আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শতশত বছর ধরে চলে আসছে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা



চৈত্র মাসের শেষ দিন নানা আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চৈত্র সংক্রান্তিপালন করে আসছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। হিন্দু ধর্মবলম্বীরা শিব পূজার জন্যই এই মেলার আয়োজন করতো। প্রতি বছরের মতো এ বারও এই মেলার আয়োজন করেছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। হাজার বছরের অধিক সময় ধরে চলে আসা এই শিব পূজার পাশাপাশি বিশাল এলাকা জুড়ে বসে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা । সলিমাবাদ এলাকা থেকে যমুনার ভাঙ্গন ও নানা সমস্যার কারণে দু’শ বছর আগে মেলা স্থানান্তরিত হয়েছে দুয়াজানি এলাকায়।

এখানেও ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে এই মেলা। বৈশাখ বরণের আগের দিনের এই উৎসবের জন্য এখন আর কোন প্রকার নোটিশ বা দাওয়াত পত্রের ব্যবস্থা করতে হয়না। চিরায়ত নিয়মে পরিণত হয়েছে চৈত্রসংক্রান্তির এই মেলা। বর্তমানে এই মেলা দুয়াজানী এলাকায় অনুষ্ঠিত হলেও সিমলাবাজারের মেলা হিসেবে পরিচিত রয়েছে। চৈত্রের শেষ দিন ভোর থেকে দুয়াজানীর মন্দিরে পূজা অর্চনা করতে আসেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

অপরদিকে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় মেলাস্থল। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ এই মেলায় এসে থাকে। তারা খেলনা থেকে শুরু করে সংসারে ব্যবহারের বিভিন্ন তৈজসপত্র ক্রয় করে থাকেন। এ মেলার বর্তমান পুজারী কমল শংকর পাল গোস্বামী জানান, এই মেলার রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য। যমুনার পার সলিমাবাদেই আটশতাধিক বছর মেলা হয়েছে।

এখানে কলকাতা থেকেও পূজারী ও ভক্তরা আসতো। তার পূর্বপুরুষরা এই মন্দিরের সেবায়েত ছিলেন। বর্তমানে তাদের উত্তরসুরী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। প্রভাবশালী মহল জায়গা দখল করে নেওয়ায় মেলাস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ এই মেলা পরিচালনা ব্যাপক ভাবে সহযোগিতা করে থাকে।

এই মেলার মাধ্যমে এলাকার মানুষ আনন্দ উপভোগ করে আর সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনবাসনার জন্য পূজা পাঠাদান সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড করে থাকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.