আমি একজন ছাএ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক সঙ্কটের মধ্যেও দেশের অর্থনীতিতে টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছরে মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি বেড়েছে, কমেছে মূল্যস্ফীতি। মাথাপিছু আয়, সঞ্চয়, রেমিটেন্স, সরকারী বিনিয়োগ, রফতানি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মূল্য, মজুরি ও কর্মসংস্থান বেড়েছে। দ্বিগুণ হয়েছে বাজেটের আকার। পাশাপাশি বেড়েছে রাজস্ব আয়ও।
নতুন নতুন করদাতা যুক্ত হচ্ছেন এনবিআরের তালিকায়। তবে দীর্ঘ এ সময় অর্থনীতিতে কিছু চাপও সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রফতানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জিএসপি বা শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাতিল অন্যতম। এছাড়া তাজরীনে আগুন এবং রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের করুণ মৃত্যু দেশের প্রধান পোশাক রফতানি খাতকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ক্রমে অস্থিতিশীল হয়েছে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন।
বিরোধী দলগুলো ঘন ঘন হরতাল আহ্বান করছে। এর প্রভাব পড়েছে সামষ্টিক অর্থনীতিতে। আর এসব কারণে অর্থনীতির বড় বড় অর্জন ও সাফল্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক খাতেও গত সাড়ে চার বছরে বাংলাদেশ লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্য অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। দেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখা হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য প্রথম বাজেট প্রণয়ন করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ওই সময়ে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। চলতি বাজার মূল্যে যার পরিমাণ ছিল ৬৯৪৩২৪ কোটি টাকা।
সর্বশেষ গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৩৭৯৮৭ কোটি টাকা। এছাড়া গত সাড়ে চার বছরে মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে ২০,০৪১ টাকা। এদিকে, গত সাড়ে চার বছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। গত ২০১১-১২ অর্থবছরে তা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ অর্জিত হয়। গত অর্থবছরে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
যদিও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনামে ৫ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। গত অর্থবছরের প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের হারের চেয়ে কোনমতেই কম হবে না এবং তা ৬ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।