আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরেক রকম মানুষ ।

সামুর কাছে চির কৃতজ্ঞ ...আমি অবাক নির্বাক হতবাক শতভাগ ... আমার শিরোনামটা দেখে কেউ ভেবে বসবেন না যে, আমি হরেক রকম মানুষ ফেরি করে বেড়াচ্ছি । এখানে শুধুমাত্র আমার দেখা কয়েক জন বিচিত্র রকম মানুষের কথা তুলে ধরার প্রয়াস করেছি মাত্র । পৃথিবীতে মানুষের মতো বিচিত্র প্রাণী বুঝি দ্বিতীয়টা আর নেই। ব্যাক্তি ভেদে কার্য প্রণালীর ভিন্নতা প্রকাশ পায় নাকি কার্য ভেদে ব্যাক্তির ব্যাক্তিত প্রকাশ পায় সে সম্পর্কে বিস্তর প্রশ্ন থেকে যেতে পারে। কিন্ত ব্যক্তি ভেদে কার্য গুলির বিচিত্রতা পরিলক্ষিত হ্য়।

আমি আজ এখানে কয়েক জন বিচিত্র ধরনের মানুষের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করব। আসলে বিচিত্র মানুষ নয় ,বিচিত্র তাদের কার্য প্রণালী , আচার -আচরণ । আরিফ ভাই , লম্বা চওড়া সুঠাম দেহের অধিকারী এক জন দিল প্রান খোলা মানুষ । রান্না করতে এবং খেতে দারুন পছন্দ করেন। অফিস শেষে বাহারি বাজার করে বাসায় এসে মজার মজার রান্না করেন ।

আসলে উনি যে কত বড় পাকা পুরুষ রাঁধুনি তার হাতের রান্না না খেলে বুঝা মুশকিল । বেচারী এত মজার মজার রান্না করেন ,তবু দারোগা ভাবীর দিলে রহম হয়না। হাবিব ভাই,নকল নাম। আরিফ ভায়ের কলিগ । ঠিক আরিফ ভায়ের উল্টো ।

যেমন কৃপণ তেমন অলস । রুটি বানানোর জন্য ময়দা মাখাতে গেলে যে তাতে লবণ দিতে হয় সেটাই নাকি তিনি জানেন না । একটা ডিম ভাঁজতে কত টুকু তেল লাগে সে আন্দাজ টুকুও উনার নাই। তবে ভাবী কে তেমন ভয় পান না । হাসান ভাই , পরিষ্কারের জন্য যদি কোন এওয়ার্ড প্রদানের ব্যবস্থা থাকত তাহলে নির্ঘাত তিনি প্রথাম পুরষ্কার পেতেন.যতক্ষণ বাসায় থাকেন বাথরুম উনার দখলে থাকে।

এ দিক দিয়ে উনাকে দখলদারও বলা যায়। মাসের প্রতিটা দিন বালতির ভেতর উনার ভেজানো কাপড় পাওয়া যায়। তার অতিরিক্ত পরিষ্কার বাতিকের জন্য একমাত্র বউ টা উনাকে ছেড়ে চলে গেছে। শোভন, বয়সে খুবি তরুণ । এই বয়সে হেসে খেলে হৈ চৈ করে বেড়ান প্রধান কাজ হওয়া উচিত , তা নয় সারাদিন পড়েপড়ে ঘুমায় ।

প্রচণ্ড সূর্যের আলো মুখের উপর এসে নাচা নাচি করে তারপরও দেখা যায় মুখ হা করে ঘুমাচ্ছে । ঘুমের সময় দুনিয়া দারি কিছুই মনে থাকেনা । কানের মধ্যে মোবাইল ধরে সারাক্ষণ বক বক করতে উস্তাদ রানা ভাই। রান্না করছে কানে মোবাইল, ভাত খাচ্ছে কানে মোবাইল , শুযে আছ কানে মোবাইল , টয়লেটে গেছে কানে মোবাইল , সারাক্ষণ কানে মোবাইল । আমার বলার ধরন দেখে হয়ত ভাবছেন বাড়িয়ে বলছি , মোটেও না ।

সম্পুর্নাটাই বাস্তব ঘটনা । সবচেয়ে মজার কাণ্ড করে রুহুল । সবসময় ল্যাপটপ খুলে ফেচবুকের মধ্যে মুখ নিয়ে বসে থাকে । ইন্টারনেটে তার অন্য কোন কাজ নেই, শুধু ফেসবুকে সবার স্ট্যাটাস দেখা আর চ্যাট লিস্টে কে আসছে যাচ্ছে সেটাই দেখা তার প্রধান কাজ। দুনিয়াতে আর কত কিসিমের মানুষ যে দেখবো তার ঠিক নাই........  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।