ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে রাতুলের। ঘুমের তালে নাম্বার না দেখেই কথা বলা শুরু করে সে। ওপাশ থেকে মেয়েলি কণ্ঠ শুনতেই চমকে উঠে নাম্বারটা দেখেই আশ্চর্য হয় রাতুল। মেয়েরা যে ওকে ফোন করে না ব্যাপারটা এরকম না তবে এত সকালে ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়ার মত এখনও কেউ হয়ে উঠেনি। মেয়েটা কোন ভুমিকা ছাড়াই শুরু করে,আমি আপনার নাম্বারটা আব্বুকে দিয়েছি।
আব্বু আপনার সাথে যোগাযোগ করবে আপনাদের ভার্সিটির খোঁজখবর নিতে। এতে কি আপনার কোন সমস্যা হবে? রাতুল তাকে জানিয়ে দেয় তার কোন সমস্যা হবেনা। এরপর মেয়েটি ফোন রেখে দেয়। তখন রাতুল বিছানায় শুয়ে থেকেই ভাবে এই মেয়েটাকেই সে কতবার ফোন করেছিল এসএমএস করেছিল বন্ধুত্তের জন্য আজ সে কিনা নিজেই ফোন করেছে। এখানে একটা কথা বলা জরুরি মেয়েটা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করছিল আর রাতুল একটা ভার্সিটির ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ছাত্র।
রাতুল ভাবে আসলে কি মেয়েটা আজ তাহলে ওকে বন্ধু ভেবে ফোন করেছিল নাকি শুধু নিজের স্বার্থের জন্য। বন্ধুত্তের চেয়ে মেয়েটার স্বার্থপরতাই রাতুলের কাছে বেশি স্পষ্ট মনে হল।
অনেক দিন পর রাতুল তার ডাইরিটা খুলে লেখল ,কেন জানিনা আমি কারও ভাল বন্ধু হতে পারিনা সবাই শুধু আমার সাথে নিজের স্বার্থের জন্যই বন্ধুত্ব করে। নাকি আমি নিজে স্বার্থপর বলে সবাইকে স্বার্থপর ভাবি?রাতুলের তখন কলেজের আরও দুটি বন্ধুর কথা মনে পরে যারা শুধু তাদের নিজেদের জন্য তার সাথে বন্ধুত্ব করেছিল। একজন করেছিল তার আর রাতুলের রোল পাশাপাশি সেজন্য পরীক্ষায় সুবিধা পাওয়া যাবে বলে আর একজন করেছিল রাতুলের এক আত্মীয়ার সাথে হৃদয় ঘটিত বেপার ঘটানুর জন্য।
প্রথম জনের উদ্দেশ্য হাসিল হলেও দ্বিতীয় জনেরটা হয়নি।
মেয়েটার সাথে রাতুলের পরিচয়ের ব্যাপারটাও আজকের সকালের মত নাটকীয়। এমনি একদিন ক্লাস শেষে দুপুরে খেতে বসেছিল রাতুল। অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে একটা ফোন আসে। ওপাশ থেকে একটা মেয়ে বলে, কে রাতুল?
