আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুলিশ ভেরিফিকেশন, সংস্কার ও ঘুষের নয়া রূপ-ফ্ল্যাক্সি!!!!

আল্লাহ আমার রব, সেই রবই আমার সব। দমে-দমে তনু-মনে তাঁরই অনুভব।

জরুরী কাজে পুলিশ ভেরিফিকেশন করাতে হবে। আমি থাকি বাইরে। আব্বাকে বললাম।

আব্বা থানায় গেলো। ওসি বললেন, আমাকে স্বশরীরে উপস্থিত হতে হবে না হ্য় স্থানীয় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে লিখিত কিছু একটা আনতে হবে। এ "লিখিত কিছু একটা" কি তা পরিস্কার করে বললোনা। আমি স্থানীয় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েব পেজে গেলাম। কোন ইনফরমেশন পেলাম না।

১০০ ডলার খরচ করে হাইকমিশনে গেলাম। সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা বললেন, ২৫ ডলার আর পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দেন। আমরা পাসপোর্টের ফটোকপি সত্যায়িত করে দিব। ওটা থানায় জমা দিলেই পুলিশ ভেরিফিকেশন পেয়ে যাবেন। সকাল দশটায় ২৫ ডলার আর পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিলাম।

বিকেল চারটায় পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি ফেরত পেলাম। কপিটা নিয়ে আব্বু গেলেন থানায়। ওসি বললেন হবেনা। আমাকে নাকি একটা দরখাস্ত লিখতে হবে সেটা বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। আব্বু বললেন একথা আগে বললেনা কেন? ওসি বললেন, কথা বেশি কইয়েন না।

কাগজ নিয়ে আসেন নাইলে কাজ হবেনা। আবার ১০০ ডলার খরচ করে যেতে হলো স্থানীয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে। আবার ২৫ ডলার ফী। এবার দরখাস্ত সত্যায়িত করলেন উনি। আমার নস্ট হলো আরো একটি কর্ম দিবস।

আব্বু এবার দরখাস্ত নিয়ে গেলেন থানায়। দরখাস্ত জমা নিলেন। ফী জমা দিলেন ২৫০ টাকা। কিন্ত্ত "সম্মানী" না দিলে কাজ হবেনা। সংস্কারের সময়ে সম্মানী? সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা বললেন, সরাসরি দেবেন না এতে প্লবলেম হতে পারে।

অবশেষে আমার ছোটভাইকে বললেন ৬০০ টাকা ফ্ল্যাক্সি করেন আমার মোবাইলে। ফ্ল্যাক্সি !!!! ঘুষের আধুনিক পদ্ধতি? আমার ছোটভাই ফ্ল্যাক্সি করলো। অবশেষে আমার ফাইলো নড়লো। এখনো অবশ্য ক্লিয়ারেন্স পাইনি। অপেক্ষায় আছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.