চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যেই আগে স্থাপিত একটি বাঘের ভাস্কর্য সম্প্রতি ভাংচুর হয়েছে।
২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে তিনটি বাঘের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়, এর মধ্যে টাইগার পাস মোড়ের একটি গত রোববার রাতে আংশিক ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) মনিরুল হুদা বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, ১০টি বাঘের সঙ্গে আটটি হরিণের ভাস্কর্যও স্থাপন করা হচ্ছে।
এ কাজের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ‘বায়োস্কোপ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এগুলো নির্মাণ করবে।
এতে ব্যয় হবে এক কোটি টাকা।
নতুন ১৮টি ভাস্কর্য ইস্পাহানি মোড় থেকে টাইগার পাস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রকৌশলী মনিরুল হুদা বলেন, চারটি প্রতিষ্ঠান এই কাজের দরপত্রে অংশ নিয়েছিল। পূর্ব অভিজ্ঞতাসহ সার্বিক বিবেচনায় বায়োস্কোপকে নির্বাচন করা হয়েছে।
মনোনীত প্রতিষ্ঠানটি নকশা জমা দেয়ার পর চট্টগ্রাম নগর কর্তৃপক্ষের একটি বিশেষজ্ঞ দল ভাস্কর্যের নকশা অনুমোদন করলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাঘ ও হরিণের ভাস্কর্য নির্মাণ হচ্ছে।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে আরো কয়েকটি ভাস্কর্য ও স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
বাঘের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
টাইগার পাস মোড়ে আগে বসানো বড় আকারের বাঘের ভাস্কর্যটি ভাংচুরে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে।
নগর কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. রেজাউল করিম বলেন, “এ ধরনের শিল্পকর্ম নগরবাসীর কাছে আকর্ষণীয়।
শিশুদের জন্যও বিনোদনমূলক। তবে একটি বাঘের আঘাত আসার পর আমার কিছুটা চিন্তিত। ”
টাইগার পাস মোড়ের ভাস্কর্যটি ভাংচুর হয়েছে। কারা এটি ভেঙেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
তবে বাটালি হিলের পাদদেশের অন্য দুটি ভাস্কর্য অক্ষত রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।