আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রবীন্দ্র সার্ধশতজন্মবার্ষিকীতে বালিয়াটি প্রাসাদে ভ্রমন....(একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ফটোব্লগ-১)

www.facebook.com/tawasawbil ফেইসবুকে "অসামাজিক আমি"

মানুষকে যদি নদীর সাথে তুলনা করা যেত,তবে মন হতো পাল তোলা এক নৌকা...যে কিনা প্রতিনিয়তই ঘুরে বেড়াতে চায় এখান থেকে সেখানে,তাকে নোঙ্গর ফেলে আটকে রাখা দুষ্কর,সেই সাথে কবিগুরুর সার্ধশতবার্ষিকীর উৎসব আমেজতো আছেই.... সবমিলিয়ে এমনি এক দিনে মন-নাওয়ের পাল তুলে আমরা ঘুরে এলাম মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি রাজবাড়ি থেকে। একা নয়, বন্ধু-বান্ধব পাঁচজন। দেখে প্রত্যেকের একটিই কথাছিলো... ঘরের কাছে এত সুন্দর, এত বড় একটি জমিদার বাড়ি অথচ অদেখাই থেকে গেছে!!!! কিন্তু ঠিক প্লান ছিলো না প্রথমথেকেই,হঠাৎ সেই বড় ভাইয়ের ফোনে দ্রুত আর সংক্ষেপ প্রস্তুতি নিয়ে বেড়িয়ে পরি,টি.এস.সি তে সবাই এক হয়ে রওনা দিতে দিতে দুপুর ১টা বেজে গেল.... কথা ছিলো ঢাকার বাইরে থেকে একটু সজীব-সতেজ বাতাস নেবো,সেখান থেকেই বালিয়াটির প্লানটা চলে আসে... গাড়িতে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজছে...আমরাও ছুটে চলছি... তো রওনা হয়ে গেলাম,আমিনবাজার পার হতেই আহ শান্তি! আর সেই সাথে আবহাওয়াটাও ছিলো মেঘলা,এক পশলা বৃষ্টি ও হয়ে গেল... এই ফাকে গাড়িতেই দুপুরের আহারটাও সেরে নিলাম... তারপর আবার ছুট...সাটুরিয়ার পথে হঠাৎ গাড়ি থামালো ভবিষ্যৎ কিছু প্রজন্ম...তারা নাকি খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে...আবদার স্বরূপ শ,খানের টাকা ধরিয়ে দিলো দেয়া হলো .... অবারিত সবুজ আর বিস্তৃর্ণ মাঠে নিজেই হারিয়ে ফেলি নিজেকে...নিজের জন্মভূমির প্রতি ভালবাসায় আর গর্বে বুকটা ফুলে উঠে... পথ চলতে প্রথমে একটু বেগ পেতে হলেও ঠিকি পৌঁছে গেলাম "বালিয়াটি প্রাসাদে"... নয়নাভিরাম প্রাসাদ : ঘাট বাঁধানো বিশাল দীঘি। তার পাড়েই প্রাচীরঘেরা চারটি দ্বিতল ও ত্রিতল প্রাসাদ। প্রাচীরে চার প্রাসাদের সামনে চারটি সিংহদুয়ার।

পেছনে রয়েছে আরও তিনটি প্রাসাদ। প্রায় ছয় একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে প্রাসাদগুলো। গঠনশৈলী ব্রিটিশ আমলে তৈরি আর সব প্রাসাদ থেকে ভিন্ন কিছু নয়। চুনসুরকিতে কারুকাজ করা প্রশস্ত খিলান। দীর্ঘ বারান্দার ওপর থেকে উঠে গেছে গোল গোল স্তম্ভ।

সবই কারুকার্যময়। প্রতিটি প্রাসাদেই একাধিক সিঁড়ি। কোনোটা লোহার আবার কোনোটা ইটের তৈরি হলেও রেলিংগুলো কারুকাজ করা লোহায় তৈরি। ধুলায় মলিন, কোনোটাবা ধ্বংসপ্রায় কিন্তু এখনও তার সৌন্দর্য মোহিত করে.... মূল ইতিহাস বালিয়াটি জমিদার বাড়ির ,সেটি এখানেই পাবেন...তাছাড়া এই সেই বালিয়াটি অশীতিপর বিগত যৌবনা নারীকে দেখে কেউ কখনো বুঝতে পারেনা যৌবনে তার কত রূপ ছিল। বালিয়াটি ঠিক তাই।

বালিয়াটি এখন অবেলা। উত্থান আর পতন পৃথিবীর চিরন্তন রী‍তি। বালিয়া‍টির জমিদারদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রক ঘটেনি। জমিদারগন একদিন এ গ্রাম সহ সন্নিহিত এলাকাকে শোষন করেছে, এলা‍কাবাসীকে অত্যাচার করেছে এবং বৃটিশের সরাসরি তাবেদারী করেছে ১৭৯৩ সান থেকে জমিদারী প্রথা চালু হবার পর থেকে, সেই অত্যাচারী জমিদারদের সর্বস্তরের মানুষ আজ ধিক্কার দেয়। আবার এর মধ্যে কেউ কেউ আছে যাদের কথা মানুষ অতীব শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরন করেন... নিচে আমার নিজস্ব কিছু ফটোওয়ার্ক.... সুমি আফু চুরি সুমি ম্যাম কি দ্যাখে... চলবে.......... ধন্যবাদ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।