মানুষ আসে মানুষ যায় কিন্তু সময় যায় চিরতরে
বন্ধু-একটা খুব ছোট্ট শব্দ। তবে এর অর্থটা ব্যাপক। আমরা আমাদের সামাজিক জীবনে খুব সহজেই একে অপরকে পরস্পরের বন্ধু বলে দাবী করি। যতটা সময় নিয়ে এই সাময়িক সম্পর্ক গড়ে ওঠে-তা সঠিকভাবে বুঝে ওঠার আগেই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই বন্ধুত্বের অপমৃত্যু ঘটে! তার কারন-আমরা বন্ধু শব্দটির তাৎপর্্য না জেনেই শুধু মুখে বন্ধু বলে নিজেকে জাহির করে থাকি।
আমার যেটুকু ধারনা তা থেকে আমার উপলব্ধি হচ্ছে-দুটি বিপরীত আত্মার মধ্যে নিঃস্বার্থ বন্ধন ই হলো প্রকৃত বন্ধুত্ব! অথচ আমরা নিজেদের স্বার্থের জন্যই অধিকাংশ সময় বন্ধুত্বের ধ্বজা ধরে অন্যের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করে থাকি।
স্বার্থ পুর্ন হলে সেই বন্ধুত্ব শত্রুতায় পরিনত হতে তাই মোটেও বিলম্ব হয় না। বন্ধুত্বের মাঝে যদি বিশ্বাস-শ্রদ্ধা আর আত্মার বন্ধনের উপস্থিতি থাকে তবে সেই বন্ধুত্ব কোনোদিনই অকালে তার বন্ধন হারায় না। কারন-বন্ধুত্ব সম্পর্কটা নির্মল-নিষ্পাপ। লোভের বশঃবর্তি হয়ে সেই সম্পর্কে আমরাই কলংকের কালিমা লেপন করে দেই। সরল বিশ্বাসে কাওকে বন্ধু ভেবে নিজের সকল সত্বাকে অকপটে তার নিকট উজাড় করে দিয়ে অবশেষে চরম মুল্য দিতে হয়েছে পৃথিবীতে এমন উদাহরন রয়েছে হাজার হাজার।
বিপরীতে বন্ধুত্বের মুল্য দিতে গিয়ে নিজেকে বিপন্ন করে বিপদের মধ্যে জড়ানোর উদাহরন খুব বেশী পাওয়া যাবে না। যে কারনে বন্ধু শব্দটা একপেশে স্বার্থপরতা হিসাবেই এখন অনেক বেশী উচ্চারিত হয়ে থাকে। তাহলে কি প্রয়োজন এমন স্বার্থবাদি বন্ধুত্বের? যে শুধু সু সময়ের জন্য-দুঃসময়ের কেও নয়,তাকে কি আমরা বন্ধু বলতে পারি না কি বলা উচিৎ?? আমি চাইনা এমন বন্ধু-চাই না এমন স্বার্থপর হাজার মানুষের বন্ধুত্ব! তারচে ঢের ভালো একজন প্রকৃত বন্ধু যে হবে একান্তই আত্মার আত্মীয়-আবদ্ধ হবে নিষ্পাপ পবিত্র বন্ধনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।