আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ



নগরীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে নার্সের অবহেলা ও নির্যাতনে এক মহিলা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের আত্মীয়-স্বজনের অভিযোগ, নার্সরা বেশ দামি একটি ইনজেকশন রোগীকে না দিয়ে তা বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা রোগীকে চড়-থাপ্পড় দেয় বলেও অভিযোগ তাদের। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের পোস্ট ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আই.সি.ইউ) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে নাজমা বেগম (৪৬) মারা যান। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার দুরবস্থা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগটি সত্য হলে তা গুরুতর উল্লেখ করে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. প্রশান্ত কুমার চন্দ্র বলেন, "ধমনীতে তিনটি ব্লক নিয়ে নাজমা ১৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার বাইপাস সার্জারি করা হয়। "এরপর থেকেই তিনি হাসপাতালের পোস্ট আই.সি.ইউ'তে চিকিৎসাধীন ছিলেন। " ভেনট্রিকুলার টেকি কার্ডিয়াকে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে দাবি করেন ডা. প্রশান্ত।

নাজমার স্বামী মো. কামালউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, "আমার স্ত্রী দুই-তিনদিন আগে থেকেই বলছিলো, প্রতিদিন যে তিনটি ইনজেকশন তাকে দেওয়ার কথা, নার্সরা তা দিতো না। এর একেকটির দাম এক হাজার চার শ' টাকা। এছাড়া নার্সরা একদিন আমার স্ত্রীর মাথায় থাপ্পড়ও দেয় এবং এক আত্মীয় তা দেখেছেন। " স্ত্রীর কোনও যতœ হয়নি অভিযোগ করে কামালউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, "নার্সরা যতœ তো নেয়নি বরং সে মরলে খুশি হয়- এমন ধরনের কথাও বলেছে। "এখানকার ওয়ার্ড বয় ও নার্সরা ৩০-৫০ টাকা ঘুষের বিনিময়ে বিভিন্ন অন্যায় সুবিধা করে দেয়।

টাকা না দিলে কোনও সহায়তা করে না। " ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সত্যিই যদি এটি হয়ে থাকে, তাহলে তা একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চাই না, আমাদের সেবা নিতে এসে কারও কোনও অভিযোগ থাকুক। এ অভিযোগের তদন্ত করে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগটি গুরুতর স্বীকার করে তিনি বলেন, "নার্স বা ওয়ার্ড বয়, যারই গাফিলতি পাওয়া যাক না কেন, সাতদিনের মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

" খবর ও ছবি--বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।