ব্লগে এই গোত্রবিভাজন আগেই ছিলো এখন আরও পাকাপোক্ত হলো। মানুষের মৌলিক চরিত্রের অংশ এই এই শ্রেনীবিভাজন। শত্রু এবং বন্ধু চিনে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
মানুষকে পূর্নাঙ্গ মানুষ হিসেবে দেখবার দায় যে নেই তা এখন স্পষ্ট মোটামুটি। মানুষের সাংস্কৃতিক পার্থক্যই মূলত দায়ী এটা আমার অভিমত।
সভ্যতার ধাপে ধাপে আমরা যেই সব বিভাজন দেখে অভ্যস্ত তার ধারাবাহিকতা হয়তো একটু আলোকপাত করবে এই সার্বজনীন সমস্যায়।
পেশাভিত্তিক বিভাজন একটা জটিল সমাজের প্রথম শ্রেনিবিন্যাসের ধাপ বলা যায়। গোত্র ভিত্তিক সাংস্কৃতিক বিভাজন প্রথমিক পর্যায়ে ততটা ভয়ংকর কিছু ছিলো না, কারন ভিন্ন ভিন্ন গোত্র পৃথক পৃথক বসবাস করতো। তাদের রীতিনীতি আচারের পার্থক্যও ছিলো তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সহায়ক, মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সাযুজ্যপূর্ন জীবন ব্যাবস্থাই গোত্রগুলোর জনবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। এই সব গোত্রের নদী দখলের ইতিহাস প্রথম যুদ্ধের ইতিহাস।
মূলত নদী বলতে আমরা জীবনের সৃজন বুঝি, কারন আদিম সভ্যতায় সুপেয় পানির কাছাকাছি বসতি স্থাপন বিরুপ পরিবেশে নিজেদের স্থিতু করতে সাহায্য করেছে। মরুভূমিতে এমন স্থায়ী গোত্র তৈরি হয় নাই। সেখানে কোনো নির্মান নেই। বরং যাযাবরের মতো পানির উৎসের চারপাশে ঘুরে ঘুরে তাদের জীবনধারন করতে হতো। আমরা সেইসব যাযাবরদের জীবন নিয়ে চিন্তিত না, তাদের সভ্যতা যুদ্ধনির্ভর সভ্যতা হলেও সেখানে নির্মানের কোনো ধাঁচ নেই সম্পুর্ন ধাঁচটাই ধ্বংসের।
আমরা সভ্যতা বলতে সৃষ্টিশীল জনগোষ্ঠিকে চিহি্নত করছি। এটা আমার কাছে সভ্যতার সংজ্ঞা।
সেই নদীর পাশে পাওয়া যায় চাষযোগ্য জমি। সেই কৃষিনির্ভর সভ্যতায় যেকোনো মনিমানিক্যের তুলনায় একখন্ড উর্বর ভূখন্ডের দাম ছিলো বেশি। এর জন্য গোত্র বিনাশেও তার পিছ পা হতো না।
এবং এসব যুদ্ধের মূল অংশ ছিলো সক্ষম পুরুষদের হত্যা করে নারী এবং শিশু দখল করা। কখনও কখনও সকল শিশুকেও হত্যা করা হতো যেনো কোনো প্রতিরোধ দানা বাধতে না পারে। যুদ্ধলব্ধ ভূখন্ড ও নারী নিয়ে শুরু হতো বলিষ্ঠ গোত্রের সভ্যতার পরবর্তি ধাপ। এসব নারী মূলত দাসি, যৌন দাসি এবং শ্রম দাসি। দুই অর্থেই।
এসব নারীর গর্ভজাত সন্তানেরা সৈনিকের প্রয়োজন মিটিয়েছে- আরও বেশি ভুমি দখলে সহায়তা করেছে- একটা নগর মাথা তুলে দাড়িয়েছে ক্রমে ক্রমে। কিন্তু অধিকৃত মানুষের সংস্কৃতি থাকে না। দাস সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে না কারন দাস সংস্কৃতির চর্চা মানেই সেটা প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতির বিরোধি শক্তি। এই একই উদাহরন দেওয়া যাবে মুসার ক্ষেত্রে। যেখানে প্রতিরোধ এড়াতে ফেরাউন সকল পুরুষ শিশুকে হত্যার নির্দেশ দেয়।
