অনেকক্ষন ধরে রসায়নের চতুর্থ অধ্যায়ের একটা সমীকরণ পড়াচ্ছেন রসায়েনর সহকারী অধ্যাপক শ্যামা স্যার-অনেক রকম করে বুঝানোর চেষ্টা করছেন-কেউ বুঝতে পারছে-কেউ পারছেনা-কিন্তু শ্যামা স্যারের চেষ্টার অন্ত নাই-তিনি পড়িয়েই চলেছেন।
স্রোডেনজারের সমীকরন টা বুঝানোর আগমুহুর্তেই হটাৎ করে ঘন্টা বেজে উঠল-ক্লাস ছেড়ে আস্তে করে চলে গেলেন শ্যামা স্যার-আর নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বে ও তরুনকে ওর বেন্ছ থেকে উঠে গিয়ে ব্লাক বোর্ডের কোনায় স্যারের আদ্যক্ষর গুলো লিখে দিতে হল-ডি এ এম- ইংলিশে হয় ড্যাম-সামান্য একটা নিয়মের কারনে দিদারুল আলম মজুমদার স্যার হয়ে যান ড্যাম স্যার-আর এটা দেখেই সামনের সারির কয়েকটা মেয়ে খিল খিল করে হেসে উঠল।
সেই সামনের সারির প্রথম বেন্থেই বসে ছিলো সুমনা-তনয় পুরো সময়টা যার পায়ের নখে দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে। আসলে সুমনার পায়ের নখের শেষ আন্গুলে একটা রুপার আংটি ছিলো-যেটা দেখে মনে মনে একটা কবিতা লিখে ফেলেছিলো তরুন। কিন্তু ক্লাসে বসে কবিতাটা লেখা যাবেনা-কারণ একটু পরেই একটা ক্লাস টেষ্ট নিবেন ড্যাম স্যার।
তাই পরীক্ষার পড়া পড়তেই হচ্ছে।
কিন্তু বার বার তনয়ের চোখ চলে যাচ্ছে সুমনার পায়ের দিকে-কি এক আশ্চর্য সুন্দর একটা পায়ের নথ পড়েছে সুমনা-আজ সেটা বলতেই হবে-কিন্তু ওর একটা কথা ভেবে খুব টেনশন হচ্ছে-কিছুক্ষন আগে ফরিদ ওর খুব ঘনিষ্ট বন্ধুদের একজন ওর হাতে একটা ভাঁজ করা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলেছে-এটা যেন ক্লাস টেষ্ট শেষে সে সুমনাকে দেয়।
কি লেখা সেটা পড়তে মানা করে দিয়েছে ফরিদ-তাই সে এটা পড়তে ও পারছেনা-আবার সুমনাকে দিতে ও পারছেনা-কারণ সুমনাকে আজকেই একটা চিঠি দেবে মনে করে ৫টা কবিতা সহকারে একটা লম্বা প্রেম নিবেদন মুলক পত্র লিখে এনেছে তনয়। কোনটা আগে দিলে ভাল হবে চিন্তা করতে করতে ক্লাসে এসে ঢুকলেন পদার্থ বিজ্ঞানের ড্যাম স্যার . । .. ।
। ... (চলমান)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।