স্বাধীনতা, সে তো আমার প্রিয় মানুষের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কেনা নচিকেতার গানের একটা লাইন এরকম-
প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনই নয়।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই কথাটা ১০০% সত্য । সাংবাদিক নির্যাতন এদেশে এর আগেও হয়েছে কিন্তু এবারের রনি সাহেবের ঘটনাটার মত এত জোরেশোরে মিডিয়ায় হৈ হৈ রৈ রৈ গেল গেল হয়নি ! কেন হয়নি ? কারণ রনি সাহেব সাংবাদিককে পিটাননি বরং তিনি পিটিয়েছেন দরবেশ বাবার সাংঘাতিক কর্মচারীকে যারা কারো বেড রুমের ছবি তুলতেও দ্বিধাবোধ করেণ না !
দরবেশ বাবার হাত যে কত লম্বা অর্থমন্ত্রী ঠিকই ঠাহর করতে পেরেছেন বটে কিন্তু রনি সাহেবের মত বাক পটু, টক-ঝাল মিষ্টি কথনওয়ালা সেটা বুঝে উঠতে পারেননি, বুঝেছেন বটে তবে সেটা অনেক দেরীতে চৌদ্দ শিকায় যাওয়ার পর।
যাইহোক, যারা সাংবাদিক পিটিয়েছেন , কি সাংঘাতিক ! - বলে হৈ হুল্লোড় করতেছেন তাদের বলি, সাগর রুনি দম্পতিও তো সাংবাদিক দম্পতি । তাদের জন্য কি করলেন ? তাদের খুনিরা অ্যরেস্ট হল না কেন ? কামাল মজুমদার যখন সাংবাদিক নাদিয়া কিরনকে পেটাল তখন কই ছিলেন সাংঘাতিক ভাইয়েরা? বিশ্বজিতের মত ছেলেরা প্রকাশ্যে খুন হয়, তার খুনিদের বিচার হয় না , গ্রেফতার তো দূরে থাক ।
মানুষ গুম হয়, সেই গুমের যেমন খোঁজ পাওয়া যায় না তেমনি গুমকারীরও হদিস পাওয়া যায় না । প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুষের টাকার বস্তা ধরা খাওয়ার পরও এই দেশে দফতরবিহীন মন্ত্রী ! একটু খেয়াল করেন, দফতরবিহীন মন্ত্রী ! দেশ প্রেমিক আবুল হোসেনর কথা নাই বা বললাম । শেয়ার বাজারের হাজার হাজার টাকা লুটপাট করেও তিনি দরবেশ বাবা ! তখন এইসব নীতি কথা কোথায় থাকে ?
নীতি কথা মুখ দিয়ে বের হয় তখনই যখন কেউ সারাদিন ক্যামেরা নিয়ে কারো পিছনে ঘুর ঘুর করে, যখন কেউ কারো বাসার অন্দরমহলের ছবি তুলতে যায় ক্যামেরা নিয়ে, তখন উত্তেজিত হয়ে দু’টা কিল ঘুষি মারলেই হৈ হৈ রৈ রৈ করে তেড়ে আসেন ! কারণ এটা আপনাদের পূর্বপরিকল্পিত । রনি সাহেব উত্তেজনাবশত আপনাদেরই পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছেন !
নচিকেতার আর একটা গানের লাইন দিয়েই শেষ করছি-
যদি চাও সফলতা, মেনে নাও এই সিস্টেম। ছেড়ে দাও স্রোতের মুখে- আদর্শ বিবেক ও প্রেম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।