আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজহারের অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ অগাস্ট

বৃহস্পতিবার এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ছয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারপতি ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ শুনানির এই দিন ঠিক করে দেয়।
১৮ অগাস্টের মধ্যে মামলার নথিপত্র আসামিপক্ষকে সরবরাহ করতেও প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম। আর আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা গত ১৮ জুলাই ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।

এর মধ্যে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও  ধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে।
সেদিন প্রসিকিউশনের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২২৫ ব্যক্তিকে হত্যা, চারজনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং শতশত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আজহার তখন রংপুরের কারমাইকেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর শাখার সভাপতি। জেলার আলবদর বাহিনীরও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।
আজহার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে অপরাধ সংঘটন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।


২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এ সময় ৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বক্তব্য শোনেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে প্রতিবেদনে তারা সাক্ষী করেছেন ২৭ জনকে।
গতবছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে এটিএম আজহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.