আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোম্পানীগঞ্জের মিলন হত্যার ঘটনা রাষ্ট্র নিজেই ঘটিয়েছে

কোম্পানীগঞ্জের অবস্থা আসলেই খারাপ। এ এলাকার মুছাপুর ও চরকাকড়া গ্রামের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এজন্য মানুষ আইন হাতে তুলে নিবে,এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। মিডিয়াতে সামসুদ্দিন মিলনের ঘটনা আলোচনা হচ্ছে। মূলত ঐদিন ৬জনকেই পুলিশ দাড়িয়ে থেকে জনগণের হাতে তুলে দিয়ে মৃত্য নিশ্চিত করেছে বলে আমি জানি।

কারণ আমার বাড়িও কোম্পানীগঞ্জ। ঘটনার পর থেকে টাইম টু টাইম নিজের এলাকা বলে খবর রেখেছি। এর আগেও এপ্রিল মাসে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে দুই যুবককে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় জনতা। এঘটনাকে দুইভাবে দেখতে চাই। ১.রাষ্ট্র নিজেই করিয়েছে।

অতীতেও এধরনের ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্র তার অপকর্ম ঢাকার জন্য মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানো, বিক্ষুব্দ জনতাকে নিয়ন্ত্রন করা জন্য। এধরনের ঘটনা আরো ঘটতে পারে। অতীত সব সরকার তাদের প্রয়োজনে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনগণকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেছে। ২.আরেকটি দিক হলো স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কর্তা ব্যক্তি মির্জা কাদের ( আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের ছোট ভাই )সঙ্গে পুলিশের দন্দ্ব।

ডাকাত দলের সঙ্গে মির্জার যোগাযোগের অভিযোগও রয়েছে। কারণ এর আগে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে মির্জা সাহেব ছাড়িয়ে এনেছেন। ডাকাতরাও ক্ষমতাসীন সরকারের লেবেল লাগিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ৪/৫ টা ডাকাতির মামলা নিয়েও মুছাপুরের রাহাত,দুক্ষিণ মুছাপুরের মাসুদ ও আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হেন্জুর ছোট ভাই রুবেল এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নিজেদেরকে মির্জার খাস লোক হিসেবে এলাকায় জাহির করে।

এতে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে ভয় পায়। মির্জার কারণে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। তিনি দলীয় জনসভা তার দলের কর্মীদের হয়রানি করলে পুলিশকে লেংটা করারও ঘোষনা দিয়েছেন। তার কথার বাহিরে কোম্পানীগঞ্জে একটি চুলও নড়ে না। মূলত মির্জা সাহেবের কারণে স্থানীয় প্রশাসন ভেঙ্গে পড়েছে।

এসব বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরকে জানানো হলেও তিনি কোন প্রকার আমলে নেননি। যার কারণে কোম্পানীগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটির সঙ্গে আমীন বাজার ও ঢাবির ছাত্র কাদের ঘটনার মিল রয়েছে বলে আমার ধারণা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.