কুশল বিনিময় শেষে মেয়েটা বলে এখন যেহেতু খাচ্ছ পরে ফোন দিব।
রাতুল ভেবে পায় না কে এই মেয়েটি। পরের দিন আবার একই সময়ে মেয়েটা ফোন দেয়। রাতুল সেদিন জিজ্ঞেস করেছিল আসলে মেয়েটা তাকে চিনে কিনা। মেয়েটা আশ্চর্য হয়ে বলে, আমাকে তুমি চিনতে পার নাই?আমি অধরা।
তারপরও রাতুল চিনতে পারেনা।
তখন মেয়েটা তার পুরু নাম বলে। তারপরেও মেয়েটাকে তার কাছে অপরিচিত লাগে। এই নামের কেউ তার সাথে কলেজে কিংবা স্কুলে পরত সে মনে করতে পারেনা। রাতুল জিজ্ঞেস করে ,আপনি যে রাতুল কে ফোন করেছেন সে কি করে। মেয়েটি জবাব দেয় লেখাপড়া করে।
ঠিকই তো আছে রাতুলও তো লেখাপড়া করে। রাতুল জিজ্ঞেস করে কিসে পড়ে। মেয়েটা বলে ইঞ্জিনিয়ারিং। এখানেও মিল। তখন রাতুলের সত্যি কষ্ট হয় মেয়েটাকে না চিনতে পারার জন্য।
সবশেষে রাতুল ভার্সিটির নাম জানতে পেরে নিশ্চিত হয় আসলে যে রাতুলকে এই মেয়েটা খুঁজছে সে না। মেয়েটা তখন বলে কিন্তু এই নাম্বার থেকেই তো একদিন আমার অন্য এক বন্ধু ফোন করে বলেছিল এটা রাতুলের নাম্বার। রাতুল নিজেও বুঝতে পারেনা এটা কিভাবে হল। সেদিনকার মত দুজনেই দুঃখিত বলে ওখানেই ফোন রেখে দেয়। পরে রাতুল জানতে পারে তারই এক বন্ধু তার ফোন থেকে ঐ মেয়েটাকে ফোন করেছিল।
এর কয়েকদিন পর রাতুল মেয়েটাকে ফোন করে সবকিছু জানায়। রাতুলের কেন জানি ভাল লেগে যায় মেয়েটির কথা বলার ভঙ্গিটা। সে এরপর কয়েকদিন মেয়েটাকে ফোন করে বন্ধুত্তের কথা জানায়। মেয়েটা বলে তার আর নতুন বন্ধুর দরকার নেই। তারপরও হাল ছাড়েনা সে।
ফোন করা বাদ দেয় কিন্তু এসএমএস করতে থাকে। এভাবে কয়েকদিন চলার পর এক সময় সে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে আর কখনও ফোন বা এসএমএস করে না।
এতদিন আগেকার এই কথাগুলু ভাবতে খারাপ লাগল না রাতুলের। ঠিক দুপুর বেলাতে যখন অধরা ওকে প্রথম ফোন করেছিল রাতুল ঐ সময়ে ওকে ফোন করে। অধরা ফোন রিসিভ করতে না পেরে একটা এসএমএস পাঠায় যে সে এখন ক্লাসে আছে।
পরে ফোন করবে। এরপর ওদের কথা হয় এসএমএস আদান-প্রদান হয়রাতুলের মাঝে একটা অনেক বড় পরিবর্তন দেখা যায়। এমনিতেই ও অনেক হাসি খুশি সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলে। ওর এই উচ্ছ্বাসটা যেন এবার আরও বেড়ে গেল। রাতুল অধরাকে ফোন দেয় অধরা রাতুলকে ফোন দেয়।
এই ভাবেই চলতে থাকে আর রাতুল তার বন্ধুদের কাছ থেকে তার পরিবারের কাছ থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। বন্ধুদের আড্ডায় তেমন যায়না,সবার সাথে সারারাত ধরে তাস খেলেনা। এমন কি কিছুদিন পর দেখা গেল রাতুল আর ক্লাসেও নিয়মিত আসেনা। মাঝে মাঝে যায় আর বন্ধুরা মজা করে ওর সাথে আবার নতুন করে পরিচিত হয়। সব সময় মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলে।