এই অধিকৃত বনি ইসরাঈল কখনই নিজেদের সংস্কৃতি ছাড়ে নাই। ফেরাউন এবং মিশরের রাজাই ইশ্বর এই সংস্কৃতির বিপরীতে তারা ইব্রাহিম কল্পিত একক ইশ্বরের উপাসনা অব্যাহত রেখেছিলো। এবং এদের জনবল বাড়ছিলো।
এই নদি এবং নারীদখলের ইতিহাস সবসময়ই সভ্যতার অগ্রগতির একটা নির্মম চিহ্ন। এই যে ংর ভিত্তিক সভ্যতার পত্তন এর সাথে কৃষকের সাথে শ্রমিকের বিভাজন ঘটে গেলো।
কৃষক ভূমিদাস, ভূমি শ্রমিক কিংবা উৎপাদক হতে পারে কিন্তু সমাজের প্রয়োজনে আরও কিছু কর্মক্ষেত্র তৈরি হলো। সেইসব কর্মক্ষেত্রেও শ্রমিকের প্রয়োজন হলো। পেশার বিবর্তন ঘটলো। এবং একটা পর্যায়ে সমাজে পেশাভিত্তিক বিভাজন ঘটে গেলো। সভ্যতার এই পর্যায়ের চিহ্ন আমরা আর্য সমাজ ব্যাবস্থায় দেখবো যেখানে শ্রমিক মাত্রই শুদ্্র গোত্রভুক্ত।
এবং এই শ্রমিক গোষ্ঠির নিজেদের ভিতরেও সামাজিক সংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ সীমিত করা হলো। অবশেষে সংস্কৃতির অন্ধ অনুসরন, অনুকরন যাই বলা হোক না কেনো এই শ্রেনী ভিত্তিক বিভাজনের জন্য অন্তঃগোত্র বিবাহও নিষিদ্ধ প্রথা হয়ে গেলো। সমাজের অন্য শ্রেনীগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক শ্রেনিবিন্যাসের শুরুর পর্যায় এই শ্রমভিত্তিক বিভাজনের ফলে।
যোদ্ধারা সব সময় একটা সম্পদ সভ্যতার। তাদের জন্য ভোগি জীবনের লালসা, সম্পদের লালসা এবং নিশ্চয়তা ছিলো।
মৃতু্যর ফেরিওয়ালা মানুষেরা রাষ্ট্র কিংবা এমন যেই সংগঠন ক্রিয়াশীল ছিলো সেসব সমাজে তাদের পরিপূর্ন সমর্থন এবং সহযোগিতা পেয়েছে। এবং যোদ্ধা সংস্কৃতির উত্থান। ভাড়াটে সৈন্য নিয়ে সেনাপতির বিভিন্ন রাষ্ট্রের আনুগত্য স্ব ীকার, কিংবা তাদের নিজস্ব ভূখন্ড দিয়ে ভূস্বামি করে তাদের আনুগত্য কেনার একটা প্রচেষ্টা তখন থেকেই ক্রিয়াশীল।
তবে সভ্যতার ক্রমিবিকাশের ধারা পর্যবেক্ষন করে যা আমার মনে হয় তা হলো নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টা একেবারে আদিম সমাজের বৈশিষ্ঠ ছিলো যখন নারী পুরুষ নির্বিশেষে পেশী শক্তির ব্যাবহার করতো। সভ্যতা যুদ্ধবাজ হয়ে যাওয়ায় এবং নারীরা ক্রমাগত উৎপাদনমূখী ব্যাবস্থায় জড়িয়ে যাওয়ায় নারীর ক্ষমতায়নের সীমা সীমিত হয়ে যায়।
নারী সব সময়ই উৎপাদক, কৃষি শ্রমিক নারী, পাশুপালক নারী, এবং নারীর সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতাও একটা বিবেচ্য বিষয়। নারী পূজার সূচনাও সেখানেই। পৃথিবীকে নারী কল্পনা করাটাই পৃথিবীর প্রথম ধর্মাচার। এই অবস্থান থেকে পুরুষের হাতে সভ্যতার চাবি চলে যাওয়ায় এবং যুদ্ধবাজ হয়ে যাওয়ায় সভ্যতায় নারী একেবারে নগন্য একটা প্রথমিক উৎপাদক শ্রেনী হিসেবে চিহি্নত হলো। উপাসনালয়ে পুরুষ এবং বলিষ্ঠ দেবতা নারীকে প্রতিস্থাপিত করলো।
