আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুক্র ও মঙ্গলের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের আশঙ্কা!

সম্পর্ক নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিজ কক্ষপথে অবিরাম ঘুরতে থাকা এই পৃথিবীর সঙ্গে একদিন সংঘর্ষ লেগে যেতে পারে শুক্র বা মঙ্গলগ্রহের। আর এ সংঘর্ষের পেছনে কাজ করতে পারে অরবিটাল কেওস নামে এক ধরনের মহাজাগতিক শক্তি। গবেষকরা অবশ্য বলছেন, এ তথ্যে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর সঙ্গে অন্য গ্রহের এমন সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে আড়াই হাজার ভাগের একভাগ। আর এই সংঘর্ষ যদি হয়ও, তবে তা ৩৫০ কোটি বছরের আগে নয়।

গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমাদের প্রাণে উৎস সূর্যকে ঘিরে গ্রহগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে আরো অন্তত ৫০০ কোটি বছর ধরে সুবিন্যস্তভাবে ঘুরবে, এ সম্ভাবনা রয়েছে ৯৯ ভাগ। সূর্য এক পর্যায়ে স্ফীত হয়ে লোহিত দানবে পরিণত হবে এবং একে একে পৃথিবীসহ সৌর জগতের অন্যান্য গ্রহ বুধ, শুক্র ও মঙ্গলকে খেয়ে ফেলবে। আগামী ৫০০ কোটি বছরে সৌরজগতে যেসব ঘটনা ঘটতে পারে এ নিয়ে গবেষণা করেন প্যারিসের বিজ্ঞানী জ্যাক লস্কর ও মিচেল গ্যাস্টিনিউ। শক্তিশালী কম্পিউটারের মাধ্যমে তারা সৌরজগৎ নিয়ে নানা পরীক্ষা চালান। এ ক্ষেত্রে তারা অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের বিখ্যাত আপেক্ষিক তত্ত্বকে কাজে লাগান।

ভবিষ্যতে সৌরজগতের কথা কল্পনা করতে গিয়ে এই দুই গবেষক দুই হাজার ৫০১টি সম্ভাব্য দৃশ্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে ২৫টি দৃশ্যে সৌরজগতে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলার চিত্র ফুটে ওঠে। লস্কর বলেন, একটি দৃশ্যে দেখা গেছে যে মঙ্গলগ্রহ পৃথিবীর খুব কাছে দিয়ে যাচ্ছে। দুই গ্রহের মধ্যে তখন দূরত্ব হবে মাত্র ৭৯৪ কিলোমিটার। তিনি বলেন, গবেষণার ফল অনুযায়ী মঙ্গল ও পৃথিবী যখন খুব কাছাকাছি চলে আসবে, তা হবে বড় ধরণের সংঘর্ষের নামান্তর।

গবেষণায় পত্রের প্রধান রচয়িতা জ্যাক লস্কর বলেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত সঠিকভাবেই হিসাব-নিকাশ করে দেখেছেন যে, আগামী শত শত, এমকি হাজার হাজার বছরেও পৃথিবীর সঙ্গে অন্যকোন গ্রহের সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই। তারা সু-শৃভ্খলভাবেই কক্ষপথ অতিক্রম করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সব সময় যে তারা এমন সুশৃঙ্গল থাকবে সেই নিশ্চয়তা কে দেবে। মহাজাগতিক ঘটনার উপর তো আগাম পূর্বাভাস চলে না। যে কোনো সময় মহাজাগতিক ঘটনার পেক্ষিতে প্রলয় ঘটে যেতে পারে।

হোক না সেই সম্ভাবনার মাত্রা হয়তো খুব কম। কয়েক লাখ বছর পর কি ঘটবে সে কথা কেইবা বলতে পারে। আর এ কারণেই লস্কর এবং তার সহকর্মী মিশেল গ্যাস্টিনিউ আগামী ৫০০ কোটি বছরে মহাকাশে কি ধরনের বিশৃঙ্খলা হতে পারে শক্তিশালী কম্পিউটার ব্যবহার করে তার নিউমারিক্যাল সিমুলেশন তৈরি করেছেন। লস্কর বলেন, মহাজাগতিক বিপর্যয়ের প্রথম শিকার হবে বুধ গ্রহ, এর ভর খুবই কম। এরপর একের পর এক প্রলয় ঘটতে শুরু করবে।

সব গ্রহেরই কক্ষপথ পরিবর্তন হয়ে যাবে। একটি ঢুকে যাবে আরেকটির কক্ষপথে। ফলে সংঘর্ষ হয়ে হয়ে যাবে অনিবার্য। তবে আশার কথা এটাই যে, সেই সংঘর্ষ দেখার জন্য আমরা কেউ হাজির থাকব না। সূত্র:দ্য মেইল, পিটিআই।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.