১) ঘটনার সময়কাল ২০০৮। স্থান সাভার। জুম্মার নামাজ পড়তে গেলাম মসজিদে। জুম্মার খুদবা চলছিল। ঐ দিনের আলোচনার বিষয় হালাল খাবার ও মুখরব খাবার আর হারাম খাবার।
একপর্যায়ে উনি বয়লার মুর্গি নিয়ে আলোচনায় চলে গেলেন। বয়লার মুরগী যেহেতু ঝিনুক খাচ্ছে; নেচারালি বর হচেছ না; বিভিন্ন প্রকার না-পাক খাবার খাচ্ছে; মানুষে অতিখাবার দিয়ে তারাতারি বর করছে তাই তাদের মাংশ না খাওয়ায় ঠিক সহ বিভিন্ন সচেতনতা মূলক বক্তিতা দিলেন। আসল উদ্দেশ্য বের হয়ে আসল যখন বক্তিতা শেষ করলেন। উপস্থিত নামাজিদের মাঝে ঘোষণা দিলেন একজন মসজিদে ২টি মোরগ দান করেছেন; নামাজ শেষে তা নিলাম করা হবে।
সামান্য ২টি মোরগের একটু বেশী দাম পাওয়ার আশায় উনি বয়লার মুরগির নেগেটিভ দিক নিয়ে আলোচনা করে মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গী অন্যদিকে নিতে চাইলেন।
২) সময় গত সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের শুক্রবার। স্থান ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা। মসজিদে জুম্মার নামাজের খুদবায় একটি পর্যায়ে ঈমাম সাহেব পাকিস্থানের একজন ইসলামী ব্যক্তিত্বের কোরানের অনুবাদে ভুল আছে বলে আলোচনা শুরু করে জামায়াত ইসলাম নিয়ে সমালোচনা শুরু করলেন। শেষে বললেন জামায়ত ইসলামী ও তাদের পক্ষে যারা আছেন তাদেরকে ভোট দিবেন না। কিন্তু উনি যাকে ভোট দিতে ইঙ্গিত করলেন উনি সম্পূর্ণ বেনামাজী এবং আমার জানামতে উনার বাবাও বেনামী।
৩) সময়কাল ২০০৯। মসিজেদ জুম্মার নামাজ। খুৎবার শুরুতেই বিশিষ্ট এক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা শুরু হল যিনি নামাজী কিনা আমি জানি না; তার উপরে প্রশংসার ঝর বয়ে গেল। মোনাজাতেও দোয়া দরুদের শেষ রইলো না; যার মধ্যে অনেকই তার বানানো কথাই ছিল যা উনি শুনলেও (রাজনৈতিক ব্যক্তিটি) হয়তো লজ্জা পেত।
এই যদি হয় আমাদের মসজিদের ঈমাম সাহেবের অবস্থা তা হলে ইসলামে কি ধর্মীয় নিরপেক্ষ ইসলামী চিন্তাবিদের বৃদ্ধিপাওয়াটাই স্বাভাবিক না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।