এমন মানব জনম আর কি হবে
দয়া করো গুরু এবার
এই ভবে । ।
অনন্ত রূপ সৃষ্টি করলেন সাঁই
মানবরুপের উত্তম কিছু নাই
দেব-দেবতাগণ করে আরাধন
জন্ম নিতে এই মানবে । ।
কতো ভাগ্যের ফলে না জানি
পেয়েছ এই মানবতরণী
বেয়ে যাও ত্বরায়, তরী সুধারায়
যেন ভারা না ডোবে ।
।
এই মানুষে হবে মাধূর্য ভজন
তাইতো মানবরুপ গঠলেন নিরন্জন
এবার ঠকলে আর না দেখি কিনার
লালন কয় কাতরভাবে।
মানুষের জন্ম একটা বিশাল ব্যাপার। যার জন্ম হয় সে জন্তু বা জীব, আর এ জীবজগতে মানুষই শ্রেষ্ঠ কারণ মানুষ বুদ্ধি খাটিয়ে ভালমন্দ বিচার করে ভালটা গ্রহণ করতে পারে। আজকে মানুষের যে বৈজ্ঞানিক উন্নতি, বুদ্ধির জোরেই তা সম্ভব হয়েছে।
এ মানব জন্মকে জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসীরা খুবই সৌভাগ্যের ঘটনা বলে মনে করেন। মানুষ জন্ম-মৃত্যুর চক্রে ঘুরছে,একজন্মের কর্ম পরবর্তী জীবনে প্রতিফলিত হচ্ছে, এরমধ্যে ভাল কাজের ভাগ বেশি হলে ভাল পরিবেশে জন্ম হয়ে সে দেবজীবন লাভ করে। আর, মন্দকাজের ভাগ বেশী হলে মানুষ ইতরযোনী পায় অর্থাৎ পশু-পাখি হয়ে জন্মায়। ইতরপ্রাণির জীবন শেষ হলে আবার সে মানুষরূপে জন্মায়। দেবতা এবং পশুজীবনে কর্মের কোন স্হান নাই, ফলে কৃতকাজের ফললাভের পর তারা মানবজীবনে ফেরত আসে।
এভাবে জন্ম-মৃত্যুর চক্রে মানুষ বান্ধা।
একমাত্র মানব জীবনেই কর্মের মাধ্যমে এ চক্র কেটে বেরিয়ে মোক্ষলাভের সুযোগ আছে, দেবতা বা পশুদের ভোগের জীবনে সে সুযোগ নেই। একমাত্র মানুষেই হয় মাধুর্যভজন। তাই ফকির লালন বলছেন, 'এবার ঠকলে আর না দেখি কিনার। ' ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।