বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরম শিখরে পেঁৗছে গেছে। আবিষ্কৃত হয়েছে পেনিসিলিন, মহাকাশ যান, কম্পিউটার, কৃত্রিম হার্ট, রোবটসহ কত বিচিত্র সমরাস্ত্র ও ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং আবিষ্কারের এই শীর্ষদেশে পেঁৗছে মানুষের পক্ষে আর কতদূর যাওয়া সম্ভব? এমনটাই প্রশ্ন করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, আর খুব বেশিদূর যাওয়া হয়তো সম্ভব হয়ে উঠবে না। মানুষ তার বুদ্ধিমত্তার
সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে।
শারীরিকভাবেই মানুষের পক্ষে এর চেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জন করা হয়তো আর সম্ভব হবে না। জ্ঞানের দিক দিয়ে আরও চৌকস হতে হলে মস্তিষ্কের জন্য যে পরিমাণ এনার্জি এবং অক্সিজেন প্রয়োজন তা সরবরাহ করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়বে। তাহলে মানব সম্প্রদায়ের সভ্যতার বিবর্তন ধীরে ধীরে থেমে যাবে? এ ব্যাপারে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দীর্ঘ সময় নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, অদূর ভবিষ্যতে মানুষের মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে আসবে। প্রস্তরযুগের মানুষের মতো আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা সেই পর্যায়ে ফিরে যাবে। নিউরোলজির অধ্যাপক সিমন লাউগলিন বলেন, মস্তিষ্ককে গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে গেলে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন।
এ জন্য এর ব্যবহারে আমাদের আরও সীমাবদ্ধ হতে হবে। বিশেষ কর্মপদ্ধতি নিয়ে কাজ করা উচিত যেন মস্তিষ্কে মাত্রাতিরিক্ত চাপ না পড়ে। একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, বুদ্ধিমান লোকদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে আন্তঃসংযোগ কোষ রয়েছে। তারা দ্রুত মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ থেকে তথ্য পেয়ে থাকে; কিন্তু কোষগুলো নিয়মিত সচল রাখতে পর্যাপ্ত এনার্জি দরকার, যা সংগ্রহ করা এক কথায় প্রায় অসম্ভব। সে কারণে আমাদের পক্ষে আরও সৃজনশীলতা ও উৎকর্ষতা অর্জন ক্রমেই অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বিজ্ঞানীরা জানান, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কোষে বুদ্ধিমান লোকদের প্রণোদনা ও অভিঘাত হয় দ্রুত। যাদের এটা হয় না তারা ততটা বুদ্ধিমান নয়। পরিশেষে বিজ্ঞানীরা বলেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই চূড়ান্ত আগাম মন্তব্য করা উচিত হবে না হয়তো ...। তবে এটা ঠিক, আমরা আমাদের মস্তিষ্কের ওপর এরই মধ্যে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করে ফেলেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।