অধরার ১১টার সময় কোচিং এ ক্লাস থাকত আর ও বাসা থেকে বের হত ৯টার দিকে। সারা রাস্তা রাতুলের সাথে কথা বলতে বলতে যেত। মেয়েটা ওর এক খালার বাসায় থাকত। তাই যতক্ষণ কথা বলতে পারতনা ওরা এসএমএস এ কথা বলত।
রাতুলের নিজস্ব কিছু বিশ্বাস ছিল।
সে সবসময় ভাবত ভালবাসা হচ্ছে just সাময়িক মোহ,emotionally blackmail.সে খেয়াল করে ধীরে ধীরে তার এই বিশ্বাস গুলু পাল্টে যাচ্ছে। সে নিজের মধ্যে কি যেন একটা অনুভব করতে থাকে। তার চিন্তা গুলু কেন যেন একটি জায়গায় গুরপাক খেতে থাকে। সে কেন জানি অধরাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না। ইতোমধ্যে রাতুল জেনে গিয়েছিল অধরা কাউকে ভালবাসে না এবং এসব তার পছন্দ না।
একদিন সকালে রাতুল অধরাকে একটা এসএমএস করে তার ভালবাসার কথা জানায়। অধরা তাকে বুঝিয়ে বলে আসলে এই ভাললাগা সাময়িক সময়ের জন্য,এখনও রাতুল অধরা সম্পর্কে অনেক কিছু জানে না বলে তার প্রতি রাতুলের এত আগ্রহ। কিছুদিন কথা বললে এসব আর থাকবেনা। অধরা তাকে আরও বলেছিল জানতো যে ঘরের দরজাটা বন্ধ থাকে সেই ঘরের প্রতি মানুষের আগ্রহও বেশি থাকে,এরকম প্রেমের কথা তাকে বিভিন্ন ছেলে বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে বলেছে। তারা বলত অধরাকে ছাড়া নাকি তাদের জীবন থেমে যাবে কই তাদের তো কিছু হয়নি।
সকল ছেলে একই রকম। আজ ভালবাসার কথা বলে তো কাল ভুলে যায়। রাতুলেরও কিছু হবেনা। রাতুলের একসময়ের সেই যুক্তিবাদী মন আজ আবেগের কাছে হার মেনে কোন যুক্তি মানতে চায়না। রাতুল অধরার এই কথার জবাবে বলেছিল দেখ আমি একদিন ছেলেদের সম্পর্কে তোমার ধারণা পাল্টে দিব।
তারপরও অধরা কিছু বুঝতে চায়না। পরে রাতুল সিদ্ধান্ত নেয় যে মেয়ে তাকে বুঝতে চাইবেনা তার সাথে আর যোগাযোগ নয়। রাতুল আর মেয়েটাকে সারাদিন ফোন দেয়না। বিকেলের দিকে মেয়েটার নাম্বার থেকে একটা এসএমএস আসে,কি ভুলে গেলে নাকি?রাতুল এসএমএস এর মানে বুঝতে পারে না। সে ভেবে নেয় মেয়েটিও তাকে ভালবাসতে শুরু করেছে।
রাতুলের আনন্দ আর ধরেনা। সে অধরাকে নিয়ে কল্পনার ডানায় ভাসতে থাকে। আবার আগের মতই শুরু হয় ওদের কথা বলা। রাতুলও বিভিন্ন ভাবে তার ভালবাসার কথা মেয়েটাকে বলে। অধরা প্রথমদিকে আপত্তি করলেও পরের দিকের না গুলি ছিল হ্যাঁ এর খুব কাছাকাছি।
তখন থেকে রাতুল মেয়েটাকে জান্নাত ডাকত। রাতুল বিভিন্ন সময় জানতে চায় অধরা কোনদিন তাকে ছেড়ে যাবে কিনা। অধরা জবাবে বলে কখনই ছেড়ে যাবেনা।
রাতুল বারবার সুযোগ খুঁজতে থাকে ঢাকায় আসার। একটা সুযোগ পেয়েও সে হারায়।
