বিজ্ঞানী শিমুল সুদে সুদক্ষয়। যেমন কথাটা বিষে বিষক্ষয়। সুদ নামক বিষটা এখন আমাদের মাঝে চূড়ান্তরূপে ছড়িয়ে গেছে। এটা এখন আমরা ভাতের মতই স্বাভাবিকরুপে মেনে নিয়েছি। সাথে আছে আমাদের দারিদ্র্য।
সেই সু্যোগে সুদ ব্যবসায়ীরা আরামসে সুদ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে সুদ ব্যবসা শুরু করে গ্রাম্য মহাজনরা। কারো কাছ থেকে জমির দলিল নিয়ে টাকা নিত। তারপর টাকা দিতে না পারলে জমি চলে যেত মহাজনের কাছে। এখনো এই টাইপের সুদ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন গ্রামে সুদ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেক দরিদ্র লোকেরা এখনো তাদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সেসব সুদ ব্যবসায়ীরা গ্রাম্য মসজিদগুলোর প্রথম কাতারের নামাজী। একেক জনের পেট তিনহাত লম্বা হয়ে ঝুলে আছে। দেখলেই বোঝা যায় সুদখোরি পেটে তিন চারটা বাচ্চা বসে আছে। এগুলোও বড় হয়ে সুদ খাওয়া শুরু করবে।
বোঝাই যায় সুদ ব্যধিটা আমাদের মাঝে এখন ব্যপক হারে প্রভাব বিস্তার করেছে।
এখনকার সময়ে বিভিন্ন এনজিয় এই ব্যবসাটা চরমভাবে শুরু করেছে। এরকম সুদ ব্যবসা চালিয়ে আমাদের দেশের নারীদের সবচেয়ে বেশি বিপথে নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে স্বাবলম্বী করার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবসাটা শুরু হয়। যদিও আমি এখন পর্যন্ত কোন স্বাবলম্বী হওয়ার বাস্তব উদাহরণ দেখিনি।
যা দেখেছি তা ওই টেলিভিশনের পর্দায়। দরিদ্র লোকগুলো এখনো দরিদ্র রয়ে গেল।
প্রথমে তাদেরকে ৩৫০০ টাকা ঋণ দেয়া হয়। সেই সার্কেল অনেক কষ্টে পূর্ণ করার পর আবার শুরু হয় নতুন সার্কেল ৪৫০০ টাকার। এভাবে টাকার অংকটা বড় হতে থাকে, আর আমাদের দরিদ্র মা-বোন-পিসিরা বেপর্দা হয়ে তাদের সুদের সার্কেলের লম্বা লেজ লাগাতে থাকবে।
এভাবেই দেশি-বিদেশী সকল সুদী এনজিয় আমাদের উন্নতির চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে দিচ্ছে। অর্থাৎ এনজিয় ভিত্তিক সুদী ভোদাই সার্কেলের আওতাভুক্ত করছে।
ইসলাম ধর্মে সুদ হারাম। (অন্য ধর্ম এ ব্যপারে কি বলে সেটা জানিনা। ) এরকম হারাম জিনিসগুলোকে আমরা মুসলমানরাই বেশি লিড দিচ্ছি।
গ্রাম্য বড় বড় সুদ ব্যবসায়ী আড়তদাররা হচ্ছে সব পেট ফুলানো মাথায় টুপিওয়ালা মুন্সী। এরাই দেখি মাঝে মাঝে বিভিন্ন বয়ান দেয়, নীতিকথা বলে। কিন্তু, এদের কারণেই আজ আমাদের মুসলমানদের নিয়ে অন্যেরা উল্টাপাল্টা কথা বলতে সাহস পায়। বিভিন্ন ছবির পরিচালকরা হুজুর চরিত্রগুলোকে খারাপ চরিত্ররুপে ফুটিয়ে তুলে।
আরেকটা কথা সবাই নিয়মিত যাকাত দিলে আজ এরুপভাবে সুদ ব্যবসায়ীরা ফনা তুলতে পারতোনা।
আল্লাহ আমাদের সকল মানুষকে সুদ তথা সকল ধরণের অন্যায় থেকে দূরে থাকার তৌফিক দিন। আমরা যেন এসব সুদের আস্তানার একটু হলেও ভিত্তি গুড়িয়ে দিতে পারি। (আমিন)
বিদ্রঃ এটি একটি সচেতনতামূলক পোস্ট। এট লিস্ট মূল মর্মবাণীটা হলেও অন্যের কাছে পৌঁছে দিন এবং সুদকে না বলুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।