আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিডন্সের জন্য ভালোবাসা ..

আমারও লিখার অধিকার আছে.........

কোচ হিসেবে জেমি সিডন্স সব সময়ই ছিলেন ক্রিকেটারদের পাশে। বিশ্বকাপে ৫৮-৭৮-এর লজ্জার পরও ক্রিকেটারদের সবার আগে সাহস দেওয়া লোকটির নাম জেমি সিডন্স। বিদায়ের দিনেও বলে গেলেন, ‘আমার হাতে কোনো সাঙ্গাকারা-পন্টিং ছিল না। এই দলের খেলোয়াড়েরা সবাই এখনো বয়সে ছোট। ২২-২৩ বছর বয়স হবে।

তাদের আরও সময় দিতে হবে। নির্দয়ভাবে নেতিবাচক সমালোচনা না করে এই দলটার পাশে থাকতে হবে। ’ বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি সিডন্স এতটাই ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন যে, মন থেকেই চেয়েছিলেন এই দেশে আরও কয়টা দিন থেকে যেতে। বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে শেষ দিকে এসে একদিন এই প্রতিবেদকের কাছে বলেছিলেন সেই আবেগের কথা, ‘আমি বাংলাদেশে থাকতে চাই। আমার স্ত্রী-সন্তানেরা এখানে মানিয়ে নিয়েছে।

আমিও এখানে তাদের প্রচুর সময় দিতে পারছি। যেখানেই যাই না কেন, সংসার থেকে বাইরে বাইরেই বেশি থাকতে হবে। আমি ওই জীবনটা উপভোগ করি না। ’ সেই জেমি সিডন্সও চলে যাচ্ছেন। চলে যাচ্ছেন কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে, এটাই পরিবর্তনের সময়।

হয়তো তাই। এরপর হয়তো আবার কোনো সিডন্স আসবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গী হয়ে একসময় তিনিও চলে যাবেন সময়ের দাবি মেটাতে। যাওয়ার বেলায় অস্ট্রেলিয়ান কোচ সিডন্সের সুখস্মৃতি হচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০তে সিরিজ হারানো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি জয়।

বাংলাদেশ দলে রেখে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব-তামিমের কথাও বললেন আলাদা করে, ‘আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশ দলে সাকিব-তামিমের মতো দুজন বড় ক্রিকেটার রেখে যেতে পারছি। তবে বাংলাদেশের এর চেয়ে ভালো ক্রিকেটার প্রয়োজন। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.