠাণ্ডা মাথার খুনি। ইনু জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন। রাজাকার হালাল করা জিয়াউর রহমানের বিএনপি ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি সফল হবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ২০০৮ সালের নিবাচনে জনগণ মহাজোটকে যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে ক্ষমতায় এনেছিল, তার অনেক ক্ষেত্রেই মহাজোট ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করার জন্য সকল ভেদাভেদ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনেও জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। কর্নেল তাহেরের ভাই প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, জিয়া খুনি। সংসদ ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশে কি করে একজন খুনির কবর থাকে প্রশ্ন করে তা বিলের মাধ্যমে সরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি। জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন। রাষ্ট্রের সকল কাজে নিয়োজিত জামাতপন্থীদের চিহ্নিত করে সরিয়ে দেওয়া ও এ সংগঠন নিষিদ্ধেরও দাবি জানান তিনি।

কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের বলেন, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হননি জিয়া। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাহেরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দাবিও জানান তিনি । হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফ নূরুল আম্বিয়া, নারী নেত্রী শিরীন আক্তার, মেজর (অব.) জিয়া উদ্দিন, সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান প্রমূখ। আলোচনা সভায় কর্নেল তাহেরের কর্মময় জীবন তুলে ধরেন তার সহকর্মীরা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.