বিস্মৃতি পেয়ে বসেছে খুব
আকবর ভাইর সঙ্গে এখনও মাঝেমাঝে দেখা হয়।
সদর রোড,বগুড়া রোড, গির্জা মহল্লা, ফজলুল হক এভিন্যু
ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয়ে যায়।
কৈশরে প্রবল আবেগ নিয়ে আমরা একটা সাহিত্য আসর করেছিলাম। আসরটি প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত বসতো।
কি এক দুর্বার আকর্ষণে আমরা হাজির হতাম সে আসরে।
মিলান ফারাবি, জিয়া হাসান, নসরত শাহ্ আজাদ, রেজাউর রহমান শোয়েব, আসমা চৌধুরি, মামুন নেসার আহমেদ, সাইদ রহমান, দিলু হুসাইন
আকবর ভাই, মকবুল ভাই আরো অনেকেই, যাদের নাম এখন আর চট করে মনে পড়েনা।
আকবর ভাই কবিতা পড়তেন। তার কবিতা ছিলো সহজ ধরনের, অনেকটা ছন্দবদ্ধ,আধুনিক কবিতার জটিল নিয়মকানুন তার জানা ছিলো না, তার কবিতা
আমাদের খুব আকৃষ্টও করতো না। লেখা পাঠের পরে সমালোচনার নিয়ম ছিলো।
আকবর ভাইর কবিতা নিয়ে সমালোচকরা শুধু উপদেশই দিতেন।
আমাদের সেই সাহিত্য আসর ভেঙ্গে গেছে পনের-কুড়ি বছর আগে।
আকবর ভাইর সঙ্গে দেখা হলে এখনও তিনি জ্ঞিগেস করেন, সাহিত্য আসর কি হচ্ছে এখন? এই দীর্ঘ সময়ে তার কবিতার কি পরিবর্তন হয়েছে আমি জানিনা, কিন্তু তার চেহারায় কোন পরিবর্তন নেই, সেই একই রকম,পায়ে চপ্পল,
লম্বা ফুলহাতা সাদা শার্ট প্যান্টের উপরে ছেড়ে দেয়া, একটা মলিন শ্যামলা মুখ। মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে জ্ঞিগেস করি, আকবর ভাই, এখনও কি কবিতা লিখছেন? অথবা আপনার কি কোন কবিতার বই বেরিয়েছে? অথবা
আমাদের আসরের অনেকেই এখন জাতীয় পর্যায়ে লিখছেন অপনি কি সেটা জানেন? কিন্তু কিছুই তাকে জ্ঞিগেস করা হয়না।
খামাখা অদরকারী কথা বাড়িয়ে লাভ কি! শুধু তার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাই;
না সাহিত্য আসর হচ্ছেনা এখন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।