আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বিস্তৃত অনুভূতির দ্বার- রায়ান (শেষ পর্ব)

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই..পাই যদিবা.ক্ষণেক্ষণে হারাই প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্বের পর আমি অনেক কেঁদেছি সেদিন। একটা সময় মনে হল, আমি তো অনেক স্বার্থপর। বারবার নিজের কষ্টের কথাই ভাবছি। আমার বাচ্চাটার এই কষ্টে কষ্ট পাবার চেয়ে আমার মধ্যে কী তাহলে আমার নিজের খারাপ লাগাটাই বেশি কাজ করছে? একবারও কী ভেবে দেখেছি ওর কতটা কষ্ট হয়? হয়তো ভাবছি, হয়তো এর জন্যই কাঁদছি, কিন্তু ওকে কী আমার শক্তি দেবার কথা না?? আমার সোনাটার যে কষ্ট হচ্ছে, সারাটা জীবন যে ওকে এই দু:সহ ব্যাপারটা নিয়ে কাটাতে হবে-সেটা আমি একবারও ভাবছিনা??? কেমন মা আমি?? আমারতো এখন উচিত পরম মমতায় বাবুটাকে আগলে রাখা, ওর সব যোগাযোগহীনতার মাঝে, ওর একান্ত নিস্তব্ধ দু:সহ পৃথিবী আর এই স্বাভাবিক পৃথিবীর মধ্যে একটা সেতু তৈরি করে দেয়া। যদি মা হয়ে আমিই এ ব্যাপারগুলো ভুলে যেয়ে "কেন হল? কীভাবে হল?" করে কাঁদতে থাকি তাহলে তো আদৌ কিছু হবেনা।

আমাকে তো আমার রায়ানটার পাশে দাড়াতে হবে। ওর যখন কষ্ট হবে, অসহ্য লাগবে, বাবুটা যেন আমার কাছেই ছুটে আসতে পারে, আমার বুকেই মুখটা চেপে থাকতে পারে। ওর বলতে না পারা সব কথাগুলো যেন আমি নিজের থেকেই বুঝে যেতে পারি। আমাকে দিয়ে যেন ওর বিশ্বাস বাড়ে স্বাভাবিক পৃথিবীর সাথে, মানুষগুলোর সাথে। -আমি নিজেকে বুঝাতে লাগলাম।

বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম। পরে পাশের রুমে যেয়ে ঘুমন্ত রায়ানকে দেখে আমার খুব কষ্ট লাগতে লাগল। ওর গালটা ছুঁয়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম- আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমার সন্তানকে সাহায্য করব। আমি আমার রায়ানের শক্তি হতে চেষ্টা করব। আর এই রায়ান ই আমার শক্তি, ও-ই আমার সাহস।

আর স্রষ্টার কাছে বলতে লাগলাম-"মা হওয়ার সৌভাগ্য, ক্ষমতা যখন দিয়েছো খোদা, বাচ্চাটাকে রক্ষা করার সেই সাহস, শক্তিটাও তুমিই দিবে আমাকে, রায়ানকে। আমি জানি, রায়ান যতটা আমার, তারচেয়েও অনেক বেশি তোমার, তুমি তোমার সৃষ্টির প্রতি এভাবে নির্দয় কখনই হতে পারোনা। এই নিষ্পাপ শিশুটার খেয়াল তো তোমার রাখতেই হবে। " আমি পড়াশুনা করতে লাগলাম। যত পারি বই,ইন্টারনেট থেকে পড়তে থাকি অটিজম নিয়ে।

অটিজম এমন একটা সীমাবদ্ধতা যেটার কারণে অটিজম আক্রান্ত মানুষটা পৃথিবীটাকে দেখে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে। সে পারেনা সহজেই আশেপাশের আর সব স্বাভাবিক মানুষের সাথে স্বাভাবিক ভাবে মিশতে। তার নিজেকে প্রকাশ করাটা, যোগাযোগের ক্ষেত্রস্হাপন সবই অনেক বেশি কঠিন। বুদ্ধিগত এবং আচরণগত কিছু সীমাবদ্ধতারই সমষ্টিগত নাম অটিজম বা ASD ডিজঅর্ডার। বলা যেতে পারে শিশুটা যেন একটা মনস্তাত্বিক কাঁচের ঘরে বন্দী,যেখান থেকে সব দেখা তো যায় ঠিকই,শোনাও যায়-কিন্তু কিছু বুঝানো যায়না, কিছু বলা যায়না।

