সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে এখনই সরাসরি কোন পদক্ষেপ নেয়ার মত সাহস হাসিনার নেই। কারন DEAL কন্যা হাসিনা ভাল করেই জানেন যে এখন জলিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অর্থ হচ্ছে যে আব্দুল জলিল থলে থেকে বাকী সব বিড়াল বের করে দিবেন। আর তাই কোন রকম সন্তোষজনক DEAL না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ভয় দেখিয়া বা কোন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে জলিলকে নিয়ন্ত্রনে না আনা পর্যন্ত DEAL কন্যা হাসিনা কিছু সময় নিবেন। এটাই স্বাভাবিক।
এখন পরিকল্পিত ভাবেই বিভিন্ন নেতাদের দিয়ে জলিলের বিরুদ্ধে বেশ গরম বক্তব্য দেয়ানো হচ্ছে, পক্ষ এবং বিপক্ষ দুইটি রাখা হয়েছে যেন তারা একটু বিতর্কের সৃষ্টি করে বিভিন্ন কথার মধ্যে দিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে সাধারন মানুষকে ধোকা দিতে সক্ষম হন কিন্ত তারা কখনো বোঝতে চান না যে সাধারন মানুষ এখন আর সেই আগের মত বোকা নন।
জলিল এর সাক্ষাৎকার রেকর্ড করার পর পরই আওয়ামী গুন্ডারা জলিলকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। রেকর্ডকারি চ্যানেলকে বাধ্য করে সাক্ষাৎকারটি প্রচার না করার জন্য, অর্থাৎ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাক্ষাৎকারটি কিনে নেয়া হয়। আওয়ামীরা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি, তাদেরকে দিয়ে এটাও বলানো হয়েছে যে BNP নাকি চ্যানেলটিকে তাদের প্রলোভিত করেছে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করার জন্যে, যা এর আগেও আমি বলেছি যে আওয়ামীদের কৌশল হচ্ছে যে তারা যে অনৈতিক কাজ গুলো করে থাকে সাথে সাথেই তারা ঠিক সেই ধরনের অভিযোগ তুলে প্রচারনা চালাতে থাকে তাদের বিপক্ষের বিরোধ্যে, এটি হচ্ছে তার আর একটি উদাহরন। চ্যানেলটির নৈতিক দায়িত্ব ছিল সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করার, কিন্ত তারা এটি না করে মিলিয়ন বৃটিশ পাউন্ডের বিনিময়ে তা প্রচার থেকে বিরত থেকে এটাই প্রমান করেছে যে তারা সাংবাদিক নন, তারা টাকার বিনিময়ে সব কিছুই করতে প্রস্তুত।
জলিলের উপর হামলা হওয়ার পরপরই তিনি প্রাণ বাচাতে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বাধ্য হন।
DEAL কন্যা হাসিনা ও ক্যাশিয়ার রেহানার নির্দেশে আব্দুল গফফার চৌধুরী একদিকে জলিলের সাথে দরকষাকষি করতে থাকেন আর অন্যদিকে জলিলের উপর চাপ প্রয়োগের জন্যে তার পরিচালিত ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় চাঁদা চেয়ে পত্র পাঠানো হয়। তার পরিবার ও আত্মিয় সজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং নির্যাতন করার হুমকি দেয়া হয়। অর্থাৎ তারা জলিলকে এটা বোঝাতে সক্ষম হন যে জলিল যদি হাসিনার কথা মত না চলেন তা হলে তার সবকিছুই ধংস করে দেয়া হবে। ইংল্যান্ডের মাটিতেই আক্রমনের শিকার জলিল বেশ ভালভাবেই বোঝতে পেরেছেন যে পৃথিবীর আর কোথাও তিনি নিরাপদ নন কারন তিনি নিজেও একজন সন্ত্রাসী আর এতোদিন তিনি নেত্রীর অনেক নির্দেশই পালন করেছেন তাই এখন তার বিরুদ্ধে যে নেত্রী কোন নির্দেশ দিবেন তা জলিলের চাইতে আর ভাল কেউ জানেনা। লগি বৈঠার বিবিধ ব্যাবহারের সহকারি আবিস্কারক নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে তাকে কত মর্মান্তিক মৃত্যুর মুখমুখি হতে হবে।
তখন থেকেই জলিলের সুরের পরিবর্তন দেখা দেয় আর প্রথমে দুঃখ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে শুরু করেন এবং সর্বশেষ নিজেকে পাগল ঘোষনা করেন।
এখন দেখি কে পাগল আর কে কাকে পাগল বলে।
কোন পাগল কি কখনো বলে যে “আমি পাগল”? যদি সেই পাগলের এই টুকু বিচার করার ক্ষমতা থাকে যে সে পাগল তাহলে কি তাকে পাগল বলা যায়? পাগল যদি বোঝত যে সে পাগলামি করছে তাহলে কি সে পাগলামি করতো?
পাগল কখনো বোঝতে পারেনা যে সে পাগলামি করছে। যার জলন্ত উদাহরন হচ্ছে মূখ্যমন্ত্রী হাসিনাকারজাই যাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আদালত কর্তৃক মানসিক ভারসাম্যহীন অর্থাৎ পাগল বলে ঘোষনা করা হয়েছে। এখন এই আদালত কর্তৃক ঘোষিত পাগল যদি অন্য কাউকে পাগল বলে তাহলে কি আমাদেরকে তাই বিশ্বাস করতে হবে?
একটি কৌতুকঃ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একদিন একটি পাগলা গারদ পরিদর্শন করতে গেলেন।
পাগলা গারদে ঢোকার পর কয়েকজন পাগল এসে তার সাথে পাগলামী করতে শুরু করলো। পাগলদের পাগলামিতে প্রেসিডেন্ট কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন “এই তোমরা আমাকে চিন?” তখন এক পাগল পাল্টা প্রশ্ন করলো “না, আমরা তোমাকে চিনিনা, তুমি কে?” তখন প্রেসিডেন্ট উত্তর দিলেন “আমি হচ্ছি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট” আর তখনই সব পাগল হো…হো…হো… করে হেসে বলল “দেখ হে, এখানে যারা আসে তারা প্রথমে এ রকমই বলে থাকে”।
তো আমেরিকা থেকে ফিরে এসেছেন আদালত কর্তৃক ঘোষিত পাগলনি আর এসেই অন্যান্য পাগলদের সাথে মিটিং করে ঘোষনা করলেন যে জলিল পাগল।
আমরা এখন কোন পাগলের কথা বিশ্বাস করবো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।