হা হা হা পায় যে হাসি!!! পোস্ট উৎসর্গ - ব্লগার হাসান মাহবুব*
Devil ছবিটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পায় এবং বেশ কিছুদিন আগে এর ডিভিডিও বাজারের এসে গেছে। এর কাহিনীকার ভারতীয় বংশোদ্ভুত পরিচালক M. Night Shyamalan যিনি নব্বই দশকের শেষের দিকে The Sixth Sense ছবিটি বানিয়ে বিখ্যাত হন। তাঁর প্রায় সব ছবিই হরর থ্রিলার টাইপের হয়
তবে ছবিটা আমি দেখতে উৎসাহিত হয়েছিলাম এর কাহিনীকারের পূর্ব সুনাম না, বরং এর জমজমাট ট্রেলার আর ট্যাগলাইন (A group of people trapped in an elevator realize that the devil is among them.) দেখে।
গল্পের কাঠামোটা খুব সরল। এক অফিস বিল্ডিংয়ের এলিভেটরে একসাথে পরস্পর সম্পূর্ন অপরিচিত পাঁচজন লোক ওঠে - এক সুন্দরী তরুনী, এক বুড়ি, এক কালো বদরাগী সিকিউরিটি গার্ড, এক অ্যাংরী ইয়াং ম্যান টাইপ তরুন আর এক লুলটাইপ বিরক্তিকর স্বভাবের তরুন।
এলিভেটরটা হঠাৎ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকা পড়ে যায়। এরপর শুরু হয় নানান অদ্ভুত ঘটনা। নিয়মিত বিরতিতে হঠাৎ হঠাৎ এলিভেটরের বাতি বন্ধ হয়ে যায় আবার একটু পরে ফিরেও আসে, কিন্তু বাতি আসার পর দেখা যায় কেউ একজন মারা গেছে। যেহেতু খুন হয়েছে অন্ধকারে এবং কেউ কাউকে চেনে না, শুরু হয় তাদের মধ্যে সন্দেহ, দোষারোপ আর অবিশ্বাসের খেলা। পুরো ঘটনার সাথে জড়িয়ে যান এক পুলিশ অফিসার যিনি ঘটনাচক্রে ওইদিন ওই বিল্ডিংয়ে এসেছিলেন অন্য একটা খুনের তদন্ত করতে।
Devil হচ্ছে সেধরনের একটা ছবি যার ট্রেলারেই মোটামুটি সব ভাল অংশগুলি দেখিয়ে খুব চাঞ্চল্যকর একটা ট্রেলার বানানো হয়েছে। ট্রেলারের ওই দুই মিনিট বাদ দিলে বাকি ছবিতে আর তেমন কিছু নাই। এই ছবির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, এর গল্পটা ওয়েফারথিন (আমি জানি না এই শব্দের বাংলা কি হতে পারে! সাধারনত ছবি বা কোন গল্পের মুল কাহিনী খুব ছোট হলে এবং সেই ছোট কাহিনীকে নানান গিমিক দিয়ে টেনে লম্বা করা হলে এই টার্মটা ব্যবহার করা হয়)। ছবিটাও হলিউডের ছবিগুলোর অ্যাভারেজ লেংথের চেয়ে ছোটই বলা যায়, মাত্র ৮০ মিনিট। কিন্তু এই ৮০ মিনিট ভরার মত যথেষ্ট মাল-সামালও পরিচালকের হাতে ছিল না।
শুরু আর শেষের ১৫-১৫ মোট ৩০ মিনিট বাদ দিলে বাকি সময়টায় খুব ধীরগতিতে এগিয়েছে। এছাড়া ছবির শেষে যে টুইস্টটা দেয়া হয়েছে, সেটাও খুব আকর্ষনীয় কিছু ছিল না। ওহ, আর যদিও ছবিতে প্যারানরমাল ব্যাপার-স্যাপার আছে, কিন্তু এটা মোটেও রক্ত হিম করা কোন হরর ছবি না। এতে ভয়ের অংশ খুবই কম। যেটুকু আছে, তা দিয়েও খুব বেশি কাজ হয় না।
এক মিস্ট্রি থ্রিলার বলা যেতে পারে, হরর কখনোই না।
ছবির যে অংশটা আমার আসলেই খুব ভাল লেগেছে, তাহলো এর ইনট্রো সিন। ক্যামেরাকে এইভাবে আপসাইড ডাউন রেখে পুরো শহর ঘুরিয়ে আনাটা ছিল খুবই চিত্তাকর্ষক। এছাড়া উল্লেখ করার মত আর কোন দৃশ্য মনে করতে পারছি না।
ছবিটা কি একেবারেই বাজে? নাহ, অত খারাপও না।
তেমন কিছুই করার নাই, খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না বা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে না এরকম একটা ছবি দিয়ে কোন অলস সন্ধ্যা পার করতে চাইলে Devil দিয়ে কাজ চালানো যেতে পারে।
রেটিং - ২.৫/৫
ডাউনলোড লিঙ্ক
১) ৭০০ মেগাবাইট (aXXo রিপ)
২) ১.৩৭ গিগাবাইট
পাসওয়ার্ড - MisterHD
৩) ১.৬৪ গিগাবাইট
পাসওয়ার্ড - MisterHD
এর চেয়েও বেশি ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করা এই ছবির জন্য উপযোগী না।
* ব্লগার হাসান মাহবুব আমার ব্লগজীবনের প্রথম দিকের পোস্টগুলিতে নিয়মিত মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দিতেন। তার মত একজন বড় মাপের লেখকের উৎসাহ প্রাথমিক জড়তা কাটাতে সাহায্য করেছিল। দূর্ভাগ্যজনকভাবে পরে নানা ব্লগীয় রাজনীতিতে পরে কমেন্ট ব্যান হয়ে যান এবং খুব সম্ভবত এখনও তাইই আছেন।
তার অভাব বোধ করি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।