সবটাই চাই। তুমি নয় খানিকটাই দিও,তাও না পারো তো-কিছুই চাইনা। তবুও সবটাই চাইতে চাই। চাইতে দিও.. মন বিরাট খারাপ। বাড়িতে যাইনা অনেক দিন।
বাংলাদেশের একটা অনলাইন শপ থেইকা বউয়ের জন্য একটা শাড়ি কিনছিলাম, টাকাও পে করছি সাথে সাথেই। মাগার টাকা পে করার পরে ওরা আর শাড়ি ডেলিভারি দেয় নাই। যতই কমপ্লিন করতেছি, কোন ফিডব্যাক নাই। দেশের মানুষ এরকম জোচ্চুরি শিখল কবে থেকে? বাংলাদেশীরা তো এমন ছিলনা!!
আমার দোকানে এই মুহুর্তে কাস্টমার নাই তেমন, বইসা বাচ্চাটার কথা ভাবতেছি। এমন সময় দোকানে আসলেন বিনয়কৃষ্ণ মজুমদার।
ওনার বাড়ি কলকাতায়। প্রফেশনাল লাইফে ছিলেন রাজনীতিবিজ্ঞানের শিক্ষক। এখন অবসরে। ওনার ছেলে-ছেলের বউ থাকে সৌদি আরব। বছরে একবার দুইবার উনি বেড়াতে আসেন।
আর বেড়াতে আসলেই আমার দোকানে আসেন, চা-কফি খান, রাজনৈতিক বিষয়ে নানা কথা বলেন। সবই রাশভারি কথা, কিন্তু এই লোক বিরাট খিস্তিবাজ। একটা কথার সাথে ৩ টা গালি না মেশালে উনি মনে হয় মজা পান না। এমন গালিবাজ মানুষ কেমনে কলেজে শিক্ষকতা করলেন সে এক বিরাট রহস্য আমার কাছে।
কথা হচ্ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে।
তারে জিগাইলাম কি বুঝাতসেন? তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হইল, বাংলাদেশ কি আর বাংলাদেশ আছেনি মিয়া? ঐডা তো এখন আমাগো একটা অঙ্গরাজ্য। বিরস মুখে তার দিকে তাকিয়ে আছি। কিছুক্ষণ দম নিয়ে তিনি আবার বললেন, যে দেশের সরকার দেশের জন্য ন্যুনতম চিন্তা না করে কেবল নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য রাজনীতি করে, পাশের দেশের কথায় হাগা-মুতা করে, সে দেশের আবার রাজনীতি কি মিয়া? আর তোমরা মিয়া পারো-ও। এইরকম একটা বিভীষণরে ভোট দিয়া ক্ষমতায় আনছো, তোমাগো তো উচিত শিক্ষা হওয়া দরকার। এই সরকারের আরও মিনিমাম ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা দরকার।
তাইলে তোমাগে হুঁশ হইবো।
ওনার কথা শুইনা মন খারাপের লগে আমার মেজাজও খারাপ হয়া গেল। এই ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম, “আমি এই বিভীষণদের মিছিলে নেই। আমি এই রক্তপিপাসু হায়েনাদের মিছিলে কখনো ছিলাম না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবো না...” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।