শনিবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে মারা যান নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌসী বেগম (২৮)।
এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূর স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর চালিয়েছে। পুলিশ মৃত গৃহবধূর আত্মীয় আরিফুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌসী বেগমের (২৮) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের তৃতীয় তলায় নার্সদের রুমে ভাংচুর করে।
তারা নার্স ও চিকিৎসকদেরও ধাওয়া করে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
ফেরদৌসী বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে নগরীর ডা. মোখলেছুর রহমান ক্লিনিকে তার স্ত্রীর অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু অপারেশন স্থানে সংক্রমণের কারণে ‘ফিসটুলা’ রোগ দেখা দেয়।
এতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ জুলাই শেবাচিম হাসাতালের সার্জারি-১ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
নিহতের বোন নার্গিস আক্তার অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে তার বোনের শরীরে স্যালাইন দেয়ার সময় সুঁচ মেঝেতে ফেলে দেন নার্স ফাতেমা। পরে তা পরিষ্কার না করেই পুনরায় পুস করা হয়। এনিয়ে ফাতেমাকে গালমন্দ করেন তারা। এ সময় ফাতেমা দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
শনিবার সকালে নার্স ফাতেমা একটি ইনজেকশন পুস করলে তার বোনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শেবাচিমের সার্জারি বিভাগের প্রধান এ এস এম ডা. শরফুজ্জামান রুবেল বলেন, রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। তার আকস্মিক মৃত্যু রহস্যজনক।
তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে ‘কেটি (পটাশিয়াম)’ নামক ইনজেকশনের খালি খোসা পাওয়া গেছে। কোনো রোগীর শরীরে সরাসরি কেটি ইনজেকশন পুস করা যায় না। তাতে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
ডিএনএস-১০০০ মিলি স্যালাইনের সঙ্গে মিশিয়ে কেটি পুস করতে হয়। ”
তবে নার্স ফাতেমা আক্তারের দাবি কেটি নয় তিনি ভিটামিন-সি ইনজেকশন পুস করেছেন।
এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ফেরদৌস আলম শিবিব বলেন, হাসপাতালে ভাংচুরের ঘটনায় মামলা করা হবে। আর রোগী মৃত্যু ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।