কারণ এই নিজের মধ্যে বসত করা কাঁচের ঘরটায় হাজার চিৎকার করলেও বাইরের পৃথিবীতে সেই চিৎকার পৌছেনা। তাই নিজের মধ্যেই কুড়ে কুড়ে খায় এই হতাশাবোধ। আমাদের ব্রেনের একশো বিলিওন নিউরনের মধ্যে কর্তব্যরত সবগুলো প্রতিনিয়ত তথ্য আদান প্রদান করে ব্রেন থেকে শরীরে। আমার রায়ানের মত আর যাদের অটিজম আছে তাদের ক্ষেত্রে সাড়া,অনুভুতি কিংবা সংযোগের তথ্যগুলো বহনকারী নিউরনগুলোয় সমস্যা হয়। বলা যায় এই নিউরন নামের কর্মীগুলো হয়ত ক্লান্ত হয়ে যায়,কিংবা বাধাগ্রস্হ হয়,আর খুব প্রকট হলে ধংস হয়ে যায়।

পড়ছিলাম,আর বারবার রায়ানের দিকে তাকাচ্ছিলাম। আমার এটুকু বাচ্চাটাকে এত কষ্ট করতে হয়,সারাজীবন এই ব্যাপারগুলো সহ্য করে যেতে হবে ভাবতেই হুহু করে উঠছিল বুক। এরপর থেকে নিজেকে বুঝাতে থাকতাম প্রতিনিয়ত। আর দশটা মা-র মত আমার সন্তানের শৈশব যে আমার কাছে সেই রকম রঙিন হয়ে ধরা দিবেনা তা আমি জানি। মানতে কষ্ট হচ্ছিল অনেক।

আমার খুব মনে হত মাঝেমধ্যে-আমার বাচ্চাটা যদি খেলার মধ্যে থেকে দৌড়ে আসত আমার কাছে,আমার সাথে স্কুল থেকে ফেরার পথে আমার গায়ে হেলান দিয়ে গল্প করে যেতাম সারাদিনের খুটিনাটি গল্প করত-যেমনটা আমি করতাম ছোটবেলায়। আমার রায়ান সেটা করবে কীনা আমি জানিনা। সব বাচ্চারা যেমন বাবামা-র সাথে গা ঘেষে বসে থাকে,আমার রায়ান তেমন না। ও ওর নিজের মত থাকে। কখনও আমাদের চোখের দিকে তাকায় না।

অনেকদিন যাবৎ নাম ধরে ডাকলে জবাব দিতনা। বুঝতই না। জবাবটাও আসলে ঠিক জবাব না। ও দেখা যায় যা করছিল কিছুক্ষণ থামিয়ে তাকিয়ে থাকে-ব্যস! কোলে ওঠা নিয়ে ওর মধ্যে এত উচ্ছ্বাস নাই। স্পর্শ আদর এই ব্যাপারগুলোতে ওর মধ্যে তেমন কোন আবেগ বা অনুভুতির প্রকাশ দেখিনা।

কিন্তু আমার, বাবুর বাবার-আমাদের খুব ইচ্ছা করে বাচ্চাটাকে চেপে থাকতে নিজেদের সাথে। বাচ্চাটা আদর আদর কথা বলবে-আমরা ওকে নাকে ঘষে দিব, কোলে নিয়ে ওর বাবাটা হাত থেকে উপরে ছেড়ে দিয়ে আবার ধরবে, আমাদের বাবুটা তখন খিলখিল করে হাসবে। আমি যখন ওকে খুঁজব, ওকে নাস্তা খাওয়ানোর জন্য-আমি কইরে আমার রায়ান-বলে আরও দুষ্টামি করব। আমি খুঁজে পাচ্ছিনা ভেবে ও দরজার পিছনে লুকিয়ে টুকটুক করে হাসতে থাকবে। তারপর পা টিপে টিপে আমার পিছনে এসে আমার চোখ চেপে ধরবে-তখন মা ছেলেতে মিলে আদরে মাখামাখি হব।

খুব ইচ্ছা করে ভাবতে মাঝেমধ্যেই। অনেক ইচ্ছা করে! কখনই এমন হবে কীনা আমি জানিনা। যদি হয়ও আমাকে অনেক অপেক্ষা করতে হবে-সেটা জানি। রায়ান শব্দের প্রতি ভীষণ সংবেদনশীল। নিত্যদিনকার বিভিন্ন শব্দই ওর সহ্য হয়না, ও কান চেপে ধরে তারস্বরে চিৎকার করতে থাকে।

