জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি
আমরা অনেকেই বাসায় ফেলে দেওয়া যায়, এমন জিনিসকে অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাজে লাগাই। অভ্যেসটা আমার নিজেরও আছে।
আজ সেরকম কিছুই এখানে শেয়ার করছি___
---------------------------------------------------------------------------
ছোট কোন ক্রিমের কৌটায় কানের দুল রাখি।
---------------------------------------------------------------------------
বড় কোন বাক্সে, সেটা হতে পারে দোকান থেকে আনা গ্লাসের শক্ত মোরক বা মোবাইলের প্যাকেট, এর মধ্যে টিপের পাতাগুলো একসাথে গুছিয়ে রাখি।
---------------------------------------------------------------------------
তার চেয়েও বড় কোন বাক্সে চুড়ি রাখি।
---------------------------------------------------------------------------
অনেকেই চুড়ির বড় আলমারি মার্কেট থেকে কিনে এনে রাখতে পারেন। তবে, খোলা আলনায় ধুলা পরে চুড়ির ঔজ্জ্বলতা নষ্ট হতে পারে।
---------------------------------------------------------------------------
আর, 'গ্লাস দিয়ে ঢাকা' চুড়ির বড় আলনা যেমন দামী তেমনি ওটা একটা বিশেষ জায়গায় রাখার মত সবার বাসাতে সুবিধেজনক জায়গারও অভাব থাকতে পারে। আমার বাসায় ছোট খালাতো মামাতো বোনের অভাব নেই, যারা সুযোগ পেলেই জিনিস নষ্ট করবে।
সবসময় ব্যবহার করার কানের দুল গুলোকে যদি একটি বড় বাক্সে আলাদা আলাদা খোপ করে রাখা যেত তাহলে খুব সুবিধে হতো।
প্রয়োজনের সময় তাড়াতাড়ি হাতের কাছে পেতেও সুবিধে হবে। নইলে বেশ কয়েকদিন খুব ব্যস্ততা থাকলে, গুছিয়ে রাখার আলাদা সময় পাওয়া যায়না। কয়েকদিনের ব্যবহারের পর জিনিসগুলো দেখা যেতো একটির সাথে আরেকটি পেঁচিয়ে রয়েছে। অথবা, বাইরে যাবার সময় ৫-৬দিন পর জিনিস আর হাতের কাছে পেতামনা। এইরকম কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসকে কিসের মধ্যে সাজিয়ে রাখা যায় ভাবতে ভাবতে, বাসায় কেনা ফিন্নি সেট এর বাক্সটা আকারের দিক থেকে আমার খুব পছন্দ হয়ে গেলো।
কিন্তু, বাক্সটার ভেতরে যদি খোপ খোপ থাকতো তাহলে একেবারে সোনায় সোহাগা হতো। আমি ভাবলাম, নিজেই সেটা করে নিলে কেমন হয়! আমি ভেতরে আলগা কাগজ স্ট্যাপলার দিয়ে লাগিয়ে নিলাম। হয়ে গেলো ১৬টি আলাদা আলাদা খোপ।
তার ভেতরে একেক খোপে একেক কানের দুল আর ছোট ছোট মালা বা মাটির গহণা সাজিয়ে রাখলাম। এখন আর আমার বাইরে বেরুতে গিয়ে কোন ঝামেলায় পরতে হয়না।
ফিন্নী সেট এর বাক্সটা___
---------------------------------------------------------------------------
এরপরে গয়না রাখার জন্য খোপ করে তার মধ্যে গয়নাগুলো রাখলাম___
---------------------------------------------------------------------------
শেষে বাক্সটিকে সুন্দর চেহারা দিলাম___
---------------------------------------------------------------------------
বাসায় রাখা ‘ডাবল স্যান্ডে’ বা পোলার আইসক্রিম এর বড় বাটিকে একটু ডেকোরেশন করে বানিয়ে নিলাম একটি “অর্নামেন্ট বাক্স”
---------------------------------------------------------------------------
আমার অনেক সাইন পেন, কলম, পেনসিল, মার্কার পেন,কাঠ রঙ পেনসিল...কলমদানিতে জায়গা হয়না। ‘হারবাল তেল’ এর তিনটি শক্ত প্যাকেটকে একসাথে জোড়া লাগিয়ে বানিয়ে নিলাম একটি কলমদানি; কিসের প্যাকেট সেটা ঢাকতে চারদিকে মুড়ে নিলাম পোস্টার পেপার দিয়ে।
---------------------------------------------------------------------------
টয়লেট টিস্যুর ভেতরে রোলারের মত শক্ত কাগজটির খোলা দুই প্রান্তের একপাশ অন্য কোন শক্ত কাগজ দিয়ে মুড়ে নিয়ে একটু রঙ পেনসিল আর পোস্টার পেপার ব্যবহার করলেই হয়ে গেলো একটি সুদৃশ্য কলমদানি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।