রাণী ভবাণী (১৭১৬ - ১৭৯৫) ইংরেজ শাসনামলে বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহীর একজন জমিদার ছিলেন । বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করার পর রাণী ভবাণী তত্কালীন রাজশাহীর জমিদার রামকান্তকে বিবাহ করেন । রামকান্ত ইহলোক ত্যাগ করার পর অধিকার বলে রাণী ভবাণী স্বামীর জমিদারী প্রাপ্ত হন । তখনকার দিনে জমিদার হিসাবে একজন মহিলা অত্যন্ত বিরল ছিলেন, কিন্ত্ত রাণী ভবাণী রাজশাহীর বিশাল জমিদারী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাহ করেন । একজন ইংরেজ লেখক হলওয়েল ধারণা দেন যে জমিদারী এস্টেটের বার্ষিক খাজনা ছিল প্রায় ৭ লক্ষ রুপী এবং বার্ষিক অর্জিত রাজস্ব ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ রুপী ।
অধিকন্ত্ত, অনাড়ম্বর ব্যক্তিগত জীবনযাপন করার সাথে সাথে রাণী ভবাণীর উদারতা এবং সমাজহিতৈষী মনোভাব তাঁকে সাধারণ জনগনের মাঝে জনপ্রিয় করে । তিনি বাংলায় শত শত মন্দির, অতিথিশালা এবং রাস্তা নির্মাণ করেন । তিনি প্রজাদের পানীয় জলের কষ্ট দূর করার জন্য অনেকগুলি পুকুরও খনন করেন । তিনি শিক্ষা বিস্তারেও আগ্রহী ছিলেন এবং অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদারভাবে দান করেন ।
বগুড়া জেলার শেরপুরে অবস্থিত পীঠস্থান ভবানীপুরের মন্দির উন্নয়নে রাণী ভবাণীর অনেক অবদান থাকার সম্ভাবনা আছে ।
রাণী ভবাণীর নামানুসারে ভবানীপুর মন্দিরের তারা দেবীকে সম্ভবত মা ভবানী নামে সম্বোধন করা হয় ।
রাণী ভবাণীর নাটোরের রাজবাড়ী বাংলাদেশে আজও একটি দর্শনীয় স্থান । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।