বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন একবার আমাদের এক স্যার খুব সুন্দর কথাবলেছিলেন। " তুমি যদি সত্যিই মনোযোগ দিয়ে বিজ্ঞান অধ্যয়ণ করো,সেটা তোমাকে বারে বারে শুধু স্রষ্টার করুণা আর দয়ার কাছে পরিচয় পেতে হবে। এই যে আমরা মাইক্রোবায়োলজিতে অতি ক্ষুদ্রতম জীবাণু নিয়ে স্টাডি করি তখন কি এটা ভেবেই অবাক হতে হয় না এত ক্ষুদ্র যে সৃষ্টি তার ভেতরে এত জটিল জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া কিভাবে ঘটছে ! আর তাহলে বিশাল যে বিশ্বব্রক্ষান্ড সেটা কত জটিল হতে পারে। আর এসব নিয়ে চিন্তা করলে একটা কথাই মাথায় আসবে -- এর পেছনে কেউ একজন আছেন।
কেউ যখন বলেন এসব কিছুই নিজ থেকেই হয়েছে তখন একটা উদাহরণ মনে পড়ে।
ধরুন,আপনি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কোন নৌকা নেই। হঠাৎ নদীর পারের একটি গাছ থেকে কাঠ বের হয়ে গেল,সেটা নিজ থেকেই নৌকা হয়ে গেল। এবং আপনি পার হয়ে গেলেন। এবার আপনার যুক্তিবাদী মন এটা সমর্থন করলে সেটা আপনার বিবেচনা।
সত্যি কথা কি জানেন। কেউ ধর্ম নিয়ে কিছু বললেও স্রষ্টার কিছু আসে যায় না ! উনি উনার স্ব-মহিমায় বিরাজমান থাকেন। কিন্তু দোষ আমাদের,যখন মসজিদ-মন্দির-গির্জা বা প্যাগোডায় মানুষ ভিক্ষা করে, যাকাতের টাকা নিতে গিয়ে বা তীর্থে গিয়ে মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়,মানুষের অভাব দূর হয় না । আরেকদিকে ধর্ম নিয়ে চলে ব্যবসা। এসবের কারণে আমরা কিছু মানুষের হাতে ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা-মশকরার অস্র তুলে দিই।
শেষে একটা কথা,ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর(রা) শাসনামলে একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না যাকাত নেবার জন্য। মানুষ এত স্বচ্ছল হয়ে গিয়েছিল। আমার বিণীত প্রশ্ন,কে বেশি ধার্মিক ছিলেন? উনারা? নাকি আমরা? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।