আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের আব্দুল-২

এসো, গল্প শোনাই।

ভার্সিটি এবং ক্যাম্পাসের গল্প নিয়ে লেখা সিরিজ এর ২য় খন্ড। বিগত লেখা(আমাদের আব্দুল ) নিয়ে আব্দুল তীব্র প্রতিবাদ জানাইছে এবং শতকরা ৪০ ভাগ বানোয়াট বলে দাবী করছে। তাই এবার ঠিক করলাম নিজের উপস্হিতিতে ঘটা একটা ঘটনা লিখব। গত লেখাটা যদি পড়ে থাকেন, তাহলে আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছেন যে লেখাপড়া বা পরিক্ষা নিয়া আব্দুলের যত মাথা ব্যথা, তার থেকে অনেক বেশি চিন্তা ভাবনা হলো সেগুলার আয়োজন নিয়া।

কোনো এক সেমিস্টারের শুরুতে আব্দুলরে খুব সিরিয়াস দেখা গেল। বইপত্র, খাতা, কলম সব কিনা সে রেডি। খাতা কিনছে প্রতি সাবজেক্ট এর দুই দুইটা কইরা। একটাতে Class Note তুলবে, আরেকটাতে Rough করবে। এখানে বলে রাখা ভালো বই কিনুক বা না কিনুক, সেমিস্টারের শুরুতে আয়োজোন কইরা খাতা কেনা তার বাতিক এবং কিছুদিন পরে কোন খাতা কোন দিকে গেলো কোনো খবর থাকেনা।

আমার রুমমেট বখতিয়ার ছিলো সেই খাতা গুলার এক নাম্‌বার কনজিউমার। এই সেমিস্টারে এক্স্‌ট্রা সিরিয়াস হিসাবে সে খাতা কিনা আমাদের রুমে ঢুকে বখতিয়ারকে নোটিশ দিলো কোনো খাতা যেনো সে দখল না করে। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে বখতিয়ারকে পাশে বসায়ে খাতার কভারে বড় বড় অক্ষরে নিজের নাম লিখলো "ABDULLAH". রুম থেকে বের হবার সময় আবার বখতিয়ারের দিকে তাকায়ে একটা বিজয়ীর হাসি দিয়া গেলো। বখতিয়ারের উপর আমার পুরা বিশ্বাস ছিলো। কিন্তু কিভাবে সে খাতাগুলার দখল নিবে এইটা কোনো ভাবেই মাথায় আনতে পারতে ছিলাম না।

এরপর সেমিস্টারের মাঝখানে খাতাগুলার কী হলো, তা আর খোজ নেওয়া হয়নি। যখন পরিক্ষার সময় আসলো, তখন দেখি বখতিয়ার তুমুলভাবে লেখালেখি করতেছে এবং আমার জ়ানা মতে সে কোনো খাতা কিনে নাই। একটু সন্দেহ মনের মধ্যে চারা দিলো, কিন্তু পরে মনে হইলো, খাতা হয়তো সে এবার কিনেই নিয়া আসছে। পরিক্ষার আর একদিন আছে। এই রকম সময় পোলাপানের গালি শুইনা আব্দুলের সিরিয়াসনেস চারা দিয়া উঠলো।

বই খাতা নিয়া বসতে গিয়া দেখে তার খাতা একটাও নাই। সরাসরি আমার রুমে ঢুকে বখতিয়ারকে ধরছে;"মামা ! আমার খাতা কই?" বখতিয়ার খেইপা আব্দুলকে "মাতারি" বলে স্বম্মোধন করলো এবং স্পষ্ট ভাষায় জানায় দিলো সে কোনো খাতা দখল করে নাই। আব্দুল তো পুরা কনফিউজড!! আমিও বখতিয়ারের মেজাজ দেখে কিছু জিঞ্জাসা করার সাহস পাইলাম না। সারা মেস খুইজা আব্দুল কারো কাসে খাতার হদিস পাইলো না। এর মধ্যে লিখা অবস্থায় তাপস, সিহানের খাতার কভার চেক করতে গিয়া বিশাল ঝারি খাইলো।

আর সহ্য করতে না পাইরা আবার আমার রুমে ঢুকে বখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে বসলো। আমি দেখলাম অবস্থা তো খারাপ। গ্যাঞ্জাম তো দেখি একটা লাগতেছে। আব্দুলের পক্ষ নিয়া আমি বখতিয়ারকে রিকোয়েস্ট করলাম খাতার কভার দেখাইতে। কিন্তু বখতিয়ার আর কোনো ভাবেই খাতা উল্‌টাইতে দিবে না।

আব্দুল খাতা নিয়া টানাটানি শুরু করলো। টানাটানিতে এক সময় খাতা ছিটকে পড়ল এবং কভার পেজে লেখা আবিষ্কার হইলো "BOKHTIAR" "GIFTED BY" "ABDULLAH"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.