থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
[ পূর্বে প্রকাশিতের পরে ]
পর্ব - ০১
পর্ব – ০২
পর্ব – ০৩
কিন্তু ১৯৭৫ সালে মুজিব সরকারের রক্তাক্ত বিদায়ের পরে আমাদের সমাজতান্ত্রিক অভিযাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। কেননা, সমাজতান্ত্রিক ধারা অর্ধেক গ্রহন করে, পুঁজিবাদের সাথে হাত মেলানো ( handshake ) করা যায় না। এইটা পরিস্কার হয়ে যাবার পরে, এবং পশ্চিমা সাহায্যের অর্গল খুলে দেবার জন্যই, বাংলা নামের দেশকে ধীরে ধীরে পুঁজিবাদের দিকে যাত্রা করানো হয়। এতে কি লাভ হয়েছিল, আর কি ক্ষতি হয়েছিল, তা কেউই বলতে পারবেন না।
তবে পুঁজিবাদীদের সাথে সমাজতন্ত্রীদের খুব একটা সংঘর্ষ হয় নাই – না আদর্শিক, না তত্ত্বীয়। কেননা দুই পথেই মানবমুক্তি’র কথাই বলা হয়েছে। আর দুই পথেই পাওয়া যায় অর্থের গন্ধ, যদি আপনি সেই সঠিক পথটা চিনে চালতে পারেন।
আমরা দেখেছি, পুরাতন সমজতন্ত্রীরা কত তাড়াতাড়ি এই দেশের নতুন সিস্টেম থেকে লাভ উঠিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মত আর কেউই কিন্তু লাভবান হয় নাই এই ট্রানজিসনের সময়ে।
আমাদের দুঃখ হলো, আমাদের সমাজতন্ত্রটি ছিল জোর করে চাপিয়ে দেওয়া, আর সমাজতন্ত্র থেকে মুক্তি পাওয়াটা ছিল অনেক রক্তের বিনিময়ে।
খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের প্রধান দুইটি রাজনোইতিক দলের যে গঠন বা organogram, তা কিন্তু যে কোন একটি সমাজতান্ত্রিক দলেরই অনুরূপ।
কেন?
কেননা দুইটি দলই আমাদের সমাজতন্ত্রে অভিযাত্রার কাছাকাছি সময়ে নতুন করে সংগঠিত হয়েছিল। একটি রক্তপাতের একটু আগে, আরেকটি রক্তপাতের পরে, রক্তপাতের মাধ্যামে লাভবান কিছু ব্যক্তির কূটকৌশলের কারনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।