তার ভাতিজির জন্মদিনে যাওয়ার দিনটাতেই পরীক্ষা এসে হানা দেয়। পরে অনেক ছলেবলে সে ঢাকাতে আসে একদিনের জন্য। তার বাসার কেউ বুজতেও পারেনা কি এমন দরকার যে একদিনের জন্য এত দূর থেকে তাকে ছুটে আসতে হবে!তাদের দেখা হয়। রাতুল অধরার হাতটি ধরে বলে সত্যি করে বল কোনদিন আমায় ছেড়ে যাবেনা। অধরা হেসে বলে যাবনা।
রাতুলের খুশিতে সংসদ ভবনের সামনের দিঘিটাতে ঝাঁপ দিতে ইচ্ছা করে। আসরের আযান দিলে রাতুল অধরাকে নিয়ে বাসার কাছাকাছি রেখে আসে। আবার চলে আসে রাতুল তার নিজের আস্তানায়।
এরপর ওদের কথা বলাটা আরও বেড়ে যায়। একদিন অধরার খালাত ভাই রাতুলের ব্যাপারে জানতে পেরে ওকে অনেক বকাঝকা করে।
অধরা সন্ধ্যার সময় ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করে। রাতুল তাকে বুঝাল সব ঠিক হয়ে যাবে। রাতুলেরও অনেক কষ্ট লাগল এজন্য যে তার জন্য কেউ অধরাকে বকা দিছে অথচ সে কিছুই করতে পারলনা। এভাবেই কাটছিল রাতুল আর অধরার দিনগুলি। তারা স্বপ্নও দেখে ছিল এক ক্যাম্পাসে পড়ার।
কিন্তু ভাগ্য দেবতা বুঝি কোন কারনে তাদের উপরে রাগ করেছিল। অধরার খালু অধরার বাবাকে কি নাকি বুঝালেন অধরার বাবা বলে দিল তার মেয়ে ওখানে চান্স পেলেও পড়াবেনা যত ভাল সাবজেক্ট থাকুক। অধরা এই কথা জানিয়ে আরেকবার বার কান্না করল। এবার রাতুলও নিজেকে সামলাতে পারলনা। সেই কবে ২০০৩ সালে রাতুল শেষবার কেঁদেছিল যখন তার দাদি মারা যায়।
এরপর রাতুল হাজার কষ্টেও আর কাদেনি। রাতুল অধরাকে বলল ভালভাবে পড় যাতে ঢাকাতে থাকতে পার তাহলে প্রতিদিন দেখা না হলেও মাসে অন্তত দু-একবার দেখা হবে। অধরা বলল সে চেষ্টা করবে। অধরা চেষ্টা করেছিল কিনা জানিনা তবে সে ঢাকাতে টিকতে পারেনি। অধরা বলে ছিল এসবের জন্য নাকি রাতুলের আল্লাহ্র প্রতি অবিশ্বাস দায়ি।
এর পর রাতুল নামাজ পড়া শুরু করে। যদি এই নামাজ তাকে সারাজীবনের জন্য অধরাকে পাইয়ে দিতে পারে তবে পরতে ক্ষতি কি?
এদিকে অধরা বলল হয়তবা ঢাকা ভার্সিটির পরীক্ষার পর সে চলে যাবে গ্রামের বাড়িতে। তখন আবার রাতুলের সেমিস্টার ফাইনাল শুরু হয়ে গেছে। অবশেষে রাতুল একটা পরীক্ষা না দিয়েই ঢাকাতে চলে আসে অধরার সাথে দেখা করতে। তাদের মধ্যে দেখা হয় কথা হয়।
আবার কবে দেখা হবে এই আশঙ্কায় অধরা আর রাতুল অস্রুসিক্ত নয়নে বিধায় নেয়।
বাসায় বাবা-মা,ভাই-বোন থাকায় অধরা রাতুলের সাথে ঠিকমত কথা বলতে পারেনা। এসএমএস এ সে তার মনের দুঃখ জানায়। রাতুলেরও অস্থির লাগে। অবশেষে অধরা তাদের এলাকার একটা ভার্সিটিতে চান্স পায়।
তার পর থেকে আর অধরা রাতুলকে তেমন একটা ফোন দেয়না এসএমএস দেয়না। তার বড় বোনও পড়ে ওখানে। রাতুল অধরাকে বারবার ফোন করে এসএমএস করে অধরা ফোনও ধরে না এসএমএসও করেনা। রাগে রাতুলের মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে। দুই দিন পর অধরা ফোন করে।
