আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুখি হবার সহজ উপায় খুঁজতে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

সবাই তো সুখী হতে চায়; কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না... মান্না দের গাওয়া অমর এই গানটি শোনেননি এমন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আসলেই কি কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না? আসলেই কি সুখী হওয়া সম্ভব? বিজ্ঞান বলছে, যায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সামান্য একটু মানবিক আচরণ করার অনুশীলন করলে, আপনি সুখী তো হবেন-ই, হবেন ভালো একজন মানুষ। আপনার আত্মমর্যাদা বেড়ে যাবে। ৭০০ মানুষের ওপর পরিচালিত ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন তথ্যই বের হয়ে এসেছে।

অন্যদের প্রতি সামান্য প্রীতিকর আচরণ করার প্রভাব নিয়ে সপ্তাহব্যাপী একটি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের বলা হয়েছিল, তারা যেন প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে ১৫ মিনিট ধরে কারও না কারও সঙ্গে সহানুভূতিশীল ও করুণকর দৃষ্টিতে ইতিবাচক কথাবার্তা ও আচরণ করেন। ছয় মাস পরে অংশগ্রহণকারীরা জানালেন, তাঁরা অত্যন্ত সুখী সুখী বোধ করছেন। নিজের আত্মমর্যাদাবোধও বেড়ে গেছে। নিজেকে এখন একজন ভালো মানুষ বলে মনে হয়। আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়ে গেছে।

এখন কীভাবে আপনি বলবেন, স্বার্থপরের মতো আচরণ করে আপনার আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মানবোধ অটুট বা উন্নত রাখবেন? সুখী বলে জাহির করবেন। এখন হলপ করে বলুন তো, আপনি কি সুখী হতে চান না? নিশ্চয়ই চান। গবেষণাপত্রের মূল প্রণেতা ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মারিয়াম মনগ্রেইন বলছেন, সবচেয়ে সহজ পথটি হচ্ছে, উদার হতে হবে, মহৎ হতে হবে। আর পরোপকারী কাজ করুন। দৃঢ়তার সঙ্গে বলা যাবে, আপনি ভালো।

আর যেকোনো সমাজেই ভালো মানুষটির অনেক সম্মান, অনেক সমাদর। অন্যের প্রতি সদয় হলে, নিজের প্রতিও সদয় হওয়া সম্ভব। সব কিছু মিলিয়ে তখন আপনি নিশ্চিতভাবেই একজন সুখী মানুষ। এখন বলুন, আপনি কি এখন অন্তত একবারের জন্য সুখী হতে চাইবেন না? যদি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি হয় হ্যাঁ। তাহলে গবেষণা নিয়ে কোনো প্রশ্নই করবেন না।

শুধু নিজেকে সুখী করার জন্য আজই, এক্ষুনই শুরু করে দিন অন্যের প্রতি সদয় আর প্রীতিকর আচরণের অনুশীলন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।