আমার নিজের সম্পর্কে আমার ধারণা নেই :) যখন একটু বড় হলাম , এই ৫ কি ৬ বছর বয়স , তখন থেকেই বুঝতে শুরু করলাম ছেলে আর মেয়ের তফাৎ । খুব রাগ লাগত যখন একটা সময় হটাৎই আমার বাইরে গিয়ে খেলার বয়সটা চলে গেল আর আমি হলাম চারদেয়ালে বন্দী। খুব খারাপ লাগতো। ভাবতাম, " কেন যে মেয়ে হলাম। ছেলে হলে কত ভালো হতো।
খেলতে পারতাম । ঘুরতে পারতাম । " আরেকটু বড় হবার পর মনে হত , " কেন মেয়েদের এতো দূর্বল করে বানিয়েছে বিধাতা?? " অনেক ক্ষোভ জমা থাকতো মনে । কিন্তু একটা সময় এই আমিই আমার ছোটো বোনটাকে ঠিক আমার মা যেমন আমাকে সবসময় চোখে চোখে রাখত সেভাবে সবসময় দেখে রাখতাম। এ এক অদ্ভুত রূপান্তর যেন।
এখন বুঝি মেয়েদের কেন এতো দূর্বল করে বানিয়েছে বিধাতা। কারণ মেয়েরা মা । আর মায়ের শক্তিই হল ভালোবাসা। কি অপরিসীম ভালোবাসা , মায়া , মমতা যে প্রতিটি মেয়ের মাঝে বিধাতা ভরে দিয়েছেন তা শুধু একজন মেয়েই ভালো বুঝবে। যখন একজন অপছন্দের মানুষের কষ্টেও তার জন্যে চোখে পানি আসে তখন বুঝি আমার ভিতরে ভালোবাসার কত গভীর সমুদ্র আছে।
যখন অপরিচিত কারো বিপদে নিজের সব ভয় ভুলে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই তখন বুঝি ভালোবাসার শক্তিই সবথেকে বড় শক্তি । যখন আমার মাকে দেখি আমাদের বিপদে সব বাধা ভেঙে আমাদের পাশে দাড়াতে তখন বুঝি মা যেমন ভালোবাসতে জানে তেমন সেই ভালোবাসাকে রক্ষার জন্যে লড়তেও জানে । এখন ভাবি, ধন্য জন্ম আমার , যে মায়ের কোল থেকে জন্মেছি একদিন তেমনই আরেকটা হয়তো আমার কোলে জন্মাবে , এর চেয়ে বেশি সুখ আর কিছুতেই নেই। যারা কন্যা ভ্রূণ নষ্ট করেন তাদেরকে বলছি, যদি আমার একটি সন্তানও হয় আমি চাইব সে যেন মেয়েই হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।