অধরা কেন ফোন ধরেনা জানতে চাইলে সে বলে বড় আপু পাশে ছিল। রাতুল বুঝতে পারেনা বড় আপু কি এক মিনিট এর জন্যও বাইরে যায়না যখন অধরা ওকে একটা এসএমএস দিতে পারে। এভাবেই ধীরে ধীরে অধরা অন্ধকারে মিলাতে থাকে। ওর ক্লাস শুরু হয়ে যায়। ও ক্যাম্পাসে চলে আসে।
নতুন নতুন অনেক বন্ধু-বান্ধবি পায়। এখন আর রাতুলকে সে ফোন দেয়না। রাতুল দশবার দিলে মনে চাইলে একবার রিসিভ করে মনে চাইলে করেনা। রাতুল বুঝতে পারেনা এরকম কেন হচ্ছে। এখনতো সে নামাজ পড়ে।
রাতুল ভাবে সেই দিন গুলির কথা যখন রাতুলের ঘুম ভাঙত অধরার ফোনে কিংবা অধরার ঘুম ভাঙত রাতুলের ফোনে। ওদের মধ্যে কথা হয়েছিল যে আগে ঘুম থেকে উঠবে সে অপরজনকে জাগিয়ে দিবে। ওরা এই জাগিয়ে দিতে গিয়েও তখন ৩০-৪০মিনিট কথা বলত। রাতুল আরও বলত সে চায় তাদের দিনগুলু যেন একজন অপরজনকে দিয়ে শুরু এবং শেষ করে। আর এজন্যই বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই ওরা সকাল আর রাতে কথা বলবে।
মাঝে মাঝে অধরার কথা শুনে রাতুলের হাসি পেত। অধরা বলত ওদের বিয়ে হলেও কোনদিন বাচ্চা হতে পারবেনা। অধরা বলত রাতুলের বড়ভাইদের কারও কাছ থেকে তারা একটা বাচ্চা চেয়ে নিবে। এসব ভেবে রাতুলের এখন অনেক কষ্ট হয় কিন্তু কাউকে সে বলতে পারেনা। যে একসময় তার কষ্টগুলু ভাগ করে নিত সেই আজ বুজছেনা অন্যরা কি বুঝবে।
এইভাবে অনেকদিন কেটে যায় এখন অধরার ফোন রাতে বিজি থাকে। তার নাকি ক্যাম্পাসের বন্ধুদের সাথে কথা না বললে চলবেনা। সে রাতুল কে না করে দেয় সে যেন আর তাকে রাতের বেলায় ফোন না দেয়। সকাল বেলাতেও মাঝে মাঝে অধরা রাতুলের ফোন রিসিভ করে। ১মিনিট বলেই রেখে দেয়।
রাতুলের এসব ভাল লাগেনা। কিন্তু কিছু বলতেও পারেনা। যে রাতুল আগে আড্ডায় থাকলে আর কেউ না থাকলেও বুঝা যেত ওখানে হাজার জন মানুষ আছে। এখন সেই রাতুল কারও সাথে তেমন একটা কথা বলেনা। নিজের মত ক্লাসে যায় আবার ফিরে আসে ।
আজ রাতুলের নিজেরি মেয়েদের সম্পর্কে ধারণা পাল্টে গেছে। সে তার বড় বোনদেরও বিশ্বাস করতে পারেনা। এরকম একটা ছেলের বিস্বাসের উপর ভর করে তো আর দুনিয়া চলেনা। শুধু যদি রাতুলের একার বিশ্বাস ভাঙত তাহলে সমস্যা ছিলনা এরকম রাতুলের সংখ্যা যে আমাদের চারপাশে নেহাত কম নয়। আজ সে হয়ত মহাপ্রয়াণের অপেক্ষায় আছে যেদিন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে,তার কষ্ট গুলুও।
অনেক দিন রাতুলের সাথে দেখা হয়না। রাতুলের কথা ভাবলে নিজেকে কেন জানি অপরাধি লাগে কারন সেই ছেলেটা যে আরকেউ নয় আমিই যে ওর ফোন থেকে অধরাকে ফোন করেছিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।