ওয়াশিং মেশিনের শব্দ, মশলা ব্লেন্ডার করতে গেলে শব্দ-এমন কী টিভির শব্দেও ও বিরক্ত হয়। আর দিন যাওয়ার সাথে আস্তে আস্তে আরও কিছু জিনিস ও খেয়াল করলাম-ও একই জিনিস বারবার করতে থাকে। দেয়ালে পা দিয়ে ক্রমাগত লাথি দিতে থাকে। আর কোন কিছুর কোণার দিকে যায়,ধার ঘেষে থাকে। আমার বাবু আমাকে প্রায় অনেকদিন পর্যন্ত মা বলে ডাকে নাই।

আমার খুব কষ্ট হত। আমার মুখের কাছে ওর কানটা এনে আস্তে আস্তে "মা" বলে যেতাম,ওর হাতটা আমার মুখে ধরে বুঝাতে চাইতাম। কতদিন যে ঘুমাতে গিয়েছি শুধু এই আশায়-কাল হয়ত আমার রায়ানের মুখে মা ডাকটা শুনব!! একদিন সত্যি আমার স্বপ্ন পূরণ হল। ওর তখন তিন বছর ২মাস। আমি কী একটা কাজ করছিলাম, রায়ান ঘুমে ছিল।

আমি মাকে ফোন করে কথা বলছিলাম, কখন যে ও ঘুম ভেঙে উঠে বসে ওর আপন মনে খেলছিল আমি খেয়াল করিনাই। কিছুক্ষণ পর ..আমার স্পষ্ট মনে আছে-রায়ান আমার পিছনে এসে আমার শাড়ির আচলটা টেনে ধরে বলল-মা!! আমি খুশিতে কেঁদে দিয়েছিলাম। বোধহয় আমার মা কে বারবার মা বলা শুনেই ও এটা বলেছিল,কিন্তু আরও অন্যান্য দিন বাদে ঐদিনই কেন-বুঝতে পারিনাই, তখন অবশ্য এতটাই আনন্দ লাগছিল-যে মনে হচ্ছিল আমার মা হওয়াটা সার্থক। আর ঐ একটা শব্দ উচ্চারণ করে ঐদিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন করে দিল আমার সোনাবাবুটা। ওকে কথা বলানোর জন্য খুব চেষ্টা করতাম।

সারাদিন ধরে কথা বলতাম ওর সাথে। নানান গল্প মুখস্হ করে সারাদিন ধরে ওর সাথে কথা বলতাম, শুধু ওর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। ও মাঝেমধ্যে ফিরে দেখত, বেশির ভাগ সময়ই ওর আপন জগতে থাকত। ফ্ল্যাশ কার্ড,স্পিচ থেরাপি,গল্প বলা এসব কিছুদিয়ে চেষ্টা করতাম বাবাটার মনযোগ আকর্ষণের। আস্তে আস্তে কিছুটা সফল হতে লাগলাম।

খুবই ধীরে,কিন্তু তবুও আমার বাবুটাকে চেষ্টা করতে লাগলাম। সামান্য দাঁতব্রাশ করার ব্যাপারটা যেটা স্বাভাবিক বাচ্চারা বেশি হলে এক সপ্তাহে শিখে,আমাকে সেটা প্রায় প্রতিদিন আধাঘন্টা করে ১বছর ধরে ওর সাথে করে করে শেখাতে হয়েছে। ডান বাম, চুল আচড়ানো, জুতো পরা, জামার বোতাম লাগানো, কেউ হাই বললে উত্তরে হাই দেয়া, কারও সাথে কথা বলার সময় তার দিকে তাকানো, হেন্ডশেক করতে হলে হাতটা বাড়িয়ে দেয়া, কাউকে বিদায় দিতে হাত নেড়ে টাটা দেয়া, হাত ধুয়ে হাত ঝাড়া, একটা একটা করে শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন করা -এসব খুবই সাধারণ কিছু কাজ যা স্বাভাবিক বাচ্চারা আপনাআপনি ই শিখে যায় সেগুলো খুব ধৈর্যের সাথে প্রতিদিন সময়করে আমার ওঁকে অনেকদিন যাবৎ শেখাতে হয়েছে। হচ্ছে। ও কোন পরিবর্তন সহ্য করতে পারেনা।

একবার বাসায় আসবাব পত্রের কিছু পরিবর্তন করলাম, ও কেন জানি এটা মানতে পারছিলনা। পরে ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করে জানলাম-এটায় ও অভ্যস্হ নয়। একই ব্যাপার ওর প্রতিদিনের রুটিনেও। ওর ঘুমানোর, খাওয়ার সময়-যদি একটুও নড়চড় হয় ও কেমন যেন করতে থাকে, চিৎকার করে কাঁদে, কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে যায়। বাসায় মেহমান আসলে কিংবা আরও নানা কারণে মাঝেমধ্যে যদি কিছুটা হেরফের হয়ে যায়-ওর মধ্যে সেই সমস্যা শুরু হয়ে যায়।

