আমি নির্বাক হয়ে গেলে তোমার পতন অনিবার্য !
প্রথমেই বইল্যা নেই, আমি লাদেনের কর্মকান্ডরে সমর্থন করি না। ধর্ম নিয়া বাড়াবাড়ি করতে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা নিজেই নিষেধ করেছেন। যার যার ধর্ম তার তার কাছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যা কইরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার কোনো দরকার নাই।
অন্তত আমার কাছে ত-ই মনে হয়।
এই এক লাদেনের জন্যই আমরা, যাগো বাপ-মায়ের দেয়া নামের আগে মোহাম্মদ আছে, তারা সারা দুনিয়ায় কি অপমানিতটা না হইতাছি। কথায় কথায় সন্দেহ, কথায় কথায় জঙ্গিবাদের গন্ধ। বিমানবন্দরগুলিতে মোহাম্মদ নাম পাইলেই তারে কতণ কবচায় পশ্চিমারা।
কিন্ত আমার প্রশ্ন হইলো, এই লাদেনরে যে হত্যা করা হইলো, তার লাশরে স্বাভাবিক নিয়মে সমাধিও করা হইলো না, সেই লাদেনরে আসলে সৃষ্টিটা করছে কে? ফিলিস্থান-ইরাক-আফগানে এমন হাজার হাজার লাদেন তৈরা করতাছে কারা? যারা দিন-দুনিয়ার এক-আধটু খবর রাখেন, তারা এক বাক্যে বলবেন ‘পশ্চিমারা’।
তাগো প্রয়োজনে তারা নিজেরাই যহন যেইডা দরকার করে, আবার যারে সরানোর দরকার তারে সরায়া ফ্যালে।
এই যে আজকের লাদেন, উইকিপিডিয়া বলতাছে, ১৯৭৯-৮৯ সাল পর্যন্ত দশ বছর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি কার্টার ও রিগ্যান ও তাদের সরকারি গোয়েন্দা বাহিনী সিআইএ লাদেনের হাতে অর্থ ও অস্ত্র একসঙ্গে তুইল্যা দিছিল। দিছিল কারণ, তখন আফগানিস্থানে সোভিয়েত বাহিনীর আগ্রাসন চলতাছে। তারা চাইছে, যে কোনো মূল্যে সোভিয়াত ঠেকাইতে হইবো। কিন্তু সোভিয়েত ফির্যা যাওয়ার পর মার্কিনীদের চাতুরীটা দেইখ্যা লাদেন বিগড়াইয়া গেলো।
আর তহন থিক্যা ধীরে ধীরে লাদেন হইয়্যা গেলো আমেরিকান তথা পশ্চিমাদের এক নম্বর শত্র“। ৯/১১ পর লাদেন হইলো বিশ্বের এক নাম্বার সন্ত্রাসী। যদিও ৯/১১ টুইন টাওয়ারে হামলা নিয়্যা নানা কথা আছে। আমেরিকানরা নিজেরাই এইটা করছে ইরাক, আফগান, ফিলিস্থান আর হালে লিবিয়া দখল করবার লাইগ্যা। প্রাকৃতিক সম্পদের জইন্যে।
আইজ, এনটিভিতে এই সময় অনুষ্ঠানে নূরুল কবীর বলছিলেন, আসলে লাদেনরে হত্যা করা হইছে আগেই। এখন এইটা প্রকাশ মাত্র। এতদিন প্রকাশ করে নাই কারণ তাইলে আর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে কোনো দেশের অভ্যন্তরে মার্কিন বাহিনী ঢুকতে পারবো না। আর এহন প্রকাশ করার কারণ, হালে নানা কারণে ওবামা প্রশাসনের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমতাছে, বাকি সময়টা লাদেনরে মাইর্যা সাগরে ভাসানোর পুরো কৃতিত্বটা নিবো ওবামা। আরেকবার তো মতায় আইতে হইবো নাকি?
চিন্তা করেন যেই বিন লাদেনরে দশ বছর ধইরা তন্ন তন্ন কইরা খুঁজতাছে মার্কিনীরা।
সারা দুনিয়ায় চিরুণী অভিযান চালাইছে, হেই লাদেন পাকিস্থানের এক ক্যান্টনমেন্টের পাশেই আত্মগোপনে আছিল। আর মাত্র ৪০ মিনিটের একটা অভিযান লাদেন শেষ। লাদেনের শেষ স্থান হইলো সাগর, কুমির-হাঙ্গরের পেটে। নিউইয়র্ক টাইমস বলতাছে, লাদেনরে স্থলের কোথাও সমাধিস্থ করলেই ঝামেলা। ধর্মান্ধ লাদেন অনুসারীরা, সেই সমাধি জিয়ারত করতে গিয়া শপথ লইতে পারে।
আল কায়েদার সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য সংখ্যা কয়েকশ গুণ বাইর্যা যাইতে পারে। পশ্চিমাগো লিগা এইটা আবার মাথা ব্যাথার কারণ হইয়া দাঁড়াইতো। এর লিগা স্থলে না দিয়া জলেই তারে ভাসায়া দিল, তার মানে পশ্চিমারা মরা মানুষরেও ডরায়....!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।