শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ নারী সমাজের ব্যানারে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশ থেকে হেফাজতের আমিরকে ‘লালা শফী’ উপাধি দেয়া হয়।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, “শফী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো সব জায়গায় বলা হয়। এটা তার জীবনের প্রথম বা একমাত্র বক্তব্যও নয়। এটা নতুন কিছুও নয়।
তিনি একা এটা বলেন না। সাঈদীসহ অন্যদের বক্তব্য যদি শুনে খাকেন, তাহলে দেখবেন, তারাও এগুলো বলেছেন। ”
“এরা একাত্তরে নারীদের গনিমতের মাল বলেছে। ওয়াজে এরা নারীদের কাঁঠাল বলে ছেলেদের মাছি বা নারীদের কলা বলে ছেলেদের ছাগলের সঙ্গে তুলনা করে। তারা বলেছে, কাঁঠাল বা কলা ছিলে রাখলে তাতে মাছি বা ছাগল মুখ দিবে।
আমি বুঝতে পারছি না, পুরুষরা কেন এই সব বক্তব্যের প্রতিবাদ করছে না। ”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এএম মাসুদুজ্জামান বলেন, “শফী বলেছেন, নারীদের দেখলে দিলের মধ্যে লালা বাইর অয়, বিবাহ করতে ইচ্ছা অয়, লাভ ম্যারেজ, কোর্ট ম্যারেজ করতে ইচ্ছা অয়। ”
“এ কথা কার উদ্দেশ্যে বলেছেন? পুরুষদের উদ্দেশ্যে। আমি বলছি, নারীদের দেখলে শফীর লালা বের হতে পারে। সব পুরুষের এটা হয় না।
এরপরেও এ রকম নিকৃষ্ট মন্তব্যকারী শফীকে আমি লালা শফী উপাধি দিচ্ছি। ”
ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, “শফী যে ভাষায় কথা বলেছেন, সেই কথার জবাব দিতে হলে আমাদের মানবিকতা থেকে নিচে নামতে হবে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নাই। এই তেতুলখোরদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। ”
গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু বলেন, শফী বলতে চেয়েছেন, নারী হচ্ছে তেঁতুল আর পুরুষ হচ্ছে তেঁতুলখোর।
এভাবেই তারা মানুষের চিত্র এঁকেছে। এই চিন্তা মানব ইতিহাসের বিকাশের অন্তরায়।
“ভয়ঙ্কর প্রাণীদের আমরা খাঁচায় বন্দী করে রাখি। এদের খাঁচায় বন্দী করে রাখতে হবে। এরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে মন্তব্য করে।
এত বড় স্পর্ধা পায় কী করে? শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এদের উস্কে দেয়া হবে। ”
রোকেয়া কবীর বলেন, এরা বিকৃত মানসিকতার। প্রতিনিয়ত পত্রিকায় দেখি, এদের হাতে মাদরাসার ছোট ছোট বাচ্চারা বলাৎকারের শিকার হয়। তাই এদের কেবল আটক করে জেলখানায় নিযে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এদেরকে পৃথক স্থানে রাখতে হবে।
মুল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।