বাংলার জনগন
বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসরে ভালো পারফরমেন্স দেখানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। কিন্তু নিজেদের মাটিতে আয়োজিত এবারের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের বাধাও টপকাতে পারেননি সাকিব-তামিমরা। বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ায় বিদায় নিয়েছেন কোচ জিমি সিডন্সও। তবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনকে কিছু সাবধানবাণী শুনিয়ে গেছেন তিনি। ক্রিকেটের সত্যিকারের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক প্রভাব, সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জটিলতা—এগুলো থেকে বের করে আনতে হবে বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী এই কোচ।
ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সিডন্স বলেছেন, ‘সবাই জানতে চায়, কী করা দরকার। কিন্তু মনে হয়, সবকিছু ঠিকভাবে হচ্ছে না। হয়তো সেখানে টাকাপয়সার ঘাটতি আছে বা কাজগুলো কেউ করছে না। আমি ঠিক জানি না। আমি সম্ভবত এ রকম এখতিয়ার-বহির্ভূত অনেক কথা বলে ফেলেছিলাম।
যে কারণে আমার চাকরিটা থাকেনি। কিন্তু আমি চাই, তারা ভালো করুক। আমি তাদের উন্নতি চাই। এবং কীী জন্য এটা হচ্ছে না, সেটাও আমি জানি। আমি চাই, সবাই আমার কথা শুনুক।
’ বিশ্বকাপ শেষে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি কোচ জিমি সিডন্সের সঙ্গে।
তবে ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলেও একবাক্যে স্বীকার করেছেন জিমি সিডন্স। তবে কোনো টুর্নামেন্টে কতদূর যাওয়া গেল, এটা না ভেবে নিজেদের পারফরমেন্সটা কেমন ছিল, সেটা পর্যালোচনার দিকেই বেশি জোর দিয়েছেন তিনি। পূর্ববর্তী বিশ্বকাপগুলোর সঙ্গে এবারেরটার তুলনা টেনে তিনি বলেছেন, ‘শুধু পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে আপনি এককথায় বলতে পারবেন না যে, এবার কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে যেতে হবে। নিজেরা কেমন করছি, আসলে সেইদিকেই বেশি নজর দেওয়া উচিত।
আমরা কী সামনে এগোচ্ছি নাকি পিছনে যাচ্ছি? এবারের বিশ্বকাপে আমরা ছয়টা ম্যাচের মধ্যে চারটাতেই দুই শতাধিক রান করেছি। যেখানে এর আগের তিনটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে আমরা ২০০ করেছিলাম মাত্র তিনবার। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।