আমি আর বাবুর বাবা যে কত রাত ওকে শান্ত করতে করতে নির্ঘুম কাটিয়েছি! যখন ও কী করতে চায় বা কী করলে ওর ভাল লাগবে বুঝাতে পারেনা, চিৎকার করতে থাকে। কারও সাথে মিশতে পারেনা, চায়ই না যেন। ওকে আরও বাচ্চাদের সাথে খেলতে দিলেও খেলেনা। মিশেই না,কথা বলেনা। আমার খুব ইচ্ছা করে ওকে খেলনা কিনে দিতে, ও সেগুলো ধরে পর্যন্ত না।

পুতুলের দোকানে গেলে খুব ইচ্ছা হয় ওকে টেডিবিয়ার দিতে-ও ধরেও দেখেনা। ও একটা পারফিউমের বোতল সারাক্ষণ হাতে নিয়ে থাকে। সেটার মুখটা ঘুরাতে থাকে। এটাই ওর খেলনা। একদিনের কথা বলি।

ওকে নিয়ে একদিন খেতে গিয়েছি বাইরে। ও হঠাৎ কী দেখে জানি খুব উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিল। বারবার বলে যাচ্ছিল- রায়ান যাবে,রায়ান যাবে,রায়ান যাবে...........................। একসময় বেশ জোরে জোরে বলতে লাগল। আশেপাশের সবাই কীভাবে জানি তাকিয়ে দেখছিল।

আমি জানি ব্যাপারটা স্বাভাবিক না। আমি আস্তে করে স্যরি বললাম পাশের টেবিলের মানুষ গুলোকে। কিন্তু হঠাৎ করে শুনি একজন বলে উঠল-কেন যে এসব পাগল ছাগল নিয়ে বাইরে বের হয়!! আমার মেজাজ দপ করে উঠল! আমার ছেলে অটিজমের স্বীকার। কিন্তু ও পাগল না। যারা মানুষের সীমাবদ্ধতাকে না জেনে হুটকরে কিছু একটা বলে বসে, বলতে দ্বিধা নাই-আমার রায়ান তাদের চেয়ে হাজারগুণে স্বাভাবিক।

আমার ছেলের তো উন্নতির উপায় আছে, এই আশা আছে কখনও একদিন হয়্ত ও ঠিক পৃথিবীর মানুষগুলোকে ওর অনুভুতি বুঝাতে পারবে,সমাজে আর জন্য কিছু করতে চাইবে-কিন্তু এসব সব কিছু স্বাভাবিক হয়েও যারা অসুস্হ তাদের তো সেই আশাও নাই। এসব বিকৃত মানসিকতার মানুষগুলোর চেয়ে আমার রায়ানের অবস্হা হাজার গুণে ভাল। এবং আমি আমার রায়ানকে নিয়ে গর্বিত। আমি জানি ওকে সারাজীবন এই অটিজম নিয়েই বাঁচতে হবে, এবং এটা নিয়েই ও। হুট করে ও ভাল হয়ে যাবে দৈব ভাবে-সে আশা আমি করিনা।

তবে ওর এই অটিজমই ওকে অন্য আর দশটা মানুষের চেয়ে ওকে আলাদা করেছে। আমার ছেলেটা যোদ্ধা। আর সবাই যেটা সহজে পায় সেটা আমার ছেলেকে অর্জন করে নিতে হয়। কাজটা অনেক কষ্টের তবে আমার ছেলেটা লড়ছে, লড়ে যাবে। কারন ওকে যে একদিন দেখিয়ে দিতে হবে-সমাজের আর দশটা মানুষের মত ও সমাজের একটা অংশ, সমান গুরত্বপূর্ন অংশ।

অটিজমকে বাদ দিয়ে যেমন ওকে ভাবা যায়না, তেমনি ওর মত রায়ান কে বাদ দিয়েও সমাজ না। শুধু কামনা করি, সমাজ থেকে এই বিকৃত মানসিক অসুস্হদের সুগতি হোক। আর এভাবে বেঁচে থাকা সবকয়টা শিশু নিজেদের সীমাবদ্ধতাগুলো জয় করুক,আর আমার মত সবকয়টা মা মাথা উঁচু করে বলুক-এই যে আমার সন্তান- আমার বিস্তৃত অনুভুতির দ্বার! (শেষ)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.