আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাথাব্যথা নিয়ে মাথাব্যথা?

মাথাব্যথায় কে না ভোগে? মাথাব্যথার উৎস মাথা হতে পারে, নাও হতে পারে। আন্তর্জাতিক হেডেক সোসাইটির মতে, মাথাব্যথা দুই ধরনের: প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারি মানে মাথাব্যথাটাই যখন রোগ। আর সেকেন্ডারি হলো মাথাব্যথা যখন অন্য কোনো রোগের উপসর্গ মাত্র। প্রাইমারি মাথাব্যথার রোগীর সংখ্যাই বেশি।

আর এর মধ্যে প্রথম হলো টেনশনজনিত মাথাব্যথা, দুই নম্বরে আছে মাইগ্রেন। কিন্তু আপনার মাথাব্যথা যে টেনশনজনিত, অন্য কোনো গুরুতর কারণে নয়, তা কীভাবে বুঝবেন?
মাথাব্যথার সাধারণ লক্ষণ
 মাথার চারপাশে ও ঘাড়ের পেছনে চাপ অনুভূত হওয়া
 ব্যথার তীব্রতা মৃদু থেকে মধ্যম মাত্রার
 মাথার দুই পাশে ভোঁতা একটা ব্যথা অনুভূত হয়
 মাথার সাধারণ শারীরিক পরিশ্রমে (যেমন হাঁটা, সিঁড়িতে ওঠা) মাথাব্যথা বাড়ে না
 মাথার বমিভাব, আলোভীতি, শব্দভীতি থাকে না
 মাথার মাথাব্যথা আধা ঘণ্টা থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে
 মাথার বছরে ১০-১২ বার হতে পারে
 মাথার দীর্ঘদিন ধরে হলে ঘুমের সমস্যা, মাথা ঘোরা, মনোযোগ কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে
চিকিৎসা
প্রথম কাজ হলো সঠিক রোগ নির্ণয়। সে ক্ষেত্রে রোগীর অভিজ্ঞতার বর্ণনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বর্ণনা শুনে এবং রোগীকে ভালো করে পরীক্ষা করে এই রোগ নির্ণয় করা যায়। রোগ নির্ণয়কেন্দ্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার পড়ে না।

তবে যাঁরা ঠিকমতো তথ্য দিতে অপারগ বা চিকিৎসকের সন্দেহ হলে ঝুঁকি এড়াতে কিছু পরীক্ষা করতেও পারেন।
প্যরাসিটামল, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন কখনো কখনো ন্যাপ্রক্সেন জাতীয় ওষুধে এই ব্যথা সেরে যায়। তা ছাড়া শিথিলায়নের কিছু পদ্ধতি যেমন: শবাসন, ধ্যান, মেডিটেশন ও ম্যাসাজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। রোগ সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান ও ইতিবাচক চিন্তা রোগীকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে নিজের যত্ন নিন।


মনোরোগবিদ্যা বিভাগ বিএসএমএমইউ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.