আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নরওয়ে হত্যাকাণ্ড : ব্রেভিকের সঙ্গে ব্রিটেন ও ভারতের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা

আমি এই আমাকে খুঁজে ফিরি সবার মাঝে………………….. তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাকেই পছন্দ করে যা সে নিজের জন্য ভালো মনে করে। আল-হাদিস আল-জাজিরা প্রচণ্ড মুসলিমবিদ্বেষী নরওয়ের উগ্র মৌলবাদী খ্রিস্টান অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেভিকের সঙ্গে ব্রিটেনের ডানপন্থী উগ্রবাদীদের সম্ভাব্য যোগসূত্র পরীক্ষা করে দেখছে ব্রিটিশ পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন একথা নিশ্চিত করেছেন। ব্রেভিকের দেড় হাজার পৃষ্ঠার অনলাইন ইশতেহার থেকে জানা গেছে, সে ২০০২ সালে ব্রিটেনে উগ্র ডানপন্থী দু’ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকের পর এ কাজে উত্সাহিত হয়েছে। এ সম্পর্কে ক্যামেরন বলেছেন, বিষয়টি ব্রিটিশ সরকার খুবই গুরুত্বসহকারে দেখছে।

তবে এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হবে না। তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটা ব্রেভিকের দাবি এবং তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে, সে কারণে এখনই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। এছাড়া নরওয়ে হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটেন নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তে নরওয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করছে ব্রিটেনের পুলিশ। ব্রেভিক আদালতে শুনানির সময় বলেছেন, তার সংগঠনের আরও দুটি শাখা রয়েছে।

অ্যাংলো ভাষায় স্বাক্ষতির তার ওই ইশতেহারে ২০১১ সাল এবং প্রকাশের স্থান হিসেবে লন্ডনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এতে ব্রেভিক দাবি করেছেন, তার সঙ্গে ইংলিশ ডিফেন্স লিগ নামে একটি চরম উগ্র ডানপন্থী সংগঠনের ছয়শ সদস্য রয়েছে। তারা সবাই তার ফেসবুক বন্ধু বলেও জানিয়েছে ব্রেভিক। সংগঠনটির নেতা ডারলি হবসনও জানিয়েছেন, ব্রেভিক তার ওই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছে। এ অবস্থায় অনেকেই মনে করছেন, উগ্র ডানপন্থীদের হুমকি উপেক্ষা করার খেসারত দিতে হতে পারে ব্রিটেনকে।

এদিকে নরওয়ে হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় যোগসূত্রের খবর দিয়েছে দিল্লি থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক হিন্দু’। ব্রেভিকের মুসলিমবিদ্বেষী ক্রুসেড সংস্থার ব্যাজ বা লোগো হিন্দুদের তীর্থ নগরী বেনারসি থেকে তৈরি করা হয়েছিল। আর এ ব্যাজটি তৈরি করেছে বেনারসির ‘ইন্ডিয়ান আর্ট কোম্পানি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ব্রেভিক। মানুষের একটি করোটির মধ্যদিয়ে ধারালো ছুরি ঢুকানো ছিল ওই ব্যাজে।

আর এতে লেখা ছিল ‘ব্যাজ অব দ্য জাস্টিসিয়ার নাইট’। প্রতি ব্যাজের জন্য দেড়শ’ ডলার করে মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে বলে ব্রেভিকের ডায়রি থেকে জানা গেছে। এ অর্থ দেয়া হয়েছিল ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে। অন্যদিকে, নিউইর্য়ক টাইমসে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমবিদ্বেষী ব্লগারদের লেখা থেকে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে ব্রেভিক। ১৯৯৫ সালে ওকলাহোমার ফেডারেল বিল্ডিংয়ে যে বোমা হামলা হয়েছিল তার সঙ্গে নরওয়ের লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের অনেক মিল রয়েছে।

ওকলাহোমা হামলায়ও জড়িত ছিল এক উগ্রবাদী খ্রিস্টান। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা এবং ফরেনসিক সাইকোলজিস্ট মার্ক সেগম্যান বলেছেন, ব্রেভিকের লেখায় মনোবিকলের কোনো আলামত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, ওকলাহোমার বোমারু টেড ক্যাগজিনস্কির সঙ্গে ব্রেভিকের আচরণে অনেক মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেগম্যান। টেডও এ ধরনের ইশতেহার তৈরি করতে বহু বছর সময় নিয়েছিল এবং তার কথিত থিউরির প্রতি নজর টানার জন্য বোমা হামলার পথ বেছে নিয়েছিল। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.