আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সর্বশেষ পরিণতি, সর্বশেষ স্থান

I realized it doesn't really matter whether I exist or not.

আজ বাসা থেকে বের হয়েই একটি কবরস্থান চোখে পড়লো। দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। এইযে আমি, শুধু আমি কেন? আশেপাশের প্রত্যেকটি মানুষই ছুটোছুটি করছে পৃথিবীর পিছনে। প্রত্যেকেই তাঁদেরকে দেয়া মূল্যবান সময় থেকে এতটুকু সময়ও সৃষ্টিকর্তার পিছনে ব্যয় করতে রাজি নয়। অধিকাংশ মানুষই অন্যকে ঠকানোর তালে থাকেন।

বিক্রেতা ঠকান ক্রেতাকে। বড়লোক ঠকান গরীবকে। অমুক ঠকায় তমুককে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, এদের সবাইইতো খুব ভালো করেই জানে তাঁদের সর্বশেষ পরিণতি কোথায়? কোথায় হবে তাঁর শেষ ঠিকানা? জানে, অবশ্যই জানে। কারণ, তাঁদের চোখের সামনে দিয়েই চলে গেছেন তাঁদের গুরুজন, মা-বাবা, নানা-দাদা.............।

সেই লোক ভালো করেই জানেন যে, সে নিজের বেলায়ও ব্যতিক্রম হবে না। প্রকৃতির অতি সাধারন স্বাভাবিক নিয়ম এটি। প্রাণী মাত্রই মরণশীল। তাঁকে মরতেই হবে। মৃত্যুর জন্য সে সর্বদা তৈরী।

যেকোন সময় বেরিয়ে যেতে পারে শেষ নি:শ্বাস। কিন্তু দু:খের বিষয়, তাঁর এ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। তাঁর সেই চিন্তা নেই যে আজ থেকে আশি বছর পর তাঁর পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যাবে। সে যে ধীরে ধীরে প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে ছেড়ে এগিয়ে যাচ্ছে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে। আসুন, তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে সারাক্ষণ মাথাব্যাথা না করে ভয়ঙ্কর সত্য নিয়েও কিছু চিন্তা করি।

শুধু একবার কবরস্থানের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে ভাবুন, "আমাকেও একদিন এই মাটির নিচে যেতে হবে। যেখানে নেই এয়ার কন্ডিশন, ফ্যান কিংবা লাইট। " দেখবেন, আপনার মধ্যে পরিবর্তন আসছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।