তখন ১৯৯৯ কি ২০০০ সাল, আমি তখন কলেজে পড়তাম। আমাদের টিএনটি লাইন ডিসকানেক্ট হয়ে গিয়েছিল অনেকদিন অব্যবহৃত থাকার কারণে। আবার রিকানেক্ট করার জন্য সব ঠিকঠাক করে কাগজ জমা দিলাম আগ্রবাদের অফিসে (চট্টগ্রামে)।
আগ্রাবাদ থেকে বলা হলো, নন্দনকাননে কাগজ গুলোর একটা কপি জমা দিতে হবে, পরের দিন লাইন ঠিক হয়ে যাবে। সাথে করে ৩০০ টাকাও দিতে হবে কাজল বাবুকে ( কাজল বাবু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী)।
যেহেতু আমার সব কাগজ ঠিক ছিলো, তাই আমি ভাবলাম, খামাকা টাকা দিবো কেন? কাজল বাবুকে কাগজটা জমা দিয়েই চলে আসলাম। কাজল বাবু আমাকে কিছু বললেন না। মনে করলাম, আমি ছোট মানুষ (তখনো উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ি), আমার কাজটা হয়ত ঘুষ ছাড়া এমনি হয়ে যাবে।
কিন্তু ফোন আর বাজে না, ১ সপ্তাহ, ২ সপ্তাহ এইভাবে ১ মাস হয়ে গেল, আমি আবার গেলাম নন্দনকানন, কাজল বাবুকে পেলাম না, তার এক অফিসের এক পিয়নকে পেলাম, সে বলল, টাকা ছাড়া কাজল বাবুর কলম চলে না, সিগনেচার করবে না টাকা না দিলে।
কি আর করা, সেই প্রথম ৩০০ টাকা ঘুষ দিলাম।
ঘুষ ব্যাপারটা নিয়ে পরিচিত হলাম।
সে যে আত্মস্বীকৃত ঘুষখোর, সেটা আমাকে আগেই আগ্রবাদ থেকে বলা হয়েছিল। আমি ভাবলাম, আমার সব কাগজ ঠিক আছে, আমি ঘুষ দিবো কেন? তাই প্রথমে গা করি নাই। অবশেষে ঘুষ না দিয়ে পারলাম না।
আপনার কি কখনো ঘুষ দেওয়ার দরকার পড়েছিলো? জানাবেন কি সেই অভিজ্ঞতা? দূর্নীতিবাজ দের মুখোশ খুলে দিন আমার মতো।
সবার নাম আর কীর্তি প্রকাশ করে দিন, কে কিভাবে বিপদে পড়েছিলেন জানান।
আমরা যদি সচেতন হই, তবে দেশকে দূর্নীতিমুক্ত রাখতে পারবো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।