এবং ধর্মের বিকাশের ধাপে সমাজের শ্রমবন্টনের সাথে সাযুজ্য রেখে ইশ্বরও পুরুষ এবং ধর্মাচারও পুরুষতান্ত্রিক হয়ে উঠলো। প্রকৃতিবাদী এবং পৌত্তলিক ধর্ম যেখানেই প্রচলিত সেখানেই নারীর ক্ষমতা এখনও অক্ষুন্ন। সেটা তিব্বতের উপজাতি, আফ্রিকার উপজাতি, আমাজানের উপজাতি, কিংবা ভারতের উপজাতি যেখানেই এর শেকড়টা থাকুক না কেনো, সেই সব সমাজের প্রধান ভিত্তি কৃষিভিত্তিক উৎপাদন ব্যাবস্থা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা। এদের মধ্যে যুদ্ধবাজ গোত্র একেবারেই অনুপস্থিত তা বলা যায় না তবে যুদ্ধের প্রকোপ কম।
ধর্মের বিকাশের সাথে সাথে সমাজের শুভচিন্তকের সংখ্যা বাড়লো।
এদের কেউ কেউ অন্তর্বর্তি শ্রেনিবিভাজন কমানোর জন্য মৌলিক সংস্কৃতির ভিত্তিতে কোনো একটা সাধারন ঐক্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ জনগোষ্ঠি সৃষ্টির প্রচেষ্টা করলেন। কিছু সাধারন নিয়মের ভিত্তিতে এই ঐক্যপ্রচেষ্টার শুরু। ধর্মবোধের বিবর্তনের সাথে এই সমাজের জটিলতা বৃদ্ধির একটা সরলরৈখিক সম্পর্ক আছে। অপেক্ষাকৃত সরল এবং প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচূর্যতা আছে এমন কোনো স্বাধীন ভূখন্ডে ধর্মবোধের বিবর্তন হয়েছে কম। ভারতের দ্্রাবিড়দের আমরা যাদের সাঁওতাল হিসেবে চিনি, অন্য অধিবাসীদের যারা মনিপূর-মিজোরাম আসাম ত্রিপুরায় বসবাস করছে যেসব উপজাতির বসবাস আন্দামান নিকোবরে তাদের ধর্মবোধের বিবর্তন হয়েছে খুব কম।
মূলত অধিকৃত ভূমি ছিলো সমতল নদীর উপকূলবর্তি অঞ্চল। তাই নদীবিধৌত অঞ্চলে ধর্মের বিবর্তন ঘটে বারবার। ধর্মবোধ জটিল থেকে জটিলতর হয়। বোধগম্য এবং পরিচিত ইশ্বরের বিমূর্তায়ন ঘটে যায়। আরব উপদ্্ব ীপের প্রাকৃতিক সম্পদের অপ্রতুলতা এবং তাদের যাযাবর জীবনের সংস্কৃতি একই জলের উৎস ব্যাবহারের জন্য কিছু সাধারন ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছিলো এমনটা অনুমান করা যায়।
ব্যাবিলন সভ্যতা এবং অসিরিয় সভ্যতার বিকাশ,ভূমি দখলের চেষ্টা এবং তাদের অধিকৃত ভূমির পরিমান বেড়ে যাওয়া। ফেরাত দজলার উপকূল থেকে আরও আরও দুরে ছড়িয়ে যাওয়া। এবং এই ছড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের সংস্কৃতি এবং ধর্মবোধও প্রসারিত হতে থাকে। গোত্রপ্র ীতি 1200 বছর আেেগা আরবভূখন্ডের মূল সমপ্র ীতি ছিলো। একই প্রাকৃতিক উপকরন ব্যাবহারের ফলে তাদের যেই টুকু সাংস্কৃতিক সাযুজ্য ছিলো তা মোেেটাও স্পষ্ট কোনো সভ্যতার উপযোগী ছিলো না।
এখানেই নবী রসূলগনের কেরামতি। তারা ভিন্ন ভিন্ন গোত্রকে একটা সাধারন ঐক্যবদ্ধ রীতিতে গ্রন্থিত করতে পেরেছেন। এর ফলে একটা সময়ে আরবি ভাষাভাষি জনগোষ্ঠি দখলদার হিসেবে পরিচিত হয়। তারা যাযাবর ছিলো, দুর্ধষ ছিলো, কিন্তু ধর্মভিত্তিক ঐক্য তাদের গোত্রভিত্তিক সমপ্র ীতি দিলো। এবং তাদের সৈন্য সংখ্যার বৃদ্ধি হলো, এই দূর্ধর্ষ সৈন্য দিয়ে তারা ব্যাবিলন এবং অসিরীয় সভ্যতার দখল নেওয়া শুরু করলো।
