আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজেদের জন্মদাতা পিতার পরিচয় নিয়ে অস্তিত্ত্ব সংকটে আমেরিকানরা

আপনাদের সমর্থন আমাকে লিখার প্রেরনা যোগায়। যুক্তরাষ্ট্রের দুই বোন লরা অ্যাশমোর ও জেনিফার উইলিয়ামস। মিসেস অ্যাশমোর ও তার স্বামী সন্তান গ্রহণে অক্ষম। উইলিয়মাস বোনকে প্রস্তাব দিলেন তিনি কোনো দাতার শুক্রাণু নিজ গর্ভে ধারণ করবেন। হলও তাই।

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম হল ম্যালোরির। যথারীতি সে বড় হতে থাকল অ্যাশমোরের পরিবারে। তবে এরপরই দুবোনের মধ্যে জটিলতার সূত্রপাত। বংশগতভাবে কার পরিচয় পাবে ম্যালোরি? কার উত্তরাধিকারী হবে সে? উইলিয়ামস বলেন, জৈবিকসূত্রে আমি তার মা, কিন্তু আমি তার খালাও। শুধু অ্যাশমোর ও উইলিয়ামস নয়, এমন সমস্যায় ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকার হাজারো পরিবার।

অনেক পরিবার তাদের বংশলতিকা তৈরি করছেন দুভাবে, জিনগত ও আবেগতাড়িত! স্কুলগুলোতে দীর্ঘদিন থেকে বংশানুক্রমের বিষয়টি তালিকাভুক্ত করা হলেও তারা এ পদ্ধতি পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জৈবিক সূত্রে কার সন্তান সেটাও এখন থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদে লেখার চিন্তা চলছে। ওদিকে মিসেস জেনিফার উইলিয়ামস পরিবারের জটিলতার এখানেই শেষ নয়। উইলিয়ামস আবারো দাতা শুক্রাণু গ্রহণের মাধ্যমে জেমিসন নামের আরেক সন্তান জন্ম দেন। এখন সমস্যাটা হচ্ছে ম্যালোরি ও জেমিসনের সম্পর্কটা কী হবে? এক মাস আলোচনার পর একটি সমাধানে পৌঁছাল ওই পরিবার।

অ্যাশমোর বললেন, অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ম্যালোরি আমার সন্তান আর উইলিয়ামস তার খালা। কিন্তু জেমিসন ম্যালোরিরই বোন। ফ্যামিলি ডাইভারসিটি প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা পে¹ি গিলেপ্সি বলেন, ‘আমি একবার দেখেছি দুটি ছোট শিশু খেলছিল। এসময় অবিবাহিত মায়ের এক সন্তান তার সহপাঠীকে বলল তার একটি বড় বোন আছে। কিন্তু সহপাঠী তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে বলল, তা হতেই পারে না।

কারণ তোমায় কোনো বাবা নেই। গিলেপ্সি বলেন, ওই সহপাঠী শুক্রাণুদাতার ব্যাপারটি জানে না। আর এধরনের পরিস্থিতি তাদের কোমল মনে বেশ ধাক্কা দেয়। ৬১ বছর বয়সী রব ওকুন ম্যাসচুসটেসের একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। ১৬ বছর আগে এক সমকামী জুটিকে তিনি শুক্রাণু দান করেছিলেন।

তার চার সন্তান। তিনি বলেন, আমি যাদের শুক্রাণু দান করেছিলাম সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে চাই না, তবে তারা কেমন আছে তা জানতে চাই। গত ছয় বছরে যুক্তরাষ্ট্রের আদশুমারির প্রতিবেদন মতে দেশটিতে বিবাহিত পরিবারের চেয়ে অবিবাহিত পরিবারের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া অনেক সমকামী দাতাদের কাছ থেকে শুক্রাণু গ্রহণের মাধ্যমে সন্তান নিয়েছেন। দেশটির সবচে বড় শুক্রাণু ব্যাংক জানিয়েছে ২০০৯ সালে তাদের এক-তৃতীয়ংশ গ্রাহকই ছিলেন সমকামী নারী।

শুধু বংশগত সমস্যা নয়, এধরনের ঘটনায় সন্তানের জন্ম সনদ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যেখানে আগে শুধু মায়ের নাম লিখলেই হতো সেখানে এখন কোন পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম হয়েছে তাও জানতে চাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রেফারেন্সঃ Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.