বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ৮ বছর ধরে কোন আন্তর্জাতিক খেলা না হওয়ায় অবহেলায় পড়ে আছে। সংস্কার ও খেলার অভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হারানোর ভয়ও বাড়ছে। তবে এ ব্যাপারে কতপক্ষের কোন নজর নেই।
প্রায় ২০ কোটি টাকা দিয়ে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশের প্রায় সব খেলোয়াড় এই মাঠ ও পিচের প্রশংসা করেন।
এমনকি ধারাভাষ্য দিতে এসে ক্লাইভ লয়েড ও ওয়াসিম আকরাম এই মাঠের পিচের প্রশংসা করেন। উদ্বোধনের পর এখানে ১ টি টেস্ট ও ৫ টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করা হয়।
২০০৬ সালে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারলেও দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে প্রথম হারায় বাংলাদেশ। এরপর প্রথম ও একমাত্র টেস্টে হারে বাংলাদেশ। এরপর আর হারতে হয়নি বাংলাদেশকে।
কেনিয়ার বিরুদ্ধে ১৩১ রানে এবং জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ২ টি ওয়ানডে ম্যাচে ৬ উইকেট ও ২৬ রানে জেতে বাংলাদেশ। তাই চান্দু স্টেডিয়ামকে লাকি গ্রাউনড মনে করা হয়।
লাকি গ্রাউনড মনে করা হলেও এরপর থেকে আর কোন আন্তর্জাতিক খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই হয়নি মাঠ সংস্কারের কাজ। মাঠ, গ্যালারী কিংবা ফ্লাড লাইট কোথাও নেই নতুনত্বের ছোঁয়া।
কতপক্ষের উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী।
টি২০ বিশ্বকাপে ৩৯ টি খেলার একটি খেলাও নেয়া হয়নি শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। শুধু বগুড়াবাসী নয় উত্তরবঙ্গবাসী এতে হতাশ। টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত ছিল বগুড়াবাসী।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, এই স্টেডিয়ামের মাঠ খেলোয়াড়দের জন্য সহায়ক, মাঠের পিচও অনেক ভাল।
এখানে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলা হলে অনেক ভাল হবে বলে জানান তিনি। জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন বলেন, এই স্টেডিয়ামের মাঠ খেলার জন্য যথেষ্ঠ ভাল এবং এই মাঠে রান পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, পেসার শফিউল বগুড়ার মাটিতে খেলে বড় হয়েছেন। মুশফিকুর রহিম মনে করেন এবার বিশ্বকাপে তিনি তার মাঠকে মিস করবেন। এছাড়া খাদিজাতুল কোবরা, রিতু মনির মত জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের খেলার শুরু এই মাঠেই।
করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত বগুড়া জেলা উত্তরবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্রও। মহাস্থানগড় নামক প্রাচীন নগরটিও এখানে অবস্থিত। এখানে আছে আন্তর্জাতিক চারতারা মানের হোটেল নাজ গার্ডেন। এছাড়া পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা আছে এখানে। এখানে উন্নতমানের খাবার হোটেলও পর্যাপ্ত।
তবুও আজ অবহেলার শিকার বগুড়াবাসীর প্রানের এই স্টেডিয়ামটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।