এবং এই দখলের সাথে সাথে একত্ববাদী ইশ্বরের ধারনাও প্রসারিত হলো। তবে সবাই যে ইব্রাহিম কল্পিত একক ইশ্বরের ধারনায় জীবন যাপন করতো তা নয়। কারন ব্যাবিলনে 4000 বছর পূর্বে এমন সভাসদবিশিষ্ট ইশ্বরের কল্পনা শুরু হয়। যার অধীনে বিভিন্ন প্রজাতির দেবতারা কর্মরত ছিলো। এই ধারাটার একটা অভিযোজন দেখা যাবে প্রাচীন গ্র ীক এবং রোমান সভ্যতায়।
এমন সভাসদ নিয়ে ইশ্বরের রাজ্যশাসনের জন্য নিযুক্ত প্রতিনিধি হলো রাজারা। নমরূদের সাথে ইব্রাহীমের মানসিক চেতনায় কোনো পার্থক্য ছিলো না। তাদের সমসাময়িক ধারনায় এমন সর্বেশ্বরের জন্ম। যার কাজ তার অধীনের দেবতার কর্মকান্ড তত্ত্বাবধান করা। এই ধারনায় আরও একটু বিমূর্ততা আসে যখন পারসিক সভ্যতা সোলেমানের রাজ্য দখল করে ফেলে।
মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশ উপযোগী সাংস্কৃতিক ঐক্য, পরবর্তিতে ধর্মভিত্তিক সংস্কৃতির জন্ম- মানুষের ভেতরে ধর্মভিত্তিক বিভাজন তৈরি করে।
পেশাভিত্তিক বিভাজন স্পষ্ট এখনেও। যারা কম্পিউটার পেশাজীবি তাদের সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়তাদের একটা সাধারন ঐক্য দিয়েছে- যতই অদ্ভুতুরে শোনাক না কেনো, এখানে ধর্মের সপক্ষে গোলমাল করা মানুষের অধিকাংশই এই কম্পিউটার পেশাজীবি গোষ্ঠি।
সাংস্কৃতিক ঐক্যও বিদ্যমান যেটাকে আমরা অর্থনৈতিক সাযুজ্য বলতে পারি। যারা নিজেদের ভেতরে একটা গোত্র তৈরি করতে পেরেছে তাদের অনেকেরই অতীত ইতিহাস বলে তারা অর্থনৈতিক ভাবে সবল পরিবারের সদস্য।
তাদের জীবনযাপনের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর সংগ্রাম করতে হয় নাই বলে অন্য সব বিষয়ে আদিখ্যেতা করার সূবর্ন সুযোগ তাদের সামনে। আমার মনে হয় না তারা মাইয়াত বাড়ীর কোরান খতমের সময় এবং এতিম ও ফকির খাওয়ানোর সময় ছাড়া কোনো মতে মাদ্্রাসার ছাত্রদের সংস্পর্শে এসেছে। লিল্লাহ মাদ্্রাসার ছাত্ররা এইসব কোরান খতমের আয়োজনে মূল পাঠক, তাদের ভিন্ন ভিন্ন স্বরের কোরান তেলাওয়াতের ধাককা চলে মরা বাড়ীতে। মানুষের অর্থনৈতিক শক্তি তাদের সততা কেড়ে নিয়েছে। মৃতের উদ্দেশ্য কোরান খতমও তারা এখন পয়সা দিয়ে সমাপ্ত করতে চায়।
এর সাথে অন্য একটা উপকারও হয় তাদের খানিক সমাজ সেবার সুযোগ তৈরি হয়। তারা একবেলা এতিমদের খাইয়ে নবীর সুন্নত পালন করে ফেলে।
যদি আবেগ দিয়ে কেউ মৃতের উদ্দেশ্যে কোরান খতম দিতে চায় তাহলে নিজে তেলাওয়াত করাই ভালো। এতিম এবং মাদ্্রাসার ছাত্রদের পেটচুক্তি কোরান খতমের শেষে উদরপূর্তির মতো অমানবিকতার বদলে তারা ক্যাসেটে কোরান তেলাওয়াত করলেও হয়। 30টা ক্যাসেট প্লেয়ারে 30 পারা কোরান আবৃতি হতে থাকবে- মৃতবাড়ীর সম্মানও বজায় থাকবে এবং যখন তখন েকোরান শোনার সওয়াবও পাওয়া যাবে।
এবং এসব কোরান তেলাওয়াতকারী মানুষেরা যেহেতু উচ্চরনে প্রমিত তাই অর্থবিভ্রাটের কবল থেকে রক্ষা পাবে পবিত্র খোদার বানী। মাদ্্রাসার তড়িঘড়ি করে পাঠ করা কোরানের তেলাওয়াতে আঞ্চলিকতা থাকে। ভুল থাকে এইসব ভুল কোরান পাঠ শুনলে মৃতের সওয়াবের বদলে গোনাহ হওয়ার সম্ভবনা প্রচুর।
আমার কাছে বিভাজন খারাপ লাগে না। মানুষে মানুষে বিভাজন থাকবেই, কিন্তু মর্মান্তিক মনে হয় এই একই চেতনা ধারন না করায় শত্রু পরিগনিত হওয়ার ব্যাধিটাতে।
হাবিব মহাজন সাহেব আমাকে ইসলামের শত্রু চিহি্নত করেছেন আগেই। তিনি ইসলামের মহান সৈনিক, তাকের আলী এদের সমতুল্য তিনি, দেশদ্্রোহী খেতাব পেলাম গতকাল। যদিও আমার সাথে যাদের নাম উচ্চারিত হয়েছে তারা কোনো দিন দেশের স্বাধীনতা বিরোধি এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধি কোনো বক্তব্য পেশ করেছে এমনটা আমার পঠনে নেই। তাদের সবাই মোটামুটি শ্রমজীবি পরিবারের মেধাবী সন্তান যারা মেধার গুনে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন, কেউ কেউ সেই সব দেশে পেশাগত কারনে স্থিতু। কেউ কেউ এখনও ছাত্র- কিন্তু তাদের একটা সাধারন ঐক্য আছে- তারা সবাই চিন্তার স্বাধীনতায় বিশ্বাসি, তারা সবাই ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধি, জামায়াতের স্বাধীনতা বিরোধি ভূমিকায় তারা সরব।
এবং তারা উচ্চকণ্ঠ এসব বিষয়ে- দেশ দ্্রোহী হওয়ার জন্য পাকিস্তানবিরোধি চেতনাও ধারন করতে হয় মনে হয়। এই কারনেই কৌশিক, হযবরল, সুমন শোহাইল মতাহির তীরন্দাজ হিমু দেশবিরোধি খেতাব পেয়েছে- আমি ইসলাম বিরোধি রাসেল ইসলাম বিরোধি তাই এই দেশবিরোধি হওয়ায় ইসলামবিরোধিতা প্রধান উপকরন মনে হয়। অবশ্য অন্য কয়েকজন এখনও এই খাঁড়ায় কাটা পড়ে নাই, যেমন কনফুসিয়াস- পুরোহিত- বিদ্্রোহি মিসটেকেন আইডেন্টিটি- তার নোতিক অবস্থান পাকিস্তান প্রেমিদের কাছাকাছি যদিও সে তার বক্তব্য যা সহজ কথায় ফাজলামি এর জন্য বিরোধিপক্ষে গিয়েছে- অন্য যে 2 জন এই লিষ্টে আসে নাই তারা হলো অমি রহমান পিয়াল- এবং শুভ- কারনটা খোঁজার চেষ্টা করছি, কেনো এরা দেশবিরোধি উপাধি পেলো না- জামায়াত বিরোধিতা এবং পাকিস্তান বিরোধিতার সাথে ইসলাম বিরোধিতা যুক্ত হয় নাই বলে এই খেতাব তারা পায় নাই এইটা আমার অনুমান।
এই অবস্থানে এসে আমরা দেশপ্রেমিক ব্লগারদের তালিকা দেখতে পাচ্ছি, যারা দেশপ্রেমিক তালিকায় সম্মানজনক অবস্থানে আছে-
আস্তমেয়ে- ওয়ালি,হাবিব মহাজন, হ। স।
ন, সিমরান শিকদার, শাওন, সাকিব আল মাহমুদ, সরীফ আবদুল্লাহ, এবং এদের পোষ্টে মন্তব্য দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া কয়েক জন।
নিতান্ত নির্বোরিধি এবং সাধারন বলে যরা রেহাই পেয়ছে- তাদের একজন কালপুরুষ- পিয়াল- শুভ। অবশ্য যাদের হাতে দেশপ্রেমিকের রাবার স্ট্যাম্প লাগানো তারা যদি আমাকে দেশপ্রেমিকের সিল লাগিয়ে দিতো তাহলে আমি নিজেই লজ্জিত বোধ করতাম। এই সব মানুষের সাথে সহমত হতে পারবো না- এটা আমাদের নৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিভাজন। তাই আমি সম্মানিত বোধ করছি-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।