সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার
গালাগালিতে ফল পাবেন না। এতে ঘৃণার তীব্রতার মাঝেক্ষনিক আত্মতৃপ্তি পাওয়া গেলেও আত্মশক্তি কমে অনেকখানি। কিন্তু তারপরও পিশাচের গায়ে গালি লাগে না। রক্তচোষার সময় কোন পিশাচকে গালির তোয়াক্কা করতে দেখেছন কখনও? এরা রক্তের রঙ্গে আর স্বাদে বিভোর হয়ে কুদরতি সপ্নে ক্ষুরধার ভোজালী উচিয়ে আছে। এরা ভারতে শিবসেনা, পাকিস্তানে মৌলবাদী, বাংলাদেশে জামাত, রাজাকার আর বুশের আমেরিকায় কুকুকস ক্ল্যান।
এরাই ইওরোপে নাজী, ইরানে খোমেনীর উত্তরসুরী আর আফগানিস্তানে তালিবান। এদের পৈচাশিক চেহারা সবখানেই সমান ভাবে বীভৎস।
গালি এদের গায়ে লাগে না। কচুপাতার উপরের জলের ফোটার মতো না ছুঁয়েই গলে পড়ে। এরা ভেজে না, এদের মন ভেজে না।
লাখো মানুষের মৃত্যুতে, লাখো শিশুর কান্নায়, লাখো মায়ের আহাজরিতে ওদের মন সামন্যতমও ভেজেনি। স্বদেশের স্বাধীনতায় কালিমা লেপনেই ওদের পৈশাচিক আনন্দ।
এরা নিজেদেরকে তাদের প্রভুদের কাছে অনেক আগেই ইজারা দিয়ে দিয়েছে। এদের কাজই হচ্ছে এদের প্রভুদের জন্যে আরো শিকার খুজে বের করা। এরা সত্য সুন্দরের কথা বলে প্রারম্ভে, একেবারেই পরিকল্পনামাফিক।
তারপর ধীরে ধীরে তাদের চেহারা পরিবর্তিত হতে হতে পিশাচে পরিবর্তিত হয়।
জানবেন, এদের একটা দুর্বলতা রয়েছে। এরা কখনো আপনার চোখের দিকে সরাসরি তাকাবে না। এদের আত্মার ভেতরে যে মিথ্যে, তাকে কালো সুরমার পর্দার আড়ালে ঢেকে রাখার চেষ্টায় এখনও সফল হতে পারে নি। সেখানেই এদের ভয়।
বামালশুদ্ধ ধরা পড়ার ভয়, এদের ঘৃন্য চেহারা বেরিয়ে পড়ার ভয়! এরা তাই আপনার চোখের দিকে না তাকিয়ে মাটিতে চোখ রেখে দেশ ও সমাজের সর্বনাশে বদ্ধপরিকর।
গালিতে, তীরষ্কারে কোন ফলাফল পাবেন না। নিজের সরল ও সত্যসুন্দর দৃষ্টিশক্তিকে ব্যবহার করে এদের চোখের দিকে সরাসরি তাকান। দেখবেন, এরা মুহুর্তেই মিলিয়ে যাবে কবরের অন্ধকারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।