হা হা হা পায় যে হাসি!!! পোস্ট উৎসর্গঃ ব্লগার আলিম আল রাজি*
দ্বিতীয় জন্ম নাটকটা খুব সম্ভব এইসব দিনরাত্রির পরপর, তার মানে ৮৬-৮৭ সালের দিকের। হুমায়ুন আহমেদ তখন শুধু সাহিত্য বা নাটকে না, সমগ্র বাংলাদেশেরই সবচেয়ে বড় তারকা, যাকে বলা যায় ক্রেজ। এই জৌলুসপূর্ন সময়ে তার নাটকগুলি যেমন হত - খানিকটা হিউমার, খানিকটা পাগলামি আর খানিকটা আবেগ - এই নাটকটি সেরকমই। শাওন, এজাজ আহমেদ ইত্যাদি যন্ত্রনাগুলি তার ঘাড়ে তখন ছিল না। নিজের পরিচালনার পাগলামিটাও তখনও ওঠেনি, প্রাইভেট প্রডাকশন না থাকায় সেটা সম্ভবও ছিল না অবশ্য।
অকৃতদার আবুল হায়াত সদ্য অবসর নিয়েছেন। মমতাজউদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী মিনু রহমান এবং তরুনী কন্যা লুৎফুন্নাহার লতা। সবাই একই বাড়িতে থাকে। মমতাজউদ্দিন আবুল হায়াতের ছোট ভাই কিন্তু সম্পর্ক প্রায় বাবা-ছেলের মত। বাবার মৃত্যুর পর হায়াত সাহেবই ছোট ভাইকে বড় করেন।
হায়াত সাহেবের কঠিন ব্যক্তিত্বের সামনে একটু মিনমিনে স্বভাবের মমতাজ সাহেব সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারেন না।
অবসরজীবন নিয়ে হায়াত সাহেব খুবই বিরক্ত। তার করার কিছুই নাই। রাশভারী লোক বলে কোন বন্ধুবান্ধব নাই। রিকশাওয়ালার সাথে গল্প করতে যান, তারাও বিরক্ত হয়ে চলে যায়।
এই অবস্থায় তার সাথে পার্কে দেখা হয় আরেক বুড়ো রগচটা স্বভাবের আবুল খায়েরের সাথে।
মমতাজউদ্দিনের সাথে কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারনে হায়াত সাহেব বাড়ি ছেলে একটা হোটেলে ওঠেন। কাকতালীয়ভাবে সেই হোটেলে তার পাশের রুমেই থাকেন আবুল খায়ের। দু'জনের মধ্যে এবার সুন্দর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তারা পরিকল্পনা করেন, নিজেদের সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে বৃদ্ধদের জন্য একটা ওল্ডহোম তৈরী করবেন।
দু'একদিনের মধ্যেই হায়াত সাহেবের ভাইয়ের পরিবার তাকে ফিরিয়ে নিতে হোটেলে চলে আসে। যাবার সময় উনি খায়ের সাহেব জোর করে নিয়ে যান। বহুদিন পর খায়ের সাহেব আবার পরিবারের সান্নিধ্য পান। দুই বুড়ো কাজে নেমে পড়েন তাদের বৃদ্ধাশ্রমের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
প্রধান তিনটি চরিত্রে মমতাজউদ্দিন, আবুল হায়াত এবং আবুল খায়ের তিনজনই অসাধারন কাজ করেছেন।
অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্রগুলিও মোটামুটি সাপোর্ট দিয়েছে। মিনু রহমানকে আমার কখনোই খুব ভাল লাগেনি। উনি চরিত্রে নতুন কিছু আনতে পারেন না। গতানুগতিক অভিনয় করে যান, এ নাটকেও তাই। চরিত্রের তুলনায় লতার বয়স কিছুটা বেশি মনে হয়েছিল।
এছাড়া এই চরিত্রটার জন্য সালোয়ার কামিজ ছিল মানানসই। বাংলাদেশে অবিবাহিতা মেয়েদের মধ্যে শাড়ি পরার চল কোনকালেই ছিল না। এমনও না যে ওইসময় সব নাটকের নায়িকারা শাড়ি পড়তেন। লতার পুরো নাটকে শাড়িটা বেখাপ্পা লেগেছে।
এখানে নাটকের ডাউনলোড লিঙ্ক আছে।
সবগুলি অংশ ডাউনলোড করে একই ফোল্ডারে রাখতে হবে, এরপর winrar দিয়ে extract করে নিলে ভিডিও ফাইলটা পাওয়া যাবে। কোন ধরনের সমস্যা হলে, অন্য কোন হোস্টিং সাইটের ডাউনলোড লিঙ্ক দরকার হলে নির্দ্বিধায় জানাতে পারে। আমার জন্য আপলোড করা কোন সমস্যা না। দরকার হলে আমি আরও দশটা সাইটে আপলোড করে দিব, যেটাতে আপনার সুবিধা হয়।
ভিএইচএস থেকে কনভার্ট করা ভিডিও।
কোয়ালিটি মোটামুটি। কিছুটা সিনক্রোনাইজেশন (ছবি আর শব্দের অমিল) সমস্যা আছে, তবে ক্লোজআপ ছাড়া খুব একটা বোঝা যায় না। এটা নাটকটা উপভোগ করতে কোন সমস্যা করবে না। ৪৭ মিনিটের পর ১-২ মিনিটের একটা দৃশ্য মিসিং। এই দৃশ্যে দুই বুড়ো রাস্তা দিয়ে আইসক্রীম খেতে খেতে হাঁটতে থাকে আর তাদের বৃদ্ধাশ্রমের পরিকল্পনা করে।
প্রথম অংশ
দ্বিতীয় অংশ
তৃতীয় অংশ
চতুর্থ অংশ
পুরো নাটক একসাথে (winrar লাগবে না, এটাই ভিডিও ফাইল)
==============================================
* ব্লগার আলিম আল রাজির লেখার আমি দারুন ভক্ত। রম্য লেখা একটা রাজকীয় শিল্প আর রাজি এই শিল্পের রাজা। আমার অর্ধেক সমান বয়স। এত কমবয়সী একজনকে ঈর্ষা করা আমার জন্য অনুচিৎ, কিন্তু আমি নিজেকে সামলাতে পারি না। রাজি, আপনার জন্য স্কাই ইজ দ্য লিমিট।
ফোকাস এদিক-ওদিক না দিয়ে নিজের সাধনা চালিয়ে যান, দশ বছর পর যেন আপনার লেখা বই বা নাটকের রিভিউ পেশাদার সমালোচকরা লিখে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।