এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..
ভূমির মাঝ বরাবর ইস্পাতের তীক্ষ্ণ থাবা -
নীচে নামতে নামতে আর কতো গভীরে যেতে পারে !
পানির সীমারেখাতো শূণ্যেই নেমে গেছে কবে ;
এ বুঝি ভালো খবর-এই ভূমি খোরদের জন্যে।
চমকে উঠি -এ তীব্র যন্ত্রণা মাটি সইছে কি করে ?
দালান হবে ;১১-১২-১৭-১৮,আবাসিক এলাকাতেও
ডেভেলপার ব্যবসা বেঁধেছে বেশ ,
বাড়ী ভাড়া বাড়ছে রেইস দেওয়া ঘোড়ার মতো ,
তবু ছাড়বো না এই শহরের মাটি ।
কি যে মধু মিশে আছে এ ধূপছায়া শহরের ওলিতে-গোলিতে !
এইটুকু বৃষ্টি নয়; এ শহরে প্লাবন নামাও হে ঈশ্বর।
সেই প্লাবনে ভেসে যাক আধুনিকতার অন্ধ মায়াজাল ,
সন্তান ইংরেজী মাধ্যমে পাঠিয়ে মানুষ বানানোর মিথ্যে প্রহোসন।
এক টুকরো মাঠো দিতে পারিনি ,চার বাক্সে বসে জীবনের ছবি আঁকে!
জাপানের মতো সুনামি দাও -মেস বাক্সের মতো ভেসে যাক লাল-নীল গাড়ীগুলো।
শুনেছি আরো একখানা গাড়ী আসছে -মাথার উপর উড়তে পারে অনায়াসে ,
হে ঈশ্বর; এ শহরে প্লাবন নামাও ।
অবিরত যান বাহনের সাইরেন আর বুলডজারের কুৎসিত চিৎকারে
বড় বেশী ক্লান্ত আমি ।
আমাকে নিয়ে চলো নিঝুম কোন দ্বীপে ,
নয়তো নিয়ে চলো শান্ত শীতল গাঁয়ে।
বোদলে দেবার গল্প শুনতে শুনতে বিস্ময়ে তাকাই -
ব্যাঙের ছাতার মতো মুঠোফোনের বিঞ্জাপন ,
মানুষ আমি একটাই -কিন্তু ফ্যাশন লাগে পাঁচটা ।
বৈশাখ অফার ,ফাল্গুণ অফার।
অফারে অফারে বিপর্যস্ত পকেট ;
হে ঈশ্বর; এ শহরে প্লাবন নামাও ।
এ জোড়া দেওয়া শহরে কিছুই আর বদলাবে না জানি ;
শোষিত -নিষ্পেশিত জাতির রক্তে এখন বইছে
চুষে খাবার নেশা ।
ও খেয়েছে পাঁচ বছর ,আমি খাব তারো বেশী।
যদি প্লাবন ঘটাতে না পারো হে ইশ্বর ;
এ মাটিকে দু'ভাগ করে দাও -
আমি চোখ বুজে নিশ্চিন্তে ঘুমাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।