বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এই জায়াত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে শুনানি শুরুর দিন ঠিক করে দেন।
৫ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ মামলার শুনানি শুরু হবে।
আজাহারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয় গত ২৯ অগাস্ট।
ওইদিন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম আজহারের বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগের বর্ণণা উপস্থাপন করেন। এছাড়া ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ১৯৭৩’ এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী সংঘঠিত অপরাধগুলোর ধরনও ব্যাখ্যা করেন।
এ মামলায় জব্দ তালিকার সাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ৩৪ জনকে সাক্ষী করার কথা জানান তিনি।
প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা গত ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন, যার হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে।
রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে ১ হাজার ২২৫ ব্যক্তিকে খুন, চারজনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং শতশত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আজহার তখন রংপুরের কারমাইকেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর শাখার সভাপতি। জেলার আলবদর বাহিনীরও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।
আজহার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে অপরাধ সংঘটন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এরপর গতবছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।