বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংশোধনবাদী লাইনকে যারা প্রমোট করে রাজনীতির বারোটা বাজিয়েছে রাশেদ খান মেনন তাদের অন্যতম। আওয়ামী লীগের সাথে জোট বেঁধে মেননরা মনে করেছেন যে খুব বিল্পবী হয়ে গেছেন তারা! ভোট যুদ্ধে আওয়ামী লীগের নৌকায় পা রেখে পার্লামেন্ট পর্যন্ত যেতে পেরেই নিজেকে খুব বিল্পবী ভাবছেন। তেল গ্যাস কমিটি মত জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে নিজেকে আর নিজের দলকে(ওয়ার্কাস পার্টি) নামকা ওয়াস্তে শরীক রেখে এই আন্দোলনের মত গুরুত্বপুর্ন আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ভিকারুন্নেসা স্কুলের আন্দোলনকারী ছাত্রীদেরকে পৃষ্টদেশ প্রদর্শন করে তিনি বিদেশ পাড়ি জমালেন। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে কোমলতি ছাত্রীরা যখন আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের আত্নমর্যাদার লড়াইয়ে শামিল হয়েছে তখন পরিচালনা পর্ষদের এই দক্ষিনপন্থী সুবিধাবাদী নিজেকে আড়াল করে নেবার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মেননকে বলতে চাই বাংলার রাজনীতিতে যে জঞ্জাল তুমি সৃষ্টি করেছ ইতিহাস তোমাকে ক্রুশ্চেভের বাংলা ভার্সনই মনে করবে। আওয়ামী লীগের সাথে জোট বাধার ব্যাপার কৌশল না নীতি আজ তা সবার কাছে পরিষ্কার। আজ আওয়ামী লীগের শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে ঠিক সেভাবেই মেনন তুমিও চাইছ। তোমার মত ক্রুশ্চেভের বিল্পবী ভেক স্বয়ং লেনিনই খুলে ফেলেছিলেন। "ইটালি, ফ্রান্স ত্রবং জার্মান কমিনিস্টদের প্রতি শুভেচ্ছা" প্রবন্ধে লেনিন বলেছিলেন, " কেবলমাত্র পাকা বদমাস অথবা একেবারে নির্বোধরাই ভাবতে পারে যে সর্বহারারা বুর্জোয়াদের জোয়ালে বাধা অবস্থায়, মজুরী-দাসত্বে বাধা থেকে, তাদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করুক এবং তারপরই কেবল তারা ক্ষমতা দখল করবে।
এ হলো নির্বুদ্ধিতা এবং দ্বিচারিতার সর্বোচ্চ শিখর; পুরোনো ব্যবস্থা এবং পুরোনো ক্ষমতা-র মধ্যে নির্বাচন দিয়ে শ্রেনীসংগ্রাম এবং বিল্পবকে প্রতিস্থাপন করা। "
বিল্পবী রাজনীতির পুরোধা লেনিনকে দিয়ে যদি মেননের মেকি বিল্পবীপানা বিচার করি তবে আরো পরিষ্কার হতে থাকবে শ্রমিক শ্রেনীর আন্দোলনকে বিপথে নেবার ক্ষেত্রে এই বাংলা ভার্সন ক্রুশ্চেভের অপরাজনীতি। যে মার্ক্স আর লেনিনের দোহাই দিয়ে মেননরা নিজেদের রাজনীতি অর্থাৎ অপরাজনীতির জাস্টিফিকেশন করতে চায় সেই লেনিন বলেছেন, "সরল গ্রামীন জনতাকে বিল্পবী-গনতান্ত্রিক কথা বলা, আমলাতন্ত্র আর লাল ফিতের ফাস দিয়ে পুজিবাদীদের 'মন রঞ্জন' করা- এই হল 'সৎ" মোর্চার নির্যাস। " মেননের "মহাজোট" নামক একপাল শুকরের সাথে কাদায় আনন্দ খুজে পাওয়ার সমতুল্য। আরো অনেক ফিরিস্তি দেওয়া যাবে যাতে এটা প্রমান করা যায় যে মেননরা এখন আর মার্ক্স লেলিনের আর্দশে বিশ্বাস করেন না।
সুবিধাবাদি মধ্যবিত্ত শ্রেনীর চরিত্র ধারন করেই এই দেশে সিপিএম মার্কা রাজনীতিকে তারা বিশ্বাস করেন। কলকাতায় সিপিএম এর ভরাডুবি হতে ৩৩ বছর সময় লাগলেও আশা সঞ্চারকারী বিষয় হল বাংলাদেশে মেননদের ভরাডুবি হবার সময় খুব তাড়াতাড়ি ঘটে যাবে। সময় ঘনিয়ে আসছে। ছোট কোমলমতি ছাএ-ছাত্রীরা চিনে গেছে এদের, চিনে গেছে দুর্নীতিবাজদের, আওয়ামী লীগ, বিএনপিকে, ওয়ার্কাস পার্টিকে তারা চিনে ফেলেছে। আগামী দিনের প্রজন্ম এদেরকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলবে এই প্রত্যয় আমি দেখেছি আজ শহীদ মিনারের